Monday, February 20, 2017

একুশে ফেব্রুয়ারি

      একুশে ফেব্রুয়ারী

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ফেব্রুয়ারির একুশ এলে
     গর্বে ভরে প্রাণ,
যদিও এ দিনের উৎসব
      জাগায় দুঃখের বান।

বাঙ্গালী এ দিনে চাওয়ায়
    রাষ্ট্রভাষা বাংলা,
পুলিশকে দেয় গুলির আদেশ
    তখনকার পাক -আমলা।

গুলির বাঁধা তুচ্ছ করে
   বাংলার গগনতলে,
রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার
     স্বর্গে গেলেন চলে।

নাম না জানা আরো বহু
      তরুণ এ বাংলায়,
এ দিনে দেয় প্রাণ বিসর্জন
    ভাষার মান রক্ষায়।

বাংলার জন্যে জীবন দিয়ে
     হয়নি তারা ক্ষয়,
মাতৃভাষা দিবস এতে
     একুশ করে  জয়।

এ দিবসে বাঙ্গালীদের
     জাগে নতুন প্রাণ,
গুলির রক্তে একুশ পাওয়ায়
     বিশ্বে সেরা মান।

একুশে দেয় উদ্দীপনা
     বাংঙ্গালীদের মনে,
 তাই তারা এর বীরদের অমর
        রাখবে এ ভুবনে।
           .....

অন্তমিলে 'আলো' এর প্রতিশব্দ

    অন্তমিলে আলোর নাম

মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী

আলোক, রশ্মি, ময়ুখ
     চাকচক্য, দীপ্তি,
  রোশনাই, নূর, কর,
    অংশু, প্রদীপ্তি।

ঔজ্জ্বল্য, রোশনি , আলো,
         উদ্ভাস, জ্বলন,
সেতাব, প্রদীপ, জেল্লা
         সুবহ, কিরণ।

তেজ, অর্ক, জ্বালা, ভাতি
    সিত, বাতি, জ্যোতি
আভা, বিভা, প্রভা, দীপ
     প্রজ্বলন, দ্যুতি।
     
         
         

Thursday, February 16, 2017

ভাল লাগার কারণ

  তোমায় ভালবাসি

মিটি মিটি চোখ আর
      মৃদু মৃদু হাসি,'
চাহনিতে ফুটে যার
    প্রীতি রাশি রাশি।

এ রূপ দেখে সবার
    মনে বাজে বাঁশি,
সে বাঁশির সুরে জাগে
       ভালবাসাবাসি। 

.

  . 

Monday, February 13, 2017

অন্তমিলে 'সুন্দর' এর প্রতিশব্দ

হমুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

শোভাময়, মনোহর, রম্য
        ললিত, শোভন,
  রূপবত্তা, কান্তিমান,
       রম্য, সুদর্শন।

 চমৎকার, সুশোভন,
      মঞ্জুল, সুচারু, 
  মনোলোভা, কমনীয়
    অপরূপ, চারু।

  লাবণ্যময়, সুকান্ত
     সুশ্রী অনুপম,
 আকর্ষণীয় স্বরুপ
      মঞ্জু, নিরুপম।

রূপবান, রমনীয়, কম্র
    উষসী, সুঠাম,
সুতনু, মঞ্জিমা, সৌম্য
     সুকুমার, ঠাম।
           .........
         

রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা- ২৪

    
 (পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-২৪)
    --মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

হে আল্লাহ, আমরা এখন 
নামের মুসলিম ধরায়,
ঈমান দুর্বল হওয়ায় থাকি
নিত্য যাতনায়।
পারি না তাই নিজ ঐতিহ্য রাখতে শোভমান
 এ জন্যে দাও ঈমানী তেজ, ওহে রহমান!!
 
পাপীর কাছে মানবতা 
শেখতে আমরা চাই,
বর্বরতার অগ্নিতে তাই
ভষ্ম হয়ে যাই।
জানি না যে মানবতা শেখায় আল-কোরআন,
তাই আমাদের দাও হে প্রভু কোরআন বুঝার জ্ঞান।
         
আমাদেরকে করো মাবুদ
বিশ্বসেরা বীর,
জ্ঞান-বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে
রেখো উঁচু শির।
মানবতার সেবক মোদের করো দয়াবান,
যেন মোরা থাকি ধরায় চির মহীয়ান।
 
                  ......

কান্না

আপনার কবিতায় এখনো কয়েক জায়গায়
ছন্দপতনসহ একই শব্দের অন্তমিল রয়েছে এবং কয়েকটি শব্দের বানানও ভুল দেখা যাচ্ছে। কবিতাটি আমার কাছে খুব ভাল লেগেছে বিধায় সংশোধন করে দিলাম। কেমন লাগে দেখুন। মনে কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।
          কান্না
দুঃখ-কষ্ট প্রকাশ করার
   সহজ একটা বাহন,
আবেগ ভরে হাউ মাউ করে
   অশ্রু ফেলে কাঁদন।
কেহ কাঁদে উচ্চস্বরে
     কেহ চুপে চুপে,
কেহ কাঁদে বিলাপ করে
      কেহ ফুঁপে ফুঁপে।
কেহ কাঁদে প্রিয়া হেরে
      কেহ প্রিয়া পেয়ে,
কেহ প্রেমের ফাঁদে পড়ে
       কেহ প্রীতি চেয়ে।
ধন হারিয়ে ধনশালী
      কাঁদে ধনের মায়ায়,
রাস্তায় গরীব বিলাপ করে
      কাঁদে ধনের আশায়।
সন্তান পাওয়ার আশায় কাঁদে
        ধরায় নিঃসন্তানে,
আবার কেহ সন্তান পেয়ে
         কাঁদে এ জাহানে।
কেহ কাঁদে ছেলের তরে
     কেহ মেয়ের তরে,
বন্ধ্যায় গর্ভে সন্তান পেতে
      নিত্য কান্না করে।
কেহ কাঁদে অধিক সুখে
     কেহ অধিক দুঃখে,
কেহ কাঁদে পদের লোভে
       কেহ পদে ঢোকে।
স্বজন নেই তাই কাঁদে কেহ
    কেহ স্বজন পেয়ে,
কেহ কাঁদে মায়ার ছলে
     আদা পানি খেয়ে।
জন্মের পরে মানবশিশু
      কাঁদে চিৎকার করে,
লাশকে ঘিরে আপন জনে
       কাঁদে এ সংসারে।
দুঃখে-সুখে সকল ক্ষেত্রে
   করা যাবে রোদন,
নিষেধ কিন্তু উচ্চস্বরে
  বিলাপ করে কাঁদন।

