Thursday, December 16, 2021

অতিরিক্ত পানির পিপাসার কারণ

অত্যধিক তৃষ্ণার সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় :

·         গোল মরিচের গুঁড়া- ৪ কাপ সিদ্ধ পানির মধ্যে ১ টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া ভালো ভাবে মিশিয়ে ঠান্ডা করুন। যখনই তৃষ্ণা অনুভব করবেন তখনি এই মিশ্রণটি কয়েক চুমুক পান করুন।

·         মৌরি বীজ গুঁড়া- ৫ টেবিল চামচ মৌরি বীজ গুঁড়ার সাথে ২৫০মিলিলিটার পানি মিশ্রিত করে ১ ঘন্টা রেখে ছেঁকে নিন। কয়েক চুমুক করে পান করুন। ম্যালেরিয়ার কারণে যে তৃষ্ণার সৃষ্টি হয় তাঁর জন্য এটা কার্যকরী।

·         বৈচিঁ গুঁড়া- ৩ টেবিল চামুচ বৈচিঁ গুঁড়ার সাথে ২ টেবিল চামচ মধু ভালো ভাবে মিশাতে হবে। দিনে তিনবার এটি গ্রহণ করুন।       

Friday, November 5, 2021

বাংলার হেমন্তে

বাংলার হেমন্তে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

কুহেলী ঘোমটা পরে
     এসেছে হেমন্ত,
যেন সে লাজুক নারী
    নয় প্রাণবন্ত।

নেই কোনো দৈন্য তার
     নেই চপলতা,
দানে তার থাকে তৃপ্তি
      থাকে উচ্ছলতা।

কল্যাণী হেমন্তরাণী
   আগমনে যার,
বাংলায় এসে থাকে
    ধনের জোয়ার।

মাঠ তার আগমনে 
    ভরে যায় ধানে,
অপার আনন্দ জাগে
     কৃষকের প্রাণে।

দিগন্ত প্রসারি মাঠে
   দেখে ভরা ধন,
হর্ষে তার এসে যায়
   নিরব রোধন।

দেখে তার এ রোদন
   ব্যোমে দিবাকর,
ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে দেয়, 
   আলো দিনভর।

অশোক, শিরিষ চাঁপা
   শিমুল, পলাশ,
নিসর্গে ফুটিয়ে দেয়
   অপূর্ব সুহাস।

কাশ ফুটে নাচ করে
  নদী-খালকুলে,
উষা থাকে সুবাসিত 
নানা জাত ফুলে। 

দিবালোকে পদ্ম যেন
  আবেগে-উচ্ছ্বাসে,
রবিকে সালাম করে 
  আর নীরে ভাসে।

শশীকে করে সালাম
শাপলারা জলে, 
এ যেনো হেমন্তপ্রীতি
ব্যোমে-জলে চলে।

তাল, বেল, নারকেল 
লেবু,  জামরুল,
পাওয়া যায় এ বঙ্গে
  হেমন্তে  বিপুল।

নীলাকাশে সাদা মেঘ
   আনাঘোনা করে,
রাইফুলের রূপ দেখে 
    মন যায় ভরে।

আকাশটা থাকে অতি
    স্নিগ্ধ ও সুন্দর,
কোথাও মলিনতার 
    পড়ে না আঁচড়।

ধনেভরা হেমন্ত যা
  বিধাতার দান,
রূপসী এ বঙ্গে তার
  স্থান মহীয়ান।    
         .......

Monday, August 9, 2021

কুরবানিতে সাবধান

কোরবানিতে সাবধান
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সাবধান, মুসলিম সাবধান,
জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।।

কোরবানি নয় শুধু মাংস খাওয়া ,
 এটি হলো আল্লাহর নৈকট্য পাওয়া,  
যদি তার প্রীতিলাভে হয় ত্যাগ দান ,
ইসলামের দৃষ্টিতে হবে কোরবান -
        সাবধান, মুসলিম সাবধান ,
        জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।।

ত্যাগহীন মন হলে কোরবানে তবে,
হবে না তা' কোরবান, পশু বধ হবে ।
ইব্রাহীমী উৎসর্গে, হয়ে তেজী প্রাণ,
আল্লাহর রাহে সবে দাও কোরবান।
     সাবধান, মুসলিম সাবধান ,
     জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।।

