আল্লাহ ছাড়া কাউকে মদন না করলে তুই ভয়,
দেখবি তবে এ ধরায় তোর জয় হবে নিশ্চয়।
তোকে দেখে শয়তানের দল,
হারাবে তার সাহস ও বল,
বিশ্বে তখন হবি মদন শক্তির এক বিস্ময়।
........
Wednesday, April 26, 2017
উপদেশ (লিমেরিক-৮)
Monday, April 24, 2017
শিক্ষিত বেকারদের ডিজিটাল চিন্তা
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ঘুষ ব্যতিত চাকরি হয় না
শিক্ষা লাভের পরেও,
উচ্চ শিক্ষায় সেরা সনদ
কারো কাছে থাকলেও।
সব যুবক তাই ভাবছে শিক্ষার
দরকার নেই আর দেশটাতে,
এখন তারা করবে সন্ত্রাস
অস্ত্রহাতে একসাথে।
কেড়ে নিতে ধনীদের ধন
করবে তারা মহোৎসব,
তাদের ত্রাসের ভয়ে তখন
থাকবে দেশে সব নীরব।
ঘুষখোরদেরও খুঁজবে তারা
হন্যে হয়ে সবখানে,
বুঝবে এতে ঘুষখোরেরা
ঘুষের মজা জাহানে।
সেয়ানা টেক্স দিতে হবে
নইলে কিন্তু যাবে জান,
বসে বসে বেকার যুবক
করছে শুধু এসব ধ্যান।
শক্তিশালী নেতার পক্ষে
থাকবে তারা সব সময়,
দম্ভে তারা চলবে এতে
জীবন হবে মধুময়।
ত্রাসের রাজ্য গড়বে তারা
লুটপাট করবে এ দেশে
জাতি তখন জ্বলবে যেনো
জাহান্নমের তলদেশে।
.......
Sunday, April 23, 2017
সীতাকুণ্ডের ইতিহাস (সংগৃহিত)
রাচীন নব্যপ্রস্তর যুগে সীতাকুণ্ডে
মানুষের বসবাস শুরু হয় বলে ধারনা
করা হয়। এখান থেকে আবিষ্কৃত
প্রস্তর যুগের আসামিয় জনগোষ্ঠীর
হাতিয়ার গুলো তারই স্বাক্ষর বহন
করে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা
যায়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীতে সম্পূর্ণ
চট্টগ্রাম অঞ্চল আরাকান রাজ্যের
অধীনে ছিল। এর পরের শতাব্দীতে এই
অঞ্চলের শাসনভার চলে যায় পাল
সম্রাট ধর্মপাল দ্বারা এর হাতে
(৭৭০-৮১০ খ্রীঃ)। সোনারগাঁও এর
সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ্
(১৩৩৮-১৩৪৯ খ্রীঃ)১৩৪০ খ্রীষ্টাব্দে এ
অঞ্চল অধিগ্রহন করেন। পরবর্তীতে
১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে সুর বংশের শের শাহ্
সুরির নিকট বাংলার সুলতানি বংশের
শেষ সুলতান সুলতান গীয়াস উদ্দীন
মুহাম্মদ শাহ্ পরাজিত হলে হলে এই
এলাকা আরাকান রাজ্যের হাতে চলে
যায় এবং আরাকানীদের বংশধররা এই
অঞ্চল শাসন করতে থাকেন।
পরবর্তীতে পর্তুগীজরাও
আরাকানীদের শাসনকাজে ভাগ বসায়
এবং ১৫৩৮ খ্রী: থেকে ১৬৬৬ খ্রী:
পর্যন্ত এই অঞ্চল পর্তুগীজ ও
আরাকানী বংশধররা একসাথে শাসন
করে। প্রায় ১২৮ বছরের রাজত্ব শেষে
১৯৬৬ খ্রী: মুঘল সেনাপতি বুজরুগ উন্মে
খান আরাকানীদের এবং পর্তুগীজদের
হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করে নেন।
পলাশীর প্রান্তরে নবাব
সিরাজউদ্দেৌলার পরাজয়ের পর এই
এলাকাটিও ইংরেজদের দখলে চলে
যায়। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে স্বদেশী
আন্দোলনের সময় এই অঞ্চলের কর্তৃত্ব
স্বদেশীদের হাতে আসে। ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
এই এলাকাটি ২ নম্বর সেক্টরের
অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ভাষা ও সংষ্কৃতি
সীতাকুন্ড উপজেলার ভূ-প্রকৃতি ও
ভৌগলিক অবস্থান এই উপজেলার
মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি গঠনে
ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের
দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত এই
উপজেলাকে ঘিরে রয়েছে পাহাড়
আর সমুদ্র।এখানে ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলার
মতই, তবুও কিছুটা বৈচিত্র্য খুঁজে
পাওয়া যায়।চট্টগ্রামের আঞ্চলিক
ভাষা এ অঞ্চলের অনন্য বৈশিষ্ট্য।
বিশেষতঃ সন্দীপ ,সীতাকুন্ড,চট্টগ্রাম
অঞ্চলের মানুষের সংমিশ্রনে
সীতাকুন্ডের ভূ-প্রকৃতি নির্ধারিত
হয়েছে। ভূতত্ত্ববিদদের মতানুসারে
ফেনী নদী থেকে আরম্ভ করে
চন্দ্রনাথ পাহাড় তথা সীতাকুন্ড
পাহাড় শ্রেনীর পশ্চিমাঞ্চল,
দক্ষিনে কর্ণফলী পর্যন্ত এলাকাটি
প্রাচীন কালে সমুদ্রের জলরাশির
তলায় নিমজ্জিত ছিল । পরবর্তীতে
ফেনী নদীর স্রোতধারা এবং
সীতাকন্ড পার্বত্য অঞ্চল থেকে
প্রবাহিত বিভিন্ন ছরা স্রোতধারার
মাধ্যমে বাহিত পলি মাটি দ্বারা এই
অঞ্চল গঠিত হয় । প্রথম দিকে এই
এলাকাটি জঙ্গলাকীর্ণ ছিল,
বাসপোয়োগী ছিল না । প্রকৃতির
ক্রমবিবর্তনে এই পাহাড়ী অঞ্চলটি
পশ্চিমদিকে সম্প্রসারিত হয় এবং
কালক্রমে বাসপোয়োগী হয়ে উঠে।
প্রথম দিকে অঞ্চলটিতে আদি
অধিবাসীরাই বসবাস করত । সেই আদি
অধিবাসিদের বংশধরেরা আজও
সীতাকুন্ড পার্বত্য অঞ্চলে ছড়িয়ে
ছিটিয়ে বসবাস করছে । আরও পরে
ত্রিপুরা ,নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম
জেলার সীতাকুন্ড পাহাড়ের পূর্ব
পার্শ্বে অবস্থিত অঞ্চল হতে আগত
জনগোষ্ঠী জঙ্গলকেটে এই অঞ্চলকে
বাসপযোগী করে তোলে । এই
অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে পার্বত্য
ত্রিপুরা মহারাজ এবং আরাকান
রাজার সাথে অনেক বার দ্বন্দ্ব
হয়েছে। কখনও আরাকান রাজারা এই
অঞ্চল শাসন করেছে । আবার কখনও
পার্বত্য ত্রিপুরার আগরতলা মহারাজা
এ অঞ্চল শাসন করেছে। আরাকান
রাজাদের শাসনামলে এখানে মগেরা
বসতি বিস্তার করে । আগরতলা
মহারাজার শাসনামলে ত্রিপুরার
জনগোষ্ঠিও এখানে বসবাস করে। অপর
পক্ষে পর্তুগীজ জলদস্যুরা সমুদ্র পথে
চট্টগ্রাম এসে চট্টগ্রামকে পোর্টো
গ্রান্ডো নাম করন করে সন্ধীপ
দ্বীপকে কেন্দ্র করে তারা এতদ
অঞ্চলে বসবাসও করেছে। সমসায়িক
সময়ে আরবেরাও সমুদ্র পথে এ অঞ্চলে
আগমন করেছে। এবং কেউ কেউ
স্থানীয় ভাবে বসতি স্থাপনও
করেছিল। যারা নোয়াখালী জেলার
দাদরা থেকে এখানে এসে বসবাস
করেছিল তারা দারাইল্যা হিসেবে
পরিচিত যারা তারাসরাইল থেকে
এদিকে এসে বসতি স্থাপন করেছিল
তারা সরাইল হিসেবে পরিচিত । যারা
সন্ধীপ থেকে এদিকে এসে বসতি
স্থাপন করেছিল তারা সন্ধীপী
হিসেবে পরিচিত। উত্তর ও মধ্য
চট্টগ্রাম থেকে যারা এখানে এসে
বসতি স্থাপন করেছিল তারা
চট্টগ্রামী হিসেবে পরিচিত। বলতে
গেলে বিভিন্ন শোনিত ধারার
মিশ্রণে এতদাঞ্চলে একটি শংকর
জনগোষ্ঠি গড়ে ওঠে এবং তার প্রমান
পাওয়া যায় এ অঞ্চলের
অধিবাসীদের ভাষা,সংস্কৃতি
চালচলন ইত্যাদিতে। যাতে
নোয়াখালী,কুমিলস্নার প্রভাব
পরিলক্ষিত হয়-যা একটি স্বতন্ত্র
বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক।
সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়
বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু
ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে
খ্যাত চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড। শুধু