কচিকাঁচার গান

        কচিদের গান

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

আমরা শিশু, আমরা কিশোর
আমরা কচির দল,
আমরা শক্তির উন্মাদনা
কাঁপাই গগনতল-
                    আমরা কচির দল।।

আলো হয়ে জ্বলবো আমরা
নামলে অন্ধকার,
রাখবো না নিজ দেশ-জাতিকে
তিমিরবন্ধী আর।
উদ্দীপনায় করবো সচল অলস লোকের দল--
                         আমরা কচির দল।।

দেশ ও জাতি রাখবো আমরা
বিশ্বে মহান করে,
জ্ঞান-বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে
দেশটা দেবো ভরে।
সোনার বাংলায় আনবো আমরা উন্নয়নের ঢল-
                       আমরা কচির দল।।

বিজয় নিশান উড্ডীয়মান  
রাখবো গগনতলে,
ভাসাবো নিজ জন্মভূমি
সুখের জোয়ার জলে।
আমরা এখন ফুটন্ত ফুল, দেবো মিষ্টি ফল-
                    আমরা কচির দল।।
                     .......

Sunday, February 12, 2017

দুঃখের পরে সুখের আগমন ঘটে

          সুখ

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

দুঃখের পরে মানুষ ভবে
বুকভরা পায় সুখ,
রূপের ভুবন রাখে তাকে
দুঃশ্চিন্তা বিমুখ।
ভবে দুঃখের বিলাপ করলে হবে মহাচুক-
দুঃখ থাকলে দেখবে পরে আসবে অপার সুখ।।

মনভরা সুখ বৃক্ষে থাকে
হাসলে শাখায় ফুল,
ঝরে পড়লে ফুলগুলো তার
পায় সে মনে শূল।
দুঃখের শূল তার দূর হয়ে যায় দেখলে ফলের মুখ-
দুঃখ থাকলে দেখবে পরে আসবে অপার সুখ।।

রোগ,শোক, দুঃখ, দরিদ্রতা,
যাতনা, গঞ্জনা,
জীবনে কেউ এসব থেকে
রেহাই পাবে না।
সুখী যাকে দেখছ তারও পাবে ভাঙ্গা বুক-
দুঃখ থাকলে দেখবে পরে আসবে অপার সুখ।।

প্রকৃতিতে ধরা কাঁদায়
খরায় ছেঁকা দিয়ে
মেঘেরা তার কান্না থামায়
অঝোরে বর্ষিয়ে।
পুনঃজীবন দানে তাকে আকাশ হয় উৎসুক-
দুঃখ থাকলে দেখবে পরে আসবে অপার সুখ।।

যা আছে তা নিয়ে তুমি
তুষ্ট থেকো যদি,
দেখবে তবে পাবে তুমি
ধরায় সুখের গদি।
থাকবে না আর দুঃখে তোমার কখনো ধুকপুক-
দুঃখ থাকলে দেখবে পরে আসবে অপার সুখ।।
                  ....... 

Saturday, February 11, 2017

অন্তমিলে অঙ্গের প্রতিশব্দ

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

কায়া, অঙ্গ, গাত্র, বপু,
   তনু  কলেবর,
অঙ্গক, কন্ধ, গতর,
  গা, দেহপিঞ্জর।
     
দেহ, শরীর, করণ
    কাঠামো, আকার,
কায়, দেহযষ্টি, মূর্তি
    ঘট, জীবাধার।
         .......

সেরাপাপী

মুহাম্মমদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মরণের চিন্তা আর
        পরকালের ভয়,
যদি না থাকে মনে
         সেরা পাপী হয়।
            .....

Thursday, February 9, 2017

এয়াকুব নগর (সনেট)

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

শ্যামল রূপধারী এ মোহমুগ্ধ স্থান
যেখানে বনবাদাড় ও বৃক্ষের ডালে,
চলে অপূর্ব নাচন পবনের তালে,
আর কাকলি মুখর থাকে দিনমান।
ফুলে আর ফলে থাকে প্রকৃতি অম্লান
দিনে দিবাকর আর শশি নিশিকালে
উজ্জ্বল কিরণে হাসে নিজ নিজ চালে,
যে হাসিতে থাকে এটি রূপে মহীয়ান।

স্থিত  এর পাশে এক সমৃদ্ধ ভূধর,
নৈসর্গিক রূপে এটি দেখায় অনন্য।
এ গ্রামে জনজীবন হয় সুখকর;
প্রীতিভরা থাকে সদা সবার অন্তর।
এখানে জন্মেছে যারা, তারা অতি ধন্য,
'এয়াকুব নগর' যা রূপের আকর।
                 ..........

প্রকৃত কবি যিনি

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

প্রকৃত কবি নীরব ও নিস্ক্রিয় নন।
তিনি চির প্রতিবাদী, সাহসী ও সক্রিয়;
বিচরণ করেন মনের জগতে;
নিরন্তর গেয়ে যান বাস্তবতার গান;
দেখিয়ে দেন মানবতার পথ;
অন্তরের কালিমা দূর করে
ভরে দেন আলো;
জাগিয়ে দেন ঘুমন্ত মন;
কুসংস্কার ও দুর্নীতির মূলে করেন
কুঠারাঘাত;
চলেন নীতির পথে; 
ধারেন না কারো ধার;
ছাপাবাজি ও শঠতা থাকে
তাঁর থেকে বহু ক্রোশ দূরে;
পরের কাজকে নিজের
আর নিজের কাজকে
বিলিয়ে দেন পরের তরে ;
ভাষায় প্রকাশ করেন ;
চিত্তে পুলক জাগানো ভাব।

প্রকৃত কবি মানে জীবন সমালোচক;
সত্য, সুন্দর, সৌহার্দ্য, ন্যায়-নীতি ও শান্তি
প্রতিষ্ঠাই তাঁর কর্ম, স্বপ্ন ও আরাধনা।
সমাজের দর্পণও তার থেকে ধার নিতে হয়।

                      .......

