Sunday, December 11, 2022

মহানবী (স.) এর জন্মদিনে

মহানবী (স.) এর জন্মদিনে

     মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

স্বর্গীয় পুলক আজ আকাশের মাঝে,
ধরাও জেগেছে এক অপরূপ সাজে।

ঘুম থেকে জেগে সবে আঁখি মেলে আজ,
চারদিকে দেখে শুধু মনোলোভা সাজ।

মোহিত সবাই আজ ভোরের আলোয়,
প্রবাহিত হচ্ছে ছন্দে কোমল মলয়।

সর্বত্র ছড়ায় এটি মোহনীয় ঘ্রাণ,
নিঃশ্বাস আর প্রশ্বাসে ভরে যায় প্রাণ।

পাখিরা ধরেছে তান শাখায় শাখায়,
অপূর্ব সুরে সবার হৃদয় মাতায়।

রবির উজ্জ্বলতায় নেই আজ জ্বালা,
মহানন্দে ছুটোছুটি করে মেঘমালা।

ফুলে ফুলে রাঙা আজ সকল কানন,
পুলকের রাজ্য যেন নিখিল ভুবন।

কীট-পতঙ্গ বিহগ আর পশু যত,
তারাও রয়েছে খুব আহ্লাদে রত।

হিংসা-বিদ্বেষ আজ নেই কারো মনে
প্রীতিবিনিময় শুধু চলে জনে জনে।

কেন আজ দিন ভবে এত মধুময়?
সবমুখে এটি শুধু বলাবলি হয়!

ছিল সেটি রবিউল আওয়াল মাস,
এর বারো তারিখেই জাগে উচ্ছ্বাস।

আবির্ভাব হয়েছিল সেদিন নবীর,
তাই ওই দিন ছিল এতই খুশির।
                     ........

Tuesday, December 6, 2022

শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুক

শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুক 
     মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

যৌতুক দেয়া এবং নেয়া
    দুটোই অপরাধ,
এ কাজে তাই সর্বলোকে
    জানায় নিন্দাবাদ।

যৌতুক নিয়ে বিয়ে-শাদি
       করে থাকে যারা,
শ্বশুরবাড়ির নিম্নস্তরের
     ভিক্ষুক হলো তারা।

নারী-পুরুষ যখন হবে
    যুগলবন্দি ভবে,
তখন তাদের পরস্পরের
   জীবন সার্থক হবে।

এ কারণে দুয়ের মাঝে 
    ঘটাতে মেলবন্ধন,
মানবরাজ্যে চলে থাকে
    বিয়ের আয়োজন।

বিয়ে মানে হয়ে যাওয়া
    দুজনে দুজনার,
সুখে-দুঃখে, মিলে মিশে
   গড়া প্রীতির সংসার।

যৌতুক লোভী পাপীর কিন্তু
    নেই এমন চেতনা,
শ্বশুরবাড়ির যৌতুক পেতে
    করে তালবাহানা।

যৌতুক অংকের যোগ বিয়োগে
          হেরফের হয়ে গেলে,
এ পাপী তার বধু নিয়ে
            ত্রাসের খেলা খেলে।

বিয়ে করার প্রাক্কালে যে
     সুপাত্রীর সন্ধানে,
নলার মজ্জা পানি করে
    হেটে নানা স্থানে।

বহুদিনের সাধনায় সে
    যে সুপাত্রী পা‍য়, 
যৌতুক পেতে তাকেও সে
    ঘর থেকে তাড়ায়।

 মানসিক আর দৈহিক পীড়ন
      চালায় তার উপরে,
চাকু এবং বেত মেরে তার
         দেহ ক্ষত করে।

কেহ ঢেলে গরম পানি 
    ঝলসায় বধুর দেহ,
যে দেহ তার গড়ে পেয়ে
     মাতাপিতার স্নেহ।

এ সমাজে আছে অনেক
      মনুষ্য পিচাশ,
যৌতুক লোভে করে যারা
     আপন বউকে লাশ।

এভাবে যে কতো নারী
    এ দেশের ভেতরে,
যৌতুক লোভীর নিপীড়নে
       গিয়েছে কবরে।

নারীজাতি বলতে বুঝায়
   মা, বোন, বধু, মেয়ে,
কেনো তারা থাকবে বলো
     এমন দুঃখ পেয়ে?