তাই-ই নয় এই স্থানটি বর্তমানে পর্যটক
আকর্ষণেও অনেকটা এগিয়ে। বিশেষত
সীতাকুন্ডের অপরূপ প্রাকৃতিক
সৌন্দর্য্য যেকোনো ভ্রমণকারীকে
আপন করে নিতে সক্ষম। সীতাকুন্ডের
সবচাইতে দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে
অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র হলো â
€œচন্দ্রনাথ পাহাড়â€। সীতাকুন্ড
বাজার থেকে পূর্ব দিকে মাত্র ৪
কিলোমিটার দূরে এই পাহাড়টি
অবস্থিত। জনশ্রুতি রয়েছে যে,
নেপালের এক রাজা ঘুমের মধ্যে
পৃথিবীর পাঁচ স্থানে শিব মন্দির
স্থাপনের আদেশ পান। স্বপ্নে আদিষ্ট
হয়ে নেপালের সেই রাজা পৃথিবীর
পাঁচ স্থানে পাঁচটি শিব মন্দির স্থাপন
করেন। এগুলো হলো – নেপালের
পশুপতিনাথ, কাশিতে বিশ্বনাথ,
পাকিস্তানে ভুতনাথ, মহেশখালীর
আদিনাথ এবং সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ
মন্দির। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস
থেকে যতটুকু জানা যায় প্রাচীন
আমলে এখানে মহামুনি ভার্গব বাস
করতেন। অযোধ্যার রাজা দশরথের
পুত্র রামচন্দ্র তার বনবাসের সময় এই
স্থানে এসেছিলেন। মহামুণি ভার্গব
রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র আগমন
করবেন জেনে তাদের গোসল করার
জন্য এখানে তিনটি কুন্ড সৃষ্টি করেন।
রামচন্দ্রের সাথে তার স্ত্রী সীতাও
এখানে এসেছিলেন। রামচন্দ্রের
স্ত্রী সীতা এই কুন্ডে গোসল
করেছিলেন এবং সেই থেকে এই
স্থানের নাম সীতাকুন্ড। প্রাচীন
নব্যপ্রস্তর যুগে সীতাকুণ্ডে মানুষের
বসবাস শুরু হয় বলে ধারনা করা হয়।
এখান থেকে আবিষ্কৃত প্রস্তর যুগের
আসামিয় জনগোষ্ঠীর হাতিয়ার গুলো
তারই স্বাক্ষর বহন করে। ইতিহাস
থেকে যতটুকু জানা যায়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম
শতাব্দীতে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম অঞ্চল
আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিল। এর
পরের শতাব্দীতে এই অঞ্চলের
শাসনভার চলে যায় পাল সম্রাট
ধর্মপাল দ্বারা এর হাতে (৭৭০-৮১০
খ্রীঃ)। সোনারগাঁও এর সুলতান
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ্ (১৩৩৮-১৩৪৯
খ্রীঃ)১৩৪০ খ্রীষ্টাব্দে এ অঞ্চল
অধিগ্রহন করেন। পরবর্তীতে ১৫৩৮
খ্রীষ্টাব্দে সুর বংশের শের শাহ্
সুরির নিকট বাংলার সুলতানি বংশের
শেষ সুলতান সুলতান গীয়াস উদ্দীন
মুহাম্মদ শাহ্ পরাজিত হলে হলে এই
এলাকা আরাকান রাজ্যের হাতে চলে
যায় এবং আরাকানীদের বংশধররা এই
অঞ্চল শাসন করতে থাকেন।
পরবর্তীতে পর্তুগীজরাও
আরাকানীদের শাসনকাজে ভাগ বসায়
এবং ১৫৩৮ খ্রী: থেকে ১৬৬৬ খ্রী:
পর্যন্ত এই অঞ্চল পর্তুগীজ ও
আরাকানী বংশধররা একসাথে শাসন
করে। প্রায় ১২৮ বছরের রাজত্ব শেষে
১৯৬৬ খ্রী: মুঘল সেনাপতি বুজরুগ উন্মে
খান আরাকানীদের এবং পর্তুগীজদের
হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করে নেন।
পলাশীর প্রান্তরে নবাব
সিরাজউদ্দেৌলার পরাজয়ের পর এই
এলাকাটিও ইংরেজদের দখলে চলে
যায়। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে স্বদেশী
আন্দোলনের সময় এই অঞ্চলের কর্তৃত্ব
স্বদেশীদের হাতে আসে। ১৯৭১ সালে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