সঠিক মুসলমানের গান

       সঠিক মুসলমানের গান

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

এ পৃথিবীর মাঝে সঠিক
মুসলিম আছে যারা,
তারাই মানে পূর্ণরূপে
পাক-কোরআনের ধারা।
নিত্য থাকে তাদের মনে খোদাপ্রীতির ধ্যান-
               যারা সঠিক মুসলমান।।

সত্যসংগ্রাম করতে তারা

ভয় করে না কভু,

পাপসমুদ্রে ডুবে তারা
খায় না হাবুডুবু।
চলে তারা সত্য পথে, গায় সততার গান-
           যারা সঠিক মুসলমান।।

হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-লালসার
ঊর্ধ্বে তারা থাকে,
তারাই পারে স্বর্গরাজ্য
করতে বিশ্বটাকে।
অন্ধকারে তারাই পারে করতে আলো দান-
           যারা সঠিক মুসলসান।।

বারিরূপে খরায় ধরা
সতেজ করে তারা,
জরায় জাগায় নতুন প্রাণের
খুশির ফুল্লধারা।
তাদের কাছে জাত-বিজাতের প্রশ্ন থাকে ম্লান-
           যারা সঠিক মুসলমান।।

সুখী তারা সবার সুখে
দুঃখী সবার দুঃখে,
মুছিয়ে দেয় দেখলে কারো
দুঃখের অশ্রু চোখে।
সবার সুখ ও দুঃখের ভাগটা নেয় তারা সমান-
             যারা সঠিত মুসলমান।।

সৃষ্টিকূলর সেবক তারা স্রষ্টার প্রতিনিধি,
শান্তির ঝাণ্ডা ওড়ায় তারা
মেনে নীতি-বিধি,
তারাই রাখে মানবতা ধরাতে অম্লান-
              যারা সঠিক মুসলমান।।

                        .......

                          

এয়াকুব নগর, আমার গ্রাম

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ধরার মাঝে গ্রামটি আমার
      খোদার সেরা দান,
শ্যামল রূপের বাহারটি এর
      দেখলে জুড়ায় প্রাণ।

প্রকৃতি দেয় নিত্য একে
     অমূল্য রতন,
তাই এখানে দেখে না লোক
     অভাব-অনটন।
    
আমার গ্রামের কৃষিভূমি
   বন বাগান আর জল,
সবার জন্যে আহার যোগায়
      মনে জাগায় বল।

এর মাটিতে কৃষকেরা
   সোনার ফসল ফলায়,
গ্রামবাসীদের মাঝে তারা
    সুখের ঢল নামায়।

নানা জাতের শাক-সব্জি আর
     নানা স্বাদের ফল,
ব ঋতুতে পায় আমাদের
     গ্রামের লোক সকল।

এখানে লোক বন্ধুসুলভ
     কর্মঠ আর ত্যাগী,
সুখ ও দু:খের মাঝে সবার
    চলে ভাগাভাগি

রূপবৈচিত্রের পাখপাখালি
   আমার গ্রামে আছে,
সুখে জীবন কাটায় এরা
     ফুল-ফলাদির গাছে।

নানা পাখি নানা সুরের
   মধুর গান শুনায়,
এদের গানে ঊষা জাগে
   দিবস বিদায় পায়।

আমার গ্রামে সকল ঝোপঝাড়
    রাতে জোনাকিতে,
তারায় ভরা আকাশ যেনো
    দেখায় ধরনীতে।

বুক চিরে এর চলে গেছে
    দেশের রেল সড়ক,
মধুর ধ্বনি শুনায় রেলে
   ঝক্-ঝকা-ঝক্ ঝক্।

নিশিতে এ গ্রামে হাঁকে
   শেয়াল শত শত,
ভাবটা যেনো দেখায় তারা
  রাত প্রহরীর মত।

ধর্ম-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষায়
   দীপ্ত আমার গ্রাম,
তাইতো এতো উন্নত আর
    গর্বিত এর নাম।

পূবপাশে এর আছে পাহাড়
  পশ্চিমে ট্রাংক সড়ক,
মাঝে গাছের মেলায় নিবাস
  দেখায় দারুণ চমক।

এর বাগানের বৃক্ষে ফোটে
     রঙ-বেরঙের ফুল,
এদের রূপের আকর্ষণে
     মন করে ব্যাকুল।

দিনে জাগে আকাশরাজ আ
     নিশিতে তার রাণী,
অতি উজ্জ্বল রাখে আমার
     এ প্রিয় গ্রামখানি।

রূপমাখা এ গ্রামটি খ্যাত
  এয়াকুব নগর নামে,
তাইতো বলতে মন ভরে যায়
   জন্মেছি এ গ্রামে।
                 .......

     
    

    

                           

নারীর জিজ্ঞাসা- ১

মুহাম্মদ আদুল মান্নান ইয়াকুবী
       ..........
নিলয়ের কোণে আমি
    কাটাই জীবন,
অচেনাকে করি আমি
   সহজে আপন।

পরের ঘরকে সদা
    করি আলোকিত,
প্রীতির সেবায় নর
      রাখি আমোদিত।

আমার স্বভাব নয়
     পশুর মতন,
হৃদয়টা প্রীতি ভরে
   রাখি সারাক্ষণ।

পুরুষে পায় আমার
     প্রেরণাতে বল,
তাইতো জীবন তার
   পুরোটা সফল।
 
নিশি তার সাজে রাতে
   আমার তারায়,
ভুমি তার প্রাণ পায়
   আমার ধারায়।

প্রীতি আর ত্যাগে করি
     তাকে মহিয়ান,
তবু কেন আমাকে সে
     করে অপমান ?
             ......

আভাস

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

কারো সাথে করি যদি  তোমাকে তুলনা,
তোমার গুণের ধাকে সর্বনিম্নে ধাপ
তুলনায় রাখা হলে হিংস্র বা সাপ,
তাতেও দেখি তোমার  নিরিখ হয় না।
নয় আরো তবতুল্য হিংস্র হায়েনা,
হিংস্র হওয়া এর নয় অভিশাপ,
করে না তোমার মত এটি কোনো পাপ,
অতিলোভে এ প্রাণী প্রলয়ে মাতে না।

করে থাকে স্বাধীনতা জন্তুরা ধারণ,
খায় না হাড়, মাংস, মজ্জা সজাতের,
করে না জাতির এরা বিনাশ সাধন
বহু কল্যাণ এদের পায় লোকজন।
আর, তুমি নাশ কর ঐক্য জাতির,
হারাচ্ছ চমক তাই আসবে পতন।
                  ........

