Monday, May 29, 2017

ব্যক্তিগত -৭

তারিখঃ ২৭-০৫- ২০১৭ ইং
মাননীয়,
চেয়ারম্যান,
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ,
রেলওয়েপাবলিক স্কুল, পলোগ্রাউন্ড, চট্টগ্রাম।

বিষয়ঃ স্বপদে পুনঃযোগদান প্রতিবোদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এ যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী আপনার প্রদত্ত পুনর্বহাল পত্র  স্মারক নং -RPHS- ৩১৩, তারিখঃ ২৫-০৫-২০২৭ মোতাবেক সকল নির্দেশনা মেনে নিয়ে অদ্য ২৭ -০৫- ২০১৭ ইং, সকাল ১০ ঘটিকায় স্বপদে পুণঃযোগদানের জন্যে আপনার সদয় অনুমতি প্রার্থনা করছি।

অতএব, মহোদয়, অত্র বিদ্যালয়ে স্বপদে আমার পুনঃযোগদান প্রতিবেদন মঞ্জুর করে বাধিত করবেন।

নিবেদক-
মুুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী।
সহকারী প্রধানশিক্ষক,
রেলওয়ে পাবলিক স্কুল,
পলোগ্রাউন্ড, চট্টগ্রাম।

Wednesday, May 17, 2017

লিমেরিক-১০

          লিমেরিক
   
  মদনের গালফাটা সাহস

মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী

সুৃঠাম দেহের মদন আলি হেলে দোলে চলে,
গর্ব করে নিজকে সেরা সাহসী লোক বলে।
সাহস যে তার আছে কেমন,
বলছি শোনো হে বন্ধুগণ,
তেলাপোকা দেখলে মদন পালায়   খাটের তলে।

Tuesday, May 16, 2017

ব্যক্তিগত

তারিখঃ

মাননীয়
সভাপতি,
এডহক কমিটি,
রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।

বিষয়ঃ বিধিমালা বহির্ভূত সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহার ও বরখাস্ত কালীন এক বৎসরের বন্ধ রাখা বেতন প্রদানসহ স্বীয় পদে পুনর্বহালের আবেদন।

জনাব,
সবিনয় নিবেদন এ যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী বিগত ০১-০৮-২০০৪ ইং তারিখ থেকে অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধানশিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এ যে, গত ০১-০৬-২০১৬ ইং, তারিখে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধানশিক্ষক জনাব শাখাওয়াত হোসেন তালুকদার আমাকে তাঁর অফিসে ডেকে নিয়ে এতৎসঙ্গেযুক্ত প্রাক্তন সভাপতি জনাব নুরুল আবছার কর্তৃক স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্ত পত্রটি প্রদান করেন। অত্র সাময়িক বরখাস্ত পত্রে আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনীত হয় সেগুলো মিথ্যা,  বানোয়াট  উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং ভিত্তিহীন। এগুলোর সাথে আমি আদৌ সম্পৃক্ত নই।  আমাকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো প্রকার সতর্কীকরণ নেটিশ বা কারণ দর্শানো নোটিশসহ আত্মপক্ষ সমর্থনেরও কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। এ সমস্ত অভিযোগের ব্যাপারে ৩/৫ সদস্য বিশিষ্ট কোন তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কোন সভায় এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলেও মনে হয় না। কারণ সাময়িক বরখাস্ত পত্রের সাথে কমিটির রেজুলেশানের কোন কপিও দেয়া হয়নি। অর্থাৎ, যে প্রক্রিয়ায় আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে তা সাময়িক বরখাস্ত বিধিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকা অবস্থায় বিধি মোতাবেক যে সব আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা, তাও আজ ১ বৎসর যাবত  আমাকে দেয়া হচ্ছে না। অথচ আমাকে দেয়া সাময়িক বরখাস্থ পত্রে উল্লেখ আছে যে, আমাকে বিধি মোতাবেক আর্থিক সুবিধাসমূহ প্রদান করা হবে। প্রথম দু'মাস আমি এ সুবিধা চাইতে গেলে প্রধান শিক্ষক আমাকে কোনো আর্থিক সুবিধা দেবেন না বলে দাম্ভিকতার সাথে জানিয়ে দেন। এটিও চাকুরীর নীতিমালা বহির্ভূত একটি মারাত্মক অপরাধ যা সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘনেরর সামিল। এ কারণে শহরের বাসা ছেড়ে দিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হই। বিগত এক বছর ধরে আমার মানবেতর জীবন কাটছে। শুধু তাই নয়, আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করার আগের মাসের বেতনও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমাকে প্রদান করা হয়নি। ওই মাসসহ আমি বিদ্যালয়ের কাছে ১ বৎসরের বেতনের টাকা প্রাপ্য আছি।

নীতিমালা বহির্ভূত এ সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যহারের জন্যে আমি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি জনাব নুরুল আবছার বরাবর যথাসময় আবেদন করেও কোনো অনুকুল সাড়া পাইনি।

আমি এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ, জেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও অবিহিত করেছি। তবে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টির সাথে কমিটির সম্পৃক্ততা রয়েছে বিধায় এতদিন এর কোনো সুরাহা হয়নি। কারণ, আমাকে বরখাস্ত করার কয়েক দিন পর একটি মামলায় অত্র বিদ্যালয়ের কমিটি বাতিল ঘোষিত হয়। তাই বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্যে আমাকে পরবর্তী কমিটি' গঠিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয়।