এই এলাকাটি ২ নম্বর সেক্টরের
অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
Name:
পল্লী শিশুদের গান
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
পল্লিতে বাস করি আমরা
পল্লি ভালবাসি,
নিত্য আমরা সবুজ পল্লির
রূপসাগরে ভাসি।
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
সোনার চেয়ে বেশি খাঁটি
পল্লি মায়ের মাটি,
যে মাটিতে আমরা সবার
আছে বসতবাটি।
জাতিকেও এ পল্লি দেয় রত্ন রাশি রাশি-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
নানা রঙের পাখি পল্লির
বৃক্ষে করে গান,
এদের মধুর গানের কণ্ঠে
জুড়ায় সবার প্রাণ।
নয়ন জুড়ায় দেখলে পল্লির ফুল ও ফলের হাসি-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
আমরা সবার বাপ-দাদাগণ
গাঁয়ে করেন চাষ,
তাঁদের কঠোর শ্রমে জোগায়
গোটা জাতির আশ।
শ্রমবিমুখ হলে তাঁরা বাঁচবে না দেশবাসী।।
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ আর ফলে
রসনা হয় সরস,
পেতো না কেউ এসব খাবার
চাষী হলে অলস।
গর্ব যে তাই আমরা সবার বাপ-দাদা হন চাষী-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
আমরা সবে এ প্রতিজ্ঞা
ব্যক্ত করছি আজ,
শিক্ষা অর্জন শেষে করবো
পল্লির পক্ষে কাজ।
ফুটাবো এর উন্নয়নে সবার মুখে হাসি-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
.........
Saturday, April 22, 2017
পল্লী শিশুদের গান
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
পল্লিতে বাস করি আমরা
পল্লি ভালবাসি,
নিত্য আমরা সবুজ পল্লির
রূপসাগরে ভাসি।
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
সোনার চেয়ে বেশি খাঁটি
পল্লি মায়ের মাটি,
যে মাটিতে আমরা সবার
আছে বসতবাটি।
জাতিকেও এ পল্লি দেয় রত্ন রাশি রাশি-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
নানা রঙের পাখি পল্লির
বৃক্ষে করে গান,
এদের মধুর গানের কণ্ঠে
জুড়ায় সবার প্রাণ।
নয়ন জুড়ায় দেখলে পল্লির ফুল ও ফলের হাসি-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
আমরা সবার বাপ-দাদারা
গাঁয়ে করে চাষ,
তাঁদের কঠোর শ্রমে জোগায়
গোটা জাতির আশ।
শ্রমবিমুখ হন না তাঁরা বাঁচাতে দেশবাসী।
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
মাছ, মাংস, ডিম, দুধ আর ফলে
রসনা হয় সরস,
পেতো না তা দেশবাসীরা
চাষী হলে অলস।
গর্ব করি আমরা সবার পিতা পল্লির চাষী-
আমরা পল্লি ভালবাসি।।
আজকে আমরা ব্যক্ত করছি
মনের অভিলাষ,
কৃষি কাজের দ্বারা করবো
দারিদ্র্য বিনাশ।
কৃষীতে দেশ করবো ধনী, দেখবে বিশ্ববাসী-
আমরা পল্লী ভালবাসি।।
Wednesday, April 19, 2017
মশার গর্ব-২
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আমি থাকি ঝোপে এবং
নালা-নর্দমায়,
বিচরণও করে থাকি
যে কোনো যায়গায়।
স্কুল, কলেজ, ঘর-বাড়ি আর
অফিস-আদালতে,
সগৌরবে থাকি আমি
নিত্য যাতায়তে।
সর্ব প্রাণীর অঙ্গ হলো
আমার বসার আসন,
যে আসনে বসে আমি
রক্ত করি চোষণ।
রক্তের খুঁজে ওড়াওড়ি
করি এদিক সেদিক,
লক্ষমাত্রা নির্ধারণও
করে থাকি সঠিক।
আমার গমন পথে বাঁধা
না পেরে লোক দিতে,
রাতে আশ্রয় নিয়ে থাকে
ভয়ে মশারিতে।
.......