সনেট

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বাংলার সত্যপ্রেমী হে অকুতভয়!
ফাঁসিবরণ করেছ তুমি হাস্যমুখে,
হয়ে গেছ মৃত্যুঞ্জয়ী স্বদেশের বুকে,
এ অন্যায়ে দেশবাশী বাকরুদ্ধ  হয়।

জীবনে তুমি আনতে সত্যের বিজয়,
চুন-কালি ফেলাতে পাপীদের মুখে,
বিষাদ-বহ্নি জ্বালাতে তাগুতের বুকে,
ক্ষমতায় বসে তারা গড়ে বিচারালয়।

ভাড়াটে সাক্ষীরা ডালি সাজালো

 মিথ্যার,
তুমি নাকি ছিলে দেশে নরহত্যাকারী,
এ কারণে রায় পেলে ফাঁসিতে ঝোলার।
এর বিরুদ্ধে চলছে ব্যঘ্রহুংকার,
তোমার সত্যের পাল্লা আজ অতি ভারী,
পাপীদের আর নেই পথ পালাবার।
                 .........

আমার বাংলাদেশ

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সবুজ-শ্যামল ঘেরা
       সূর্যরশ্মি  ভরা,
ফুলে, ফলে,শস্যে ভরা
      রূপমাখা দেশ।

পাখির কূজন ভরা
    বারিস্নাত ধরা,
নিসর্গের দানে ভরা
    সমৃদ্ধ যে দেশ।

  ময়ূরের নাচ করা
      চন্দ্রহাসি ভরা,
  কুহুডাকা যেনো এক
      পরীদের দেশ।

সম্পদের খনি ভরা
    জীবে বনভরা,
রয়েল বেঙ্গল চরা 
    অরন্যের দেশ।

ষড়ঋতু  রূপে যাকে
   রাখে সেরা দেশ,
সে আমার জন্মভুমি
    এ বাংলাদেশ।
           .......

বস্তুবাদের উপহার

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়কুবী

পরিপুর্ণ মানবতার
 নেই লোক আর,
বস্তুবাদে মোহ থাকে
    অধুনা সবার।

সুবিচার নেই আজ
 এ ধামে কোথাও,
নরকের অগ্নি তাই
  জ্বলে ধাউ ধাউ।

কথা-কাজে মিলটাও
    রাখে না জনতা,
পশু ছাড়া মনে কিন্তু
   পোষে না মমতা।

সম্প্রীতিবোধ লোপ
 পাচ্ছে এ ক্ষিতিতে,
থাকছ না লোকজন
   শাস্ত্রীয় নীতিতে।
    
কারো কাছে নেই আদৌ
    চিন্তাটা মৃত্যুর,
বিলাসের মোহে লোক
     থাকছে বিভোর।

পরিবারে নেই আজ
     ঐক্যের বন্ধন,
তাই নিত্য করে সবে
    বিলাপে ক্রন্দন।

তুচ্ছতায় চলে থাকে
  গুম আর খুন,
মুহূর্তেই ঘটে যায়
    অবস্থা করুণ।

নেই আজ মানুষের
    স্বাধীনতা আর,
এ হলো বস্তুবাদের
     সেরা উপহার।
            .........

সাফল্যের অন্তরায়

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
                  .........
পাখি জাগে গাছে আর পশু জাগে বনে,
শাখীর পলবে নাচ, জাগে সমীরণে।

দিগন্ত প্রসারী মাঠে জাগে শ্যাম ঘাস,
জলধির মাঝে জাগে তরঙ্গ-উচ্ছ্বাস।

আকাশে নীরদ জেগে ভেলা হয়ে ভাসে,
ভোরে রবি হেসে হেসে জাগে পুবাকাশে।

বসন্ত ঋতুতে জাগে কোকিলের স্বর,
সমুদ্রের তীরে জাগে সুবিশাল চর।

দিবাশেষে নীলিমায় জাগে চাঁদ-তারা,
প্রকৃতিতে জাগাজাগি চলে মেনে  ধারা।

যথাকালে জেগে সবে সফলতা পায়,
অথচ, অলস থাকে বিভোর  নিদ্রায়।

বিলম্বে সে জেগে নেত্রে শূন্য দেখে ধরা,
অসফল হয়ে তাই, থাকে আধমরা।

                    .........

বস্তুবাদ বনাম অশান্তিবাদ

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

       বস্তুবাদী লোকজন
          ধর্মটা চায় না,
      স্বার্থপর থাকে তাই
         শান্তিটা পায় না।

      শুনতে চায় না তারা
          শাস্ত্রের বচন,
      শয়তানী ধ্যানে মগ্ন
          থাকে সারাক্ষণ।

    নীতির লোক তাদের
          মেলা খুব ভার,     
     নিরীহে পায় না তাই
          সঠিক বিচার।

       সম্প্রীতিভাব তাদের
          নেই আদৌ মনে
      তাই শুধু রাহাজানি
            চলে সবখানে ।

       দূর্নীতি রোধে তাদের
           নেই ত্যাজি মন ,
       শান্তির পায়রা তাই
           ওড়ে না এখন ।
                        .......

একের ভিন্নধর্মী নামতা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

এক একে এক,
             দু' চোখে পৃথিবীটা
              ভাল করে দেখ। 

দুই একে দুই,
              খেতে খুব মজা লাগে
              ইলিশ আর রুই।

তিন একে তিন, 
               বিধাতার নাম জপ্
                রাত আর দিন।

চার একে চার
                   এ মহা বিশ্বটা
                   সৃষ্টি খোদার।

পাঁচ একে পাঁচ,
                 ইঙ্গিতে জ্ঞানীরা
                  সব করে আঁচ।

ছয় একে ছয়,
               সর্বদা থাকে কিন্তু

                সত্যের জয়।

               
সাত একে সাত,
                পোহায় না তাড়াতাড়ি
                 বিপদের রাত।

আট একে আট,
                  যোগাযোগে দরকার
                   ভালো পথ-ঘাট।

নয় একে নয়,
               সবার জীবনে থাকে
                জয়-পরাজয়।

দশ একে দশ,
                 ক্ষমা আর ভালবাসায়
                  সব করে বশ।
                       ........
               