বিয়ের আগে নারীর মোহর 
       করতে হয় উসুল,
মুসলিমদেরকে এ নির্দেশ দেন 
       আল্লাহ রাব্বুল।

বউকে স্বামীর মোহর প্রদান
    ইসলামি বিধান,
মানতে হবে এবিধানটি
     সকল মুসলমান।

শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুকেরা
    সারা দেশে আজ,
দুর্বিষহ করে রাখছে
     নারীদের সমাজ।

বাংলাদেশের কুলাঙ্গার সব
      এ ভিক্ষুকদের দলে
ঝাড়ু-জুতা মারতে তাদের
         এসো সদল বলে।

বরে যৌতুক নেয়া হারাম
        বলেছে ইসলামে,
এ আদেশ না মানলে কিন্তু
        যাবে জাহান্নামে।

পাপ করো না এ ভিক্ষুকদের
      করে ভিক্ষা দান,
যৌতুককে 'না' বলে বাড়াও
       নারী জাতির মান।
               .......

Saturday, December 3, 2022

ভন্ডপীর

ভণ্ডপীর

        মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ভণ্ডপীরে গ্রাস করেছে
    আউলিয়ার  এ দেশ,
ধর্মবৃত্তি করছে তারা
   ধরে অলির বেশ।

তারা হলো সেরা মিথ্যুক
        কুচক্রী আর বাচাল,
যাদের কাছে নেই খোদার ভয়
     আর ইসলামি হালচাল।

এ ভণ্ডরা বিপথগামী
    নামে মুসলমান,
প্রতারণায় এদের কাছে
    হার মানে শয়তান।

বলে তারা তাদের কাছে
          আছে জ্বীনের রাজ,
যাকে দিয়ে করায় তারা
       রোগ সারানোর কাজ।
   
আরো বলে তারা নাকি
     গায়েবী সব জানে,
অজ্ঞরা তাই ভক্ত তাদের
     হচ্ছে মনের টানে।

প্রকাশ্য আর গুপ্ত নাকি
            আছে তাদের দেহ,
কভু নাকি গুপ্তটাকে
        দেখতে পায় না কেহ।

ভক্তদেরকে এসব বলে
   লোভ দেখিয়ে তারা,
হাতিয়ে সব অর্থ তাদের
    করে সর্বহারা।

জাহান্নামের পথিক এসব
      ভন্ডপীরের দল,
পরের অর্থ ভাগিয়ে নেয়
     করে নানা ছল।

এরা আরো বলে নাকি
    গুপ্ত নামাজ পড়ে,
পাঞ্জেগানা নামাজ নাকি
     পড়ে কাবাঘরে।

নামাজ কিন্তু গুপ্ত নহে
    মুক্ত ইবাদত,
প্রকাশ্যে তা' কায়েম করতে
     বলে শরীয়ত।

নামাজ কায়েম করার কথা
     পাক কোরআনে বলে,
জাহান্ননামে যেতে হবে
      এর অন্যথা হলে ।

মাজার পূজা, পেটের পূজা
   আর বেদয়াতি কাজে,
  মগ্ন থাকে এ সব পাপী
     সকাল, দুপুর, সাঁঝে।

মদ-গাঁজাতে চলে তাদের
       রাতে ইবাদত,
ভণ্ডামিতে নষ্ট করে
         নারীদের ইজ্জত।

পায়ে পড়ে সিজদা করার
      বিধান নেই ইসলামে,
শিরকী এ কাজটি চালায়
      এ সব নরাধমে।

শিরক কর্মে রাখে তারা
     পীরগিরিটা ধরে,
মাতাল থাকে নাচ ও গানে 
   তাদের খানকা ঘরে।

এ ভণ্ডদের কেউ করে না
      জনহিতে কর্ম
কুসংস্কারে সমাজ ঢাকার
      কাজটাই এদের ধর্ম।

স্বর্গে যাওয়ার টিকেট নাকি
   এদের কাছে মেলে,
নিত্য এরা হুরের সাথে
    স্বর্গে নাকি খেলে।

লোকজন হলে ভক্ত এদের
    বলে বেড়ায় তারা,
পালন করা লাগে না আর
     শরীয়তের ধারা।

মৃত্যুর পরে স্বর্গ পেয়ে
     হবে ভাগ্যবান,
পাপ থাকলেও হবে না আর
      জাহান্নামে স্থান।

এমন কথা মুখে যারা
   বলবে এ জগতে,
জাহান্নামে জ্বলবে তারা
কোরান-সুন্নাহ মতে।

এ সব ভণ্ড পীরের থেকে
  রক্ষা করুন ঈমান,
মোমিন-মুসলিম ভাই-বোন সবে
    এক্ষুণে হোন সাবধান।
            ......