জাগবো আমরা
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
জাগবো আমরা নতুন সাজে
আজকে খুশি মনে,
খুশবুদেহে সাঙ্গ করবো
দিনটি আলিঙ্গনে।
উঁচু-নিচুর বিভেদ আমরা
রাখবো না আজ আর,
সবার তরে রাখবো আমরা
হৃদয়টা উদার।
সুখ-দুঃখ যার যা আছে তা
করবো ভাগাভাগি,
হয়ে যাবো ত্যাগী আমরা
সবাই সবার লাগি।
এসো ঈদের নতুনত্বে
নতুন সমাজ গড়ি,
সবাই মিলে আজ আমরা এ প্রতিজ্ঞা করি।
........
ঈদ মানে
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ঈদ মানে হাসি-খুশি
নয় দ্বেষ, দ্বন্দ্ব,
ঈদ মানে বাদ দেয়া
কর্ম হলে মন্দ।
ঈদ মানে করা সবে
নব সাজগোজ,
ঈদ মানে ঘরে ঘরে
থাকা প্রীতিভোজ।
ঈদ মানে নয় কেউ
প্রীতি- ঐক্য ভিন্ন,
ঈদ মানে থাকবে না
মূলে কেউ ছিন্ন।
ঈদ মানে রাখা সবে
পবিত্র মনটা,
ঈদ মানে কেটে দেয়া
উল্লাসে দিনটা।
.....
স্বাধীনতা-২
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
স্বাধীনতা তুমি আমার
প্রস্ফুটিত ফুল,
স্বাধীনতা তুমি আমার
শান্তি সুখের মূল।
স্বাধীনতা তুমি আমার
নির্ভয়ে পথ চলা,
স্বাধীনতা তুমি আমার
মায়ের ভাষা বলা।
স্বাধীনতা তুমি আমার
অথৈ জলের কূল,
স্বাধীনতা তুমি আমার
অস্তিত্বেরই মূল।
স্বাধীনতা তুমি আমার
প্রীতির দোলে দোলা,
স্বাধীনতা তুমি আমার
উন্নতির ঢেউ তোলা।
স্বাধীনতা তুমি আমার
নাগর দোলার দোল,
স্বাধীনতা তুমি আমার
বিজয় ধ্বনির ঢোল।
স্বাধীনতা তুমি আমার
ন্যায়ের পথে চলা,
স্বাধীনতা তুমি আমার
সঠিক কথা বলা।
স্বাধীনতা তুমি আমার
প্রাণের ধন অতুল
স্বাধীনতা তুমি আমার
বঙ্গমাতার কোল।
......
অন্তমিলে 'পতঙ্গ'এর প্রতিশব্দ
পত্রী, পক্ষী, নভশ্বর, খগ,
বিহঙ্গ, বিহগ,
পতত্রী, দ্বিজ, পাখি খেচর
পক্ষধর, পতগ।
অন্তমিলে কান্নার প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
কান্নাকাটি, অশ্রুবর্ষণ
ঢুকরানো, কাঁদন,
কান্না, কাঁন্দন, ক্রন্দ, বিলাপ
অশ্রুপাত, রোদন।
অন্তমিলে চাঁদের প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
চন্দ্রমা, জ্যোৎস্নানাথ
শশী, ক্ষপানাথ,
কলাধর, ক্ষপাকর
চাঁদ, নিশানাথ।
ক্ষপাপতি, ঋক্ষরাজ
মাস, শিতাংশু,
উডুপ, ওষধিনাথ
ইন্দু হিমাংশু।
তারানাথ, কলাভৃত
কামী, সুধাকর,
ঋক্ষেশ, অমৃতাংশু
সোম, শশধর।
দ্বিজরাজ, সুধানিধি
বিধু, তারাপতি
রাকেশ, রজনীকান্ত
চন্দ্র, নিশাপতি
সুধাংশু, সুধাময়,
চন্দ, মৃগাংঙ্ক,
নিশাকর, পক্ষধর
চন্দ্রিকা, শশাঙ্ক।
অন্তমিলে নারীর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
রমনী, প্রমদাজন,
অবলা, কামিনী,
মেয়েলোক, রামা, মেয়ে,
স্ত্রীলোক, ভাগিনী।
মানবী, মানুষী, যোষা
জেনানা, ললনা
আওরত, মানবিকা
মহিলা, অঙ্গনা।
বনিতা, ভামিনী, নারী
বালা, প্রণয়িনী।
যোষিতা, শর্বরী, বামা
প্রতিপদর্শিনী।
......