                 
                    
                 

রূপের ফটো দেখে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মিটি মিটি চোখ আর
      মৃদু মৃদু হাসি,'
চাহনিতে ফুটে ওঠে
    প্রীতি রাশি রাশি।

দেখে এ রূপ সবার
     মনে প্রীতি ভাসে,
তাই সব মন বলে
   তোমায় ভালবাসে।।

বাতিল ঘোষিত হোক সু চীর নোবেল পুরষ্কার

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

Peace এবং piece শব্দ দুটি
         ইংরেজি ভাষার,
'শান্তি' অর্থ প্রথমটির আর
       'টুকরো' পরেরটার।

Peace কমিটি বলে খ্যাত
        বিশ্বে যেটি আজ,
সেরা কর্মে নোবেল খেতাব
        দেয়া সেটির কাজ।

ধরায় কারো কোন কর্ম
     শ্রেষ্ঠ যদি হয়,
এ কমিটি থেকে সে লোক
     নোবেল করে জয়।

সু চীও এ পুরস্কারটি
    করেছে অর্জন।
যার দেশবাসী মুসলিম কেটে 
    টুকরো করছে এখন।
     
তার দেশে এ নিধন চলছে
        কচুকাটার মত,
তবু সু চী দেখছে না তা
        থাকছে ঘুমে রত।

এমন বর্বর অবস্থাতে
    সু চীর নীরবতায়,
বুদ্ধ জঙ্গীর মুসলিম হত্যায়
     শক্তি-সাহস যোগায়।

তাই নোবেল তার প্রাপ্তির কারণ
         জানতে ইচ্ছে করে,
মুসলিম কেটে টুকরো করতে
        নাকি শান্তির তরে।

এ নোবেলে ভুষিত সে
   হলে শান্তির জন্য,
Peace কমিটি কর্তৃক হোক তা
     বাতিল বলে গণ্য।
              .......

   
   

          

মিয়নমারে মানবতার কান্না

মিয়ানমারে মানবতার কান্না

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াবুবী

গণতন্ত্রের ছায়াতলে
       মিয়ানমারে চলছে যা,
বিশ্বমুসলিম সম্প্রদায়ের
        দিচ্ছে তা আজ আঁতে ঘা।

মানবতার  বিরুদ্ধে সব
        ঘটছে কর্ম সেখানে,
তবু দেখছি নীরব হয়ে
         আছে মানুষ সবখানে।

ওই অঞ্চলের সৈনিকেরা
          মারছে মুসলিম উল্লাসে,
জনতাও তাদের সাথে
           যোগ দিয়েছে উচ্ছ্বাসে।

হাত-পা বেঁধে জ্যান্ত তাদের
           পুড়ে মারছে দিন ও রাত,
বনছে এতে সভ্যযুগে
             তারাই এখন বন্যজাত।

গাছের সাথে পেরেক মেরে
             নিষ্পাপ মুসলিম শিশুদের,
মারছে নিত্য কাঁদছে না প্রাণ
              এ শূয়ারের বাচ্চাদের।

মুসলিম নরদের লিঙ্গ কাটে
               আর কাটে স্তন যুবতীর,
ইতিহাসে এমন বর্বর
               আচরণের নেই নজির।

ধরে মুসলিম যুবতীদের
               আগে সম্ভ্রম করে নাশ,
পরে তাদের জবাই করে
                ফেলে রাখে নগ্নলাশ।

কারো আবার চোখ ফেলে দেয়
                কারো কেটে দেয় দুহাত,
কাউকে আবার উদম গায়ে
                  দগ্ধলোহার দেয় আঘাত।

ভিক্ষুরাও মারছে মুসলিম
              মানছে না আর ওই ধারা
যে ধারাতে বুদ্ধ ধর্মে
               মহাপাপ কয় জীবমারা।

শান্তির নোবেল প্রাপ্তা সু চী'র
              দেশে চলছে অত্যাচার,
এখন তাকে খুনের নোবেল
                ডেকে দেয়া খুব দরকার।

মিয়ানমারের মুসলিমেরা
                 নিজ দেশে আজ অসহায়,
আর্তনাদে প্রতিবেশি
                  রাষ্ট্রের কাছে আশ্রয় চায়।

দিচ্ছে না কেউ তাদেরকে আজ
                  আশ্রয়ের হাত বাড়িয়ে,
নির্যাতিতের চিৎকার যেনো
                    আকাশ দিচ্ছে ফাটিয়ে।

মুসলিম নিধন চললে বিশ্বে
                   মানবতার পক্ষের দল,
প্যারালাইসিস রোগে ভোগে
                     থাকে না আর কণ্ঠে বল।

মুসলিম ছাড়া যদি কোনো
                   সংখ্যালঘু আঘাত পায়,
মানবতার প্রশ্নে তখন
                   কণ্ঠ সবার বেড়ে যায়।

হুয়াক্কা হুয়া  ধ্বনি তোলে
                দালাল শেয়াল টকশো'তে,
শুনতে করে জ্বালাপালা
                 জনতার কান দুটোতে।

ধর্ম-বর্ণ নির্বিশৈষে
                   মানুষ হবে একজাতি,
শিখে নে সব দালাল তোরা
                   যাদের নেই আজ এ মতি।

মানবতার প্রশ্নে প্রথম
                 পরবি সেরা জীবের সাজ
নির্যাতিত যে ধর্মের হোক
                  তার পক্ষে কর্ ধরায় কাজ।

জাতিসংঘের অন্তর্ভূক্ত
                  হয়েও এ মিয়ানমার,
পাচ্ছে না আজ তার থেকে সে
                    সমাধান এ সমস্যার।

ভুমিকাহীন আছে এখন
                  এ সংঘটি ভুলোকে,
চুনকালি তাই অবিরত
                পড়ছে এটির চাঁদমুখে।