আমি বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত শিক্ষক।  বিগত ১৩ বৎসরে অত্র বিদ্যালয়ে আমার সি, এল ছুটি সর্বমোট দু'মাসের চেয়েও কম হবে। অথচ একজন শিক্ষকের সি, এল, ছুটি বৎসরে ২০ দিন।

আমি বিদ্যালয়ে একাডেমিক তদারকি ও পাঠদানসহ শিক্ষার উন্নয়নমূলক যবতীয় কাজে  অত্যন্ত আন্তরিক থাকি। আমার পাঠদানকৃত ইংরেজি বিষয়ে প্রতিবছর পাবলিক পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে এবং প্রায় ৮৫ শতাংশ A এবং A+ পেয়ে থাকে। এ বিদ্যালয়ের বিগত সনগুলোর এস, এস, সি, পরীক্ষার টেবুলেশন সীটগুলো এর সাক্ষ্য বহন করবে।

আমি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট পড়াই না এবং আমার বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কারো কাছে প্রাইভেট পড়ার প্রয়োজনও বোধ করে না।

আমি একজন অরাজনৈতিক শিক্ষক। কোন রাজনীতি, সরকার, রাষ্ট্র ও নিয়ম শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন কাজে আমি জড়িত নই বলে হলফ করে বলতে পারি। এসব কাজে জড়িত আছি বা ছিলাম এমন কোনো প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের  ছাত্র, শিক্ষক এবং অভিভাবক নিয়ে আমি কখনো দলাদলি করি না এবং এ জাতীয় কাজে জড়িত থাকার প্রমাণও কেউ দিতে পারবে না।

আমি একজন সহকারী প্রধানশিক্ষক হিসেবে একাডেমিক দায়িত্ব পালনসহ সপ্তাহে ১৮টি ক্লাস নিয়ে থাকি। এছাড়া কোন কারণে  শিক্ষক স্বল্পতা দেখা দিলে অতিরিক্ত ক্লাসও নিয়ে থাকি। বিধান মতে একজন সহকারী প্রধান ও প্রধানশিক্ষকের যৌধ ক্লাস সপ্তাহে মোট ২৪টি।

বিগত ১৩ বছর ধরে আমার আন্তরিক প্রচেষ্টা
ও সকল সহকর্মীর সহযোগিতায় একাডেমিক দিক দিয়ে বিদ্যালয়কে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি।

অতএব, মহোদয়, বিধিমালা বহির্ভূত এ সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারসহ বিগত এক বৎসরের যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করে আমাকে আমার পদে পূণর্বহাল করার জন্যে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
   
                       নিবেদক-
                    আপনার একান্ত বিশ্বস্ত,
                    কলিম উদ্দীন,
                     ক, উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
     

Sunday, May 14, 2017

লিমেরিক- ৯

        মদনের বীরত্ব ভাব
       
      মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বদ মেজাজী মদন আলী খাটাতে চায় প্রভাব,
তুচ্ছতাতে রেগে লোকের মার খেয়ে পায় জবাব।
উত্তম-মধ্যম পেট ভরে খায়,
তাড়া খেয়ে ঘরে পালায়।
ঝাল মেটাতে বউকে মেরে দেখায় বীরের ভাব।

Friday, May 12, 2017

একটি পরামর্শ

সম্মানিত এডমিন বন্ধুরা আমার শুভেচ্ছা নেবেন।
একটি কথা সবিনয়ে আপনাদেরকে বলতে চাই যে, কোন কবি বন্ধুর পোস্টকৃত লেখা সাবধানে
কমেনট করবেন। কারন, অনেক পোস্টকৃত কবিতায় দেখা যায়, বাক্যের গঠন, শব্দের বানান,  সমাসবদ্ধ পদ প্রয়োগ ও ছন্দমাত্রায় প্রচুর  ভুল থাকে। অথচ, ওই সব ভুলেভরা কবিতায় অনেকে  কমেন্টে লেখেন  'অসাধারণ, অপূর্ব, অতুলনীয়' ইত্যাদি। যে সব লেখা মানসম্মত নয়, সে সব লেখায় এ জাতীয় কমেন্টে প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে না। এ সব লেখার ভুলগুলো সম্মান প্রদর্শনপূর্বক  সংশোধন করে লেখকে লেখার চর্চা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন। এতে আমাদের এ গ্রুপের দ্বারা কিছু দক্ষ লেখক সুষ্টি হয়ে বাংলা সাহিত্যের অগ্রগতির একটা ধাপ এগিয়ে দেবে এবং উপকৃত হবে দেশ ও জাতি।

    মনে রাখবেন, ফেইসবুকের লেখা সারা বিশ্বের লোকজন দেখেন। ভুলেভরা লেখায় এমন মন্তব্য দেখে অনেকে উপহাস করেন। এতে কমেন্টকারীর ভাবমূর্তি অবশ্যই ক্ষুণ্য হয় বলে আমি মনে করি। শুধু তাই নয়, এর দ্বারা একটা গ্রুপেরও সুনাম নষ্ট হয়।

      যারা নবীন লেকক তাদের লেখায় ভুল থাকা স্বাভাবিক। তাদের ভুল সংশোধনে সহযোগিতা না করে ভুলের উচ্চ প্রসংশা করা মানে তাদেরকে বিপতগামী করা।