অন্তমিলে মৃত্যুর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ইন্তেকাল, মর, মরা, প্রয়ান
চিরবিদায়, নিধন,
কবর গমন, জান্নাত গমন,
চিরবিশ্রাম, মরণ।
মান্দ্য, অত্যয়, উপরতি,
বিলোপ, চিরশয়ন,
চিরনিদ্রা, শেষনিশ্বাসত্যাগ,
না-ফেরারদেশ গমন।
নিপাত, প্রত্যয়, পটল তোলা,
উৎক্রম, মহাপ্রয়ান।
জীবনহানি, অক্কাপ্রাপ্তি,
অক্কা, দেহাবসান।
লোকান্তর, নাশ, মৃত্যুবরণ,
কালনিদ্রা, প্রাণত্যাগ,
জীবনান্ত, জীবনবিনাশ,
যম, শব, দেহত্যাগ।
........
অন্তমিলে খ্যাতির প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
প্রসিদ্ধি,প্রতিষ্ঠা খ্যাতি,
যশ, নামযশ,
নিরুপাখ্য, নামডাক,
মান, হাতযশ।
সুপ্রসিদ্ধি, সুপ্রতিষ্ঠা,
সম্মান, সুনাম,
প্রখ্যাতি, বিখ্যাতি, কীর্তি
রুঢ়ি, খুশনাম।
প্রসার, কীর্তি, সুবাদ,
নিরিপাখ্য, প্রখ্যা,
কদর, প্রচার, নাম,
বিশ্রুতি, অভিখ্যা।
প্রতিপত্তি, পরিচিতি
সুখ্যাতি, স্বাখ্যাতি,
নামধাম, নামকরা
আখ্যা, যশখ্যাতি।
.........
অন্তমিলে হাতের প্রতিশব্দ
মুহামদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
হস্তক, পাণি, পার্শ্ব, বাহু,
নড়ী, নুলো, কর,
অহন বাহু, আয়ত্তি, ভুজ
হস্ত, কর্মি, ঝর।
........
অন্তমিলে 'মুক্তি'এর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী
স্বাধীনতা, মুক্তি, খালাস
উদ্ধার, রেহাই, ত্রাণ,
মোচন, নিস্তার, অব্যাহতি
ছাড়া, পরিত্রাণ।
......
অন্তমিলে, মহৎ/ বড়
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
বুহৎ, উচু, ধনী, শীর্ষ
উচ্চ, মহৎ, শ্রেষ্ঠ,
উদার, নেহাত, দীর্ঘ, লম্বা
জ্যেষ্ঠ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
অত্যুন্নত, পরম, প্রবল,
সেরা, সম্মানিত,
দাম্ভিক, প্রাংশু, অহংকারী
সমুচ্চ, গর্বিত।
......
অন্তমিলে বিদ্যুৎ এর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
বজ্রপাত, অনুপ্রভা
তড়িত, চপলা,
বিজলি, অশনি, শক্তি
অনুভা, চঞ্চলা।
বিদ্যুৎ, বাজ, চিক্কুর
ঠাঠা, সৌদামিনী,
চঁচলা, অচির, বজ্র
বিদ্যুৎ, দামিনী।
.......
অন্তমিলে 'ঢেউ' এর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ঢেউ, বীচি, দোলা, ঊর্মি
তরঙ্গ, কল্লোল,
লহর, তরঙ্গাতঙ্গ
উত্তাল, হিল্লোল।
তরঙ্গলহরী, বান
জোয়ার, উল্লোল,
জলকল্লোল, লহরী
তরঙ্গহিল্লোল।
.....
অন্তমিলে আনন্দের প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ফুর্তি, পুলক, হর্ষ, হাসি
বাসনা, সন্তোষ,
হাসিখুশি, মজা, উল্লাস
তুষ্টি , পরিতোষ।
উচ্ছ্বাস, আরাম, পরিতুষ্টি
আহলাদ, প্রমোদ,
স্ফুর্তি, লীলা, মজা, রঙ্গ
সন্তুষ্টি, আমোদ।
চিত্তপ্রসাদ, অনুরঞ্জন
উৎফুল্লতা, স্বাদ,
অভিরুচি, পরিতৃপ্তি,
সুখ, চিত্তপ্রসাদ।
.......