দেখা যাচ্ছে মুসলমানদের
                    বিশ্বে বন্ধু নেই এখন,
ডানে, বাঁয়ে, সামনে, পিছে
                 সুসজ্জিত সব দুশমন।

বলতেছি তাই, সর্ব মুসলিম
            জাগরে তোরা বীরবেশে,
আর কত কাল ভীতু হয়ে
              মরতে থাকবি সব দেশে।

ভুলে যা সব ছোটখাটো
                ভুলভ্রান্তি যার যা আছে,
কোরআন-সূন্নার বিধান মতে
                  একতায় থাক্ সুহাসে।

সত্যের সাধক, মিথ্যা নাশক
                হতে হবে আজ থেকে,
দেখবি তবে, থাকবি ধরায়
                 সর্বসুখ আর রূপ মেখে।

শক্তিতেও থাকবি সেরা
             কাঁপবে ধরা তোর ভয়ে,
নতুবা তোর খবর আছে
               মিয়ানমার দেখ্ চোখদ্বয়ে।

প্রতিবাদের ঝড় তুল্ এখন
          বিষয় নিয়ে মিয়ানমার,
সর্বশক্তি প্রয়োগ করে
           মুুসলিম ভাইদের কর্ উদ্ধার।
                      .......
                

                    

                    

                    
        
        

              
               
                
         

কবি সুমনের লেখা প্রসঙ্গে

  মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

      বাস্তব কথন
      মধুর মতন,
      পড়ে আমার
      জুড়ালো মন।

                       এমন লেখা
                        লেখবে যে জন,
                        সবার প্রিয়
                         হবে সে জন।

      দেখছি এখন,
      এরূপ লিখন,
      লিখেন বঙ্গের
      ব্যঘ্র সুমন।
                           এ লেখা কেউ
                            পড়বে যখন,
                            খুশির পুলক
                             পাবে সে জন।

      ধন্যবাদ তাই
      দিলাম এখন,
      লেখাতে হোক
      খ্যাতি অর্জন।

                              সুখে থাকুন
                              প্রিয় সুমন,
                              চালিয়ে যান
                              আপনার লিখন।
                                      ......

মাস্টার আবুল কাসেম এম, পি স্মরণে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

হে প্রয়াত বিপ্লবী বীর
         সীতাকুণ্ডে এ বাংলার,
বসুন্ধরায় নেই তুমি আর
           স্বপ্নপুরুষ জনতার।

ফুলের মত ফুটে তুমি
          মঞ্জিমা আর সুবাসে,
জনতাকে রাখতে সদা
          নব আশার উচ্ছ্বাসে।

সুবচন আর মিষ্টিহাসি
         ছিল তোমার স্বভাবগুণ,
মনোরঞ্জন রক্ষায় সবার
          ছিলে তুমি খুব নিপুণ।

সত্যনিষ্ঠ ছিলে তুমি
       কথা, কর্ম আর চিন্তায়,
সীতাকুণ্ডের রূপ বর্ধনে
        নিত্য ছিলে ব্যস্ততায়।

এ এলাকায় শিক্ষা-দীক্ষা
        আর প্রযুক্তির উৎকর্ষে,
চপল ঘোড়ার মত তুমি
         ছুটতে মনের হরষে।

ছিলে তুমি জ্ঞানের তাপস
          তাইতো শিক্ষা বিস্তারে,
শিক্ষকতার ভার জীবনে
           নিলে প্রথম নিজ ঘাড়ে।

রাজনীতিতে নিম্ন থেকে
           প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে,
কর্মগুণে এম, পি পদও
             নিয়েছিলে লুফিয়ে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর
          স্বপ্নের বাস্তব রূপদানে,
নিত্য তুমি ব্যস্ত থাকতে
           মিশন এবং ভিশনে।

সীতাকুণ্ডে শান্তি রক্ষায়
                ছিলে তুমি নবদূত,
দেখিয়েছ নিজ জীবনে
              সাম্প্রদায়িক প্রীতিবোধ।

পল্লি থেকে নির্মূল করতে
      জীবনযাত্রার আদিম মান,
তুমি যেনো ছিলে একটি
       কালবৈশাখী তেজীপ্রাণ।

সীতাকুণ্ড সমিতিরও
         ছিলে তুমি রূপকার,
সেবাকর্মে এ সমিতির
       নেই তুলনা দেশে আর।

স্মরণ করছি আমরা তোমায়
                    শ্রদ্ধাভরে নিত্যদিন,
এ লেখাও থাকবে যদ্দিন
                  রাখবে তোমায় অমলিন। 

                   ........... 

প্রশংসা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

তুমি যেনো রূপের খনি,
   রূপ তোমার অতুল,
দেখায় তোমায় আকাশের চাঁদ,
   ধরায় গোলাপ ফুল।

চিন্তা এবং কর্মে তুমি
  যেনো হাতেম তাই,
দুগ্ধসম শূভ্র হৃদয়
     তোমার মাঝে পাই।

কথা তোমার ভাবের সিন্ধু
  ভাব সাগরে ডুবায়,
মনভরে তাই নিত্য বলি
   ভালবাসি তোমায়।

জনতার জিজ্ঞাসা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

আহত খদিজা একটি
    চাঁদের মত মেয়ে,
চোখের পানি পড়ছে সবার
   তাকে দেখতে যেয়ে।

রক্তচোষা জাহেদ নামক
    নরকুলাঙ্গার,
খ্যাত একটি বিদ্যাপীঠের
     শ্রেষ্ঠ জানোয়ার।

প্রেমে সাড়া না দেয়াতে
     খাদিজা তার সাথে,
জখম করে ফেলে তাকে
      চাপাতির আঘাতে।

শিক্ষকগণ ওই বিদ্যাপীঠের
    খ্যাত সুশীল বলে,
তবু এমন শিষ্য তাদের
  দেখছে আজ সকলে।
      
বর্তমানে লোক খুন করা
   স্বাভাবিক ব্যাপার,
খুনির যদি থাকে মামা
   পেয়ে যায় সে পার।

মামা-ভাগ্নের লালন এখন
    বিদ্যাপীঠে বেশি,
তাই সেখানে চলে থাকে
     হিংস্র রেষারেষি।

