শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুক
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
যৌতুক দেয়া এবং নেয়া
দুটোই অপরাধ,
এ কাজে তাই সর্বলোকে
জানায় নিন্দাবাদ।
যৌতুক নিয়ে বিয়ে-শাদি
করে থাকে যারা,
শ্বশুরবাড়ির নিম্নস্তরের
ভিক্ষুক হলো তারা।
নারী-পুরুষ যখন হবে
যুগলবন্দি ভবে,
তখন তাদের পরস্পরের
জীবন সার্থক হবে।
এ কারণে দুয়ের মাঝে
ঘটাতে মেলবন্ধন,
মানবরাজ্যে চলে থাকে
বিয়ের আয়োজন।
বিয়ে মানে হয়ে যাওয়া
দুজনে দুজনার,
সুখে-দুঃখে, মিলে মিশে
গড়া প্রীতির সংসার।
যৌতুক লোভী পাপীর কিন্তু
নেই এমন চেতনা,
শ্বশুরবাড়ির যৌতুক পেতে
করে তালবাহানা।
যৌতুক অংকের যোগ বিয়োগে
হেরফের হয়ে গেলে,
এ পাপী তার বধু নিয়ে
ত্রাসের খেলা খেলে।
বিয়ে করার প্রাক্কালে যে
সুপাত্রীর সন্ধানে,
নলার মজ্জা পানি করে
হেটে নানা স্থানে।
বহুদিনের সাধনায় সে
যে সুপাত্রী পায়,
যৌতুক পেতে তাকেও সে
ঘর থেকে তাড়ায়।
মানসিক আর দৈহিক পীড়ন
চালায় তার উপরে,
চাকু এবং বেত মেরে তার
দেহ ক্ষত করে।
কেহ ঢেলে গরম পানি
ঝলসায় বধুর দেহ,
যে দেহ তার গড়ে পেয়ে
মাতাপিতার স্নেহ।
এ সমাজে আছে অনেক
মনুষ্য পিচাশ,
যৌতুক লোভে করে যারা
আপন বউকে লাশ।
এভাবে যে কতো নারী
এ দেশের ভেতরে,
যৌতুক লোভীর নিপীড়নে
গিয়েছে কবরে।
নারীজাতি বলতে বুঝায়
মা, বোন, বধু, মেয়ে,
কেনো তারা থাকবে বলো
এমন দুঃখ পেয়ে?
বিয়ের আগে নারীর মোহর
করতে হয় উসুল,
মুসলিমদেরকে এ নির্দেশ দেন
আল্লাহ রাব্বুল।
বউকে স্বামীর মোহর প্রদান
ইসলামি বিধান,
মানতে হবে এবিধানটি
সকল মুসলমান।
শ্বশুর বাড়ির ভিক্ষুকেরা
সারা দেশে আজ,
দুর্বিষহ করে রাখছে
নারীদের সমাজ।
বাংলাদেশের কুলাঙ্গার সব
এ ভিক্ষুকদের দলে
ঝাড়ু-জুতা মারতে তাদের
এসো সদল বলে।
বরে যৌতুক নেয়া হারাম
বলেছে ইসলামে,
এ আদেশ না মানলে কিন্তু
যাবে জাহান্নামে।
পাপ করো না এ ভিক্ষুকদের
করে ভিক্ষা দান,
যৌতুককে 'না' বলে বাড়াও
নারী জাতির মান।
.......
No comments:
Post a Comment