অন্তমিলে কন্যার প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
কন্যা, নন্দিনী, মাইয়া
কন্যকা, পুত্রিকা,
দুলালি, দুহিতা, খুকি
অঙ্গজা, দারিকা।
ঝি, আত্মসম্ভবা, মেয়ে
তনয়া, অন্তজা,
পুত্রী, ঝিউড়ি , ঝিয়ারী
তনুজা, দেহজা।
.......
অন্তমিলে 'মা' এর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আম্মা, অম্বা, অম্বালা, মা
মাতৃ, অম্বালিকা,
প্রসূতি, আই, জন্মধাত্রী
জন্মদা, জনিকা।
প্রজনিকা, প্রজয়িনী
অম্বিকা, জননী,
জনয়িত্রী, ঠাকরুণ, ধাত্রী
পালয়িত্রী, জনি।
.......
অন্তমিলে স্ত্রীর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী
অর্ধাঙ্গী, ধনিকা, বউ
রমনি, গৃহিনী,
ঘরনি, মেম, বেগম
স্ত্রী, সহধর্মিনী।
বেগমসাহেবা, ভার্ষা
কলত্র, দয়িতা,
গৃহদেবী, জানি, বধু
আয়তি, বনিতা।
গৃহলক্ষী, বিবি, প্রেয়সী
দারা, ভ্রাত্রী, গিন্নি,
জানানা, অঙ্গনা, জায়া
গৃহলক্ষ্মী, পত্নি।
জীবনসঙ্গিনী, মাগ
ধর্মপত্নী, দার,
গৃহকর্তী, ক্ষেত্র, কর্ত্রী
রাণি, পরিবার।
....
অন্তমিলে 'সাহসী' এর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ভয়হীন, অশঙ্কিত,
অভীত,নিঃশঙ্ক,
স্পর্ধা, অভি, ভয়হারা
উদ্ধত, অশঙ্ক।
নিরাতঙ্ক, ভীতিশূন্য,
নির্ভীক, নির্ভয়,
শঙ্কাহীন, নির্বিশঙ্ক,
অভীক, অভয়।
.......
অন্তমিলে স্বর্গের প্রতিশব্দ
যমুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
স্বর্গলোক, স্বর্গধাম
নভঃ দেবলোক,
স্বর্গরাজ্য, দেবালয়
স্বর্গ, ধ্রবলোক।
অমরা, অমরধাম
ব্যোম, স্বর্গপুরী,
দ্যুঃ অমর্ত্যলোক,
জান্ন, দেবপুরী।
অমরালোক, ত্রিবিদ
স্বঃ, অমৃতলোক,
ঊর্ধ্বলোক, অক্ষয়লোক,
অমর্ত্যভুবন।
অমরালয় জান্নাত
শ্বর, পুণ্যলোক,
অমর্ত্যধাম, ইন্দ্রপুর
ভেস্ত, ইন্দ্রলোক।
.......
অন্তমিলে সূর্যের প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আদিত্য , সূর্য, তপন,
রবি, প্রভাকর
দিনমণি, দিননাথ
দিনেশ, ভাস্কর।
আংশুমালী, পূষণ
বিভাকর, ভানু
বিভাবসু, ঊষাপতি
ধুপ, চিত্রভানু।
আংশুমান, মার্তন্ড
অর্ক, দিনকর,
কিরণমালী,অরুণ
সূর, দিবাকর।
দিবাবসু, সূর্যলোক
রৌদ্র, দিনপতি,
সাবিতা , মিত্র, মিহির
রোদ,পূষ্য, জ্যোতি।
.........