বিদ্যাপীঠ আজ রক্তখেলার
      যেনো গুণ্ডালয়,
যেখানে রোজ মনুষ্যত্বের
      ঘটছে বিপর্যয়।

হলে সেরা বিদ্যাপীঠের
     অবস্থা এমন,
ঘুচবে না আর দুঃখ জাতির
      চলবে শুধু রোদন।

তাইতো শিক্ষার ত্রুটি কোথায়
      দেখা প্রয়োজন,
চোখবুজে আর থাকবেন না সব
       দেশের বিজ্ঞজন।

মনের পশু দমন করা
      শিক্ষার প্রধান কাজ,
এর পরের কাজ হলো গড়া
       সুখ-শান্তির সমাজ।

শিক্ষার চরম উন্নতির এই
       যুগটিতে সমাজে,
গুম-খুন, ধর্ষণ চলছে হরদম
       সকাল, দুপুর, সাঁঝে।

খাদিজাদের মত দেশে
    হাজার অঘটন,
দেখে হচ্ছে আতঙ্কিত
     নিরীহ লোকজন।

সবাই ধর্মের বিধান মেনে
      চললে পৃথিবীতে,
থাকবে না আর সমাজে কেউ
      পাশবিক নীতিতে।

এ কথাটি মানতে চায় না
    দেশের সুশীলগণ,
তাই সমাজের হচ্ছে এখন
     দ্রুত অধঃপতন।

সুশীল বলে দাবি করেন
     যারা জোর গলায়,
এখন তাদের কি ভুমিকা
     লোকজন জানতে চায়।

      
       
    

      
     

 

মুগ্ধতা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
   
       আজ তব কথা ভাই
             অতীব মধুর,
       শুনলে থাকে  না মন
             বেদনা বিধুর।

        মধুর ঘন্টা তোমার
           দুয়ারে আমার,
         বাজলে অমনি ভাই
           খুলে যাবে দ্বার।

      তোমার বিভাগে আমি
          পাঠাবো কবিতা,
       নিরাশ হয়ো না আর
           কভু তুমি মিতা।
            
       ভবে থেকো ধন্য হয়ে
             ওহে বন্ধুবর,
         এ কামনা তব তরে
              করি নিরন্তর।
                   ......

( বা,ক, স, গ্রুপে কবিতা পাঠানোর অনুরোধে)

বঙ্গভূমির বাঘের দল

( টায়গারদের সৌজন্যে)

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী               

বঙ্গভূমির বাঘের দল,
এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।
প্রতিপক্ষের শক্তি -সাহস,
ভস্ম করতে জ্বাল অনল-
         এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।।

গগনতলে বঙ্গনিশান,
ওড়ায়ে আন খ্যাতির বান।
গর্জিয়ে আজ জাগা ভুবন
মুহূর্তে কর সব দখল-
              এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।।

ধর লাফিয়ে ওই বাঘারে
ভুবন কাঁপে যার হুঙ্কারে
নিমিষে তার গাড় ভাঙ্গিয়ে,
দেখা তোদের থাবার বল-
              এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।।

দেখে তোদের রাঙানয়ন,
বিপক্ষ হোক অবদমন।
এমন বীর্যে থাক রে শীর্ষে
বঙ্গভূমির বাঘের দল-
               এগিয়ে চল, এগিয়ে চল।।
                  ........

স্রষ্টাপ্রীতি

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

পাপ করে না ওই লোকে যার
থাকে স্রষ্টাপ্রীতি
সর্বদা সে মেনে চলে
ধর্ম-কর্ম-নীতি।
মনেও তার কু-প্রবৃত্তি পায় না কভু ঠাই,
জীবনে তাই স্রষ্টাপ্রীতি সবার থাকা চাই।।

মর্তভোগের লোভটা সবার
অতি বেশি থাকে,
তাই পরকাল ভুলে সবাই
ধরার প্রীতি রাখে। 

স্রষ্টাপ্রেমী ধরার প্রেমের বাজায় না সানাই-

জীবনে তাই স্রষ্টা-প্রীতি সবার থাকা চাই।।


ধৈর্য, সত্য, উদারতা,

 সেবা, বিশ্বপ্রীতি,

এসব থাকে স্রষ্টা-প্রেমীর
চরিত্রের মূল নীতি।
শান্তি আনে এসব নীতি মর্তধামে ভাই-
জীবনে তাই, স্রষ্টা-প্রীতি সবার থাকা চাই।।

স্রষ্টা-প্রেমী স্রষ্টা ছাড়া
তুচ্ছ করে ভয়,
তার কাছে সব মিথ্যা শক্তির
ঘটে পরাজয়।
এসো ধরায় স্রষ্টা-প্রীতির পতাকা ওড়াই-
জীবনে তাই, স্রষ্টাপ্রীতি সবার থাকা চাই।।

                       ......

চাটুকারের ধন্যবাদের জবাবে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা নয়
     বলো নরকবাদ,
এ ছাড়াও বলতে পার
বাতাস আর তেলবাদ।

পাম্পার দিয়ে যদি পার
    বাতাস দিতে ভাল,
জীবন তোমার হবে রঙীন
   আর থাকবে না কালো।

নেতাজিকে গন্ধরাজ তেল
  মারতে পারলে আজ,

এধরাতে হয়ে যাবে
    তুমি মহারাজ।


সত্য এবং ন্যায়পরায়ন
   লোকটারে আজ ধরে,
ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রাখ
    জেলখানার ভেতরে।

তবে কিন্তু খবর আছে
    টের পাবে একদিন,
সুখ সাগরের রাজ্য তোমার
      কাল হবে যেদিন।
            ........
           

     

    

কথা

মুহাম্মদুর আবদুল মান্নান ইয়াকুী

কারো মুখের কথা যদি
      কথার মত হয়,
ধরার মাঝে সে কথাটি
      চিরস্থায়াী রয়।

সবে সবার মুখটা করে
     সে কথাটির মুখ,
কাণও খাড়া রাখে সেটি
      শুনে পেতে সুখ।

বিষ আর মধু দুটোই থাকে
    মানুষের কথায়,
শত্রু-মিত্র উভয়টি তাই  
   হয় মুখের ভাষায়।

কথা লোকের ভেতর থাকলে
       থাকে লোকের দাস,
কিন্তু লোক হয় কথারই দাস
       করলে তা প্রকাশ।

মুখে কথা বলার সময়
     না হলে সাবধান,
আপন মুখের কথায় করে
     বিপদ আহ্বান।
           .......

    
   
   

ঠেলা

         ঠেলার সুফল ও কুফল

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

শোনো প্রিয় বন্ধু-বান্ধব
     শোনো দিয়ে মন,
একটি কথা বলব এখন
    রাখবে তা' স্মরণ।

নীতির কথা হবে না তা
   রীতির কথা হবে,
সর্বস্তরের লোক চলতে চায়
     যে রীতিতে ভবে।

ওই রীতিতে থাকে কিন্তু
    আঁকাবাঁকা পথ,
তবু চলে সোজা পথে
    স্বার্থসিদ্ধির রথ।

বলছি শোনো দু' কান পেতে
      কথাটি এবার,
'পৃথিবীতে সব থাকে তার
       ঠেলা আছে যার।'

তবে রীতির এ ঠেলাটি
    ক্ষণস্থায়ী হয়,
সফলতার পরিণামও
     ভয়াবহ হয়।'

নীতির ঠেলার সফলতা
      চিরস্থায়ী থাকে,
ধরার মাঝে ব্যাক্তিকেও
       সসম্মানে রাখে।
              ......

জঙ্গি দমনের গান

    জঙ্গি দমনের গান

        মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

জঙ্গিবাদে ইসলাম কায়েম
করবে বলে যে শালায়,
ধরো তারে, মারো লাথি
মারো চাবুক তার পাছায়।
জিব কেটে দাও এমন কথার
স্বাদ যেনো তার মিটে যায়-
                জঙ্গিবাদে ইসলাম কায়েম
                 করবে বলে যে শালায়।।

জঙ্গির পক্ষে নেই সমর্থন
নেই মুমিন ও মুসলমান,
কোরান, সুন্নাহ মতে হলো
সকল জঙ্গি নাফরমান।
ধরা থেকে নির্মূল তাদের
করে ফেলো ক্ষীপ্রতায় -
                 জঙ্গিবাদে ইসলাম কায়েম
                 করবে বলে যে শালায়।।

তারা ঘটায় লংকা কাণ্ড
সুখ-সমৃদ্ধির এ ধরায়,
তবুও কেন বসে থেকো
তাদের ভয়ে নিরালায়?
হায়দারি হাঁক মেরে তাদের
খতম করো এ বাংলায়-
                 জঙ্গিবাদে ইসলাম কায়েম
                 করবে বলে যে শালায়।।

জঙ্গিদমন কাজটি এখন
হবে সেরা এক জিহাদ,
এ জিহাদে শহীদ হলে
মেলবে খোদার আশীর্বাদ।
এমন কথার দলিল পাবে
ছয় হাদিসের পাক পাতায়-
                জঙ্গিবাদে  ইসলাম কায়েম
                 করবে বলে যে শালায়।।
                       .......

Sorry নয়, আনন্দ

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

Sorry বলে আমার Sorrow
      করলেন আপনি Grow,
এ কারণে মনটা আমার
        করছে দুরুদুরু।

আমার লিখার ওপর দেখে
     আপনার কমেন্টখানা
সত্যই আমি পেয়েছিলাম
      খুশির উন্মাদনা।

আমার ভাবের ব্যাখ্যা আপনি
       করলেন খুশি মনে,
আমিও তাই পাল্টা লেখলাম
       আপনার সমর্থনে।

আপনার লেখা ছিল আমার
      লেখার পরিপূরক,
যে লেখাতে পাইনি আমি,
    কোনো দুঃখের সবক।
                  .......

সর্পমন্ত্রের ব্যাখা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সাপের মন্ত্র বলতে বুঝায়
    সাপ ধরার কৌশল,
এবং একে ধরার কাজে
      রাখা মনে বল।

মন্ত্র মানে, 'ভণ্ডের বচন
     'চং-বরং-মং' নয়,
মন্ত্র শব্দের অর্থ 'কৌশল'
       অভিধানে কয়।

কৌশল প্রয়োগ করা হলে
     দুর্গম পথ হয় সুগম,
জীবনযাত্রার মানটা তখন
      হয়ে যায় উত্তম।

যারা করে কৌশলে কাজ
      তারা থাকে যশে,
অনেক ক্ষেত্রে পৃথিবীও
    থাকে তাদের বশে।

কৌশলকে তাই বলছি মন্ত্র
     শোনেন বন্ধুগণ,
মন্ত্রজ্ঞানে করলে কর্ম
    সুখের হয় জীবন।

সাবধানতা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সাপ খুঁজে ভাই গর্ত পেলে
         গর্ত খুঁজে সাপ,
সাপের মন্ত্র না জানলে ভাই
         করবে না সে মাফ।

ফণা তুলে মারবে ছোবল
      থাকবে না আর প্রাণ,
তাইতো আগে সাপ ধরতে ভাই
       হওয়া চাই সাবধান।

মন্ত্র জানা থাকলে তোমার
     সমস্যা নেই আর,
সর্প করবে নিত্য তোমার
     বশ্যতা স্বীকার।

নারী পারে সাপের মতো
   ছোবল মারতে তাই,
তার সাথে প্রেম গড়তে প্রেমের
        মন্ত্র জানা চাই।
             .......

কৃষিপ্রেমিক খোকা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

চাঁদমুখো এক খোকা মাঠে
      বপন করছে চারা,
নিসর্গে তাই বইছে যেনো
      খুশির পুলকধারা।

বদনে তার ফুলেল হাসি
      বক্ষে নতুন আশা ,
সুখের জোয়ার জাগাবে সে
       তাই হয়েছে চাষা।

বাংলা মাটির তুল্য নহে
      মণি-মুক্তা, সোনা ,
বীজ যদি হয় এ মাটিতে
       সঠিকভাবে বোনা ।

বিশ্বে সবাই জানে বঙ্গ
      কৃষির সেরা দেশ ,
নিত্য যে দেশ ধারণ করে
      লাল-সবুজের বেশ ।

এ মাটিতে কৃষিই আনবে
         রত্ন রাশি রাশি,
তাইতো গর্বে বলে খোকা,
        " কৃষি ভালবাসি। "
                   ......