অন্তমিলে স্রষ্টার প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আল্লাহ, খোদা, অন্তর্যামী
ইলাহি, বিধাতা,
পরমাত্মা, জগৎপিতা,
দয়াল, পরমদাতা।
ব্রহ্ম,ঋভু, আলমপনা,
স্রষ্টা, বিভু, পরেশ,
পৃথ্বিশ, বিধি, জগৎস্রষ্টা,
জগন্নাথ, অমরেশ।
উপাস্য, ঈশ, পরমপুরুষ,
ভগবান, জগতময়
বিশ্বপতি, জগদিশ্বর,
জীবিতেশ, দয়াময়।
সৃষ্টিকর্তা, মঙ্গলময়, রব
রহিম, রহমান,
অমর্ত্য, পর, গোস্বামী, ঋত,
সর্বশক্তিমান।
পরমেশ্বর, জগদ্বন্ধু,
মালিক, অক্ষয়, অমর,
সর্বদ্রষ্টা, মহাবিজ্ঞ,
নিরঞ্জন, অধীশ্বর।
নিকায়, অব্যয়, মহামহিম
পরমসত্তা, ঈশ্বর,
জীবিতেশ্বর, অদ্বিতীয়,
জগতকর্তা, অজর।
বিশ্বপালক, পালনকর্তা,
আদিনাত, প্রেমময়,
পরমসত্তা, অসীম, প্রভু,
মনিব, করুনাময়।
অন্তমিলে পৃথিবীর প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ভূ, দুনিয়া, পৃথিবী, গো
সংসার, মর্ত, ধরা,
মোদিনী, স্থল, উর্বি, বিশ্ব
ভূমি, বসুন্ধরা।
বসুমতি, বসুমাতা,
মুত্তিকা, ভূমন্ডল,
ধরিত্রী, ধাম, স্থলভাগ, জগৎ,
ক্ষিতি, জমি, ভূতল।
ধরণী, ভব, মাটি, জাহান,
অয়ন, মর্তধাম,
পৃথ্বি, মহি, অচলা, জ্যা,
ক্ষৌণী, ধরাধাম।
সংসার, ধুলা, বিশ্বজগৎ
চরাচর, সংসার,
ইহলোক, লোক, পার্থিব জীবন,
ক্ষেত্র, জীবাধার।
.......
অন্তমিলে বাতাসের প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
অগ্নিসখ, শব্দবহ,
বায়ু, সমীরণ,
জগতায়ু, বহ্নিসখ
পাক, প্রভঞ্জন।
জগৎপ্রাণ, অনিল
সমীর, ফেরান,
গন্ধবাহ, জগদ্বল
বাত, পবমান।
নভঃশ্বাস, সদাগতি,
বাতাস, মারুত
মাতরিশ্বা, শ্বাস, দম
আবর্ত, মরুৎ।
নভশ্চর, নভস্বান
আশুগ, পবন,
গন্ধবহ, বাষ্প, বায়
হাওয়া, ঘূর্ণন।
........
অন্তমিলে পরশ্রীকাতরতার প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
খলতা, অসুয়া, ঈর্ষা
মাত্সর্ষ, দ্বেষ,
রিষ, আড়ি, চিত্তদাহ
অবজ্ঞা, বিদ্বেষ।
অভিষঙ্গ, অন্তর্দাহ
হিংসা, বৈরিতা,
রেষারেষি, বৈরিভাব
রেষ, বিরোধিতা।
.....
অন্তমিলে বনের প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
অরণ্য, ঝোপজঙ্গল
বিপিন, জঙ্গল,
ঝোপ, কান্তার, বনভূমি
বন, বনাঞ্চল।
ঝোপঝাট, বনবাদাড়
বাদাড়, বনানী
অটবি, কানন, কুঞ্জ
দাব, অরণ্যানী।
......
অন্তমিলে ইচ্ছার প্রতিশব্দ
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আশা, মতি, অভিরুচি
প্রবৃত্তি, এষণা,
মনোবাঞ্ছা, মনোরথ,
চাওয়া, প্রার্থনা।
অভিপ্রায়, মনোষ্কাম
অভিলাষ, ঈপ্সা,
মনোবাসনা, মানস
দোহদ, অভিপ্সা।
স্পৃহা, বাঁছা, সংকল্প
বাঞ্ছা, ইচ্ছা, কাঙ্ক্ষা,
কামনা, বাসনা, সাধ
উমেদ, আকাঙ্ক্ষা।
অন্তমিলে আকাশের নাম
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
অম্বর, নীলিমা, নভ,
ব্যোম, শূন্যলোক,
সুরপথ, আসমান,
নাক, নভোলোক।
দ্যুলোক, অনন্ত, খগ
নক্ষত্রমণ্ডল,
নভস্থল, নীলাম্বর,
খ, নভোমণ্ডল।
আকাশ, অনন্ত, নীল
দ্যু, বায়ুমন্ডল,
অভ্র, শূন্য, অন্তরীক্ষ,
গগন, অঁচল।
.....