গো, মহিষ, ভেঁড়া, উট, দুম্বা আর ছাগ ,
কোরবানি দিয়ে করো মাংসের ভাগ ।
শরীকে মাংসভাগ রাখবে সমান-
সম্প্রীতি বজায় রেখে থেকো অম্লান-
        সাবধান, মুসলিম সাবধান ,
        জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।।

তিন ভাগে ভাগ করে মাংস পশুর ,
দুভাগ বিলাও পেতে সুকৃতি প্রচুর।
দীনে ও কুটুমে করো সে দু'ভাগ দান ,
বাকি ভাগ নিজে রেখে হও পুণ্যবান -
       সাবধান, মুসলিম সাবধান, 
       জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।।

খোদা-প্রীতির ঊর্ধ্বে যে নেই প্রীতি আর
কোরবানে করো সবে এ প্রমাণ  তার।
উৎসর্গে করো আজ মজবুত ঈমান,
'লা শারিক আল্লা' মুখে, তোল ঐকতান-
       সাবধান, মুসলিম সাবধান,
       জিলহজ্বে কোরবানে সাবধান।। 
                       .......

Monday, June 28, 2021

বোশেখি গান

      বোশেখি গান

    মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বঙ্গে সব আজ পুলকিত

নববর্ষের রঙ্গে,

অন্তরীক্ষে বিজলি নাচে
বজ্র ধ্বনির সঙ্গে---
এল রে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

শিশু, কিশোর-কিশোরী আজ
দেখায় ফুলের মতো,
জ্যোৎস্না যেন যুবতী সব
যুবক রবির মতো।
প্রবীণ জাগে নবীনত্বে বোশেখের মৃদঙ্গে-
       এলরে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

নববর্ষের ভাব বিনিময়
চলছে জনে জনে,
ধর্ম-বর্ণের নেই ভেদাভেদ
আজকে কারো মনে।
দিবসটা আজ কাটবে সবার  নানা রঙ্গে- ঢঙ্গে-
      এল রে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

মাতাল করা প্রাণের মেলা
চলবে নগর, গাঁয়ে,
গাইবে সখা, নাচবে সখী
নূপুর পরে পায়ে।
বঙ্গে সবে বাংলা সাজে থাকবে রংবেরঙে-
      এল রে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

হালখাতা আজ খোলার উৎসব
করবে বণিকগণে, 
প্রাপ্তি শোধের প্রীতি চলবে
মিষ্টি বিতরণে।
গল্পে-গানে, খুশির রোমাঞ্চ জাগবে সবার অঙ্গে-

      এল রে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

অগ্নিদীপ্ত নাচন থাকবে 
কৃষ্ণচূড়া গাছে,
মধুর কূজন করবে পাখি
এর শাখায় উল্লাসে।
বনেও আজ ধ্রুপদী নাচ চলবে বাও-তরঙ্গে-
          এল রে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।

গরীবের আজ থাকবে ভীতি
প্রীতিমাখা প্রাণে,
হঠাৎ যদি কালবোশেখী
ধ্বংস ডেকে আনে,

রেখো না তাই দীনদের প্রভু বোশেখে মন ভঙে।

        এলরে আজ বোশেখ শ্যামল বঙ্গে।।
                                         
                          ..... 

Tuesday, June 8, 2021

সীতাকুন্ডের রূপ

সীতাকুন্ডের রূপ

 মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সীতাকুন্ডের পূর্বে পাহাড়
    পশ্চিমে সাগর,
মধ্যখান এর উঁচুভুমি
      রূপে মুগ্ধকর।

অপরূপা প্রকৃতি এর 
      হরণ করে মন,
তাইতো ইচ্ছে করে রূপটি
       দেখতে সারাক্ষণ।

সবুজ-শ্যামল এ এলাকার
  খাল-বিল, ঝর্ণাধারা,
ধরাতলে নিত্য থাকে
     রূপে চমকমারা।

পুকুর, ডোবা, খাল ও বিলে
     আছে প্রচুর মৎস্য,
চাষীর ক্ষেতে সারা বছর
    ভরা থাকে শস্য।

বৃক্ষশাখা থাকে মুখর
  পাখপাখালির গানে,
এদের গানের সুরে প্রাণে
    সজিবতা আনে।

বন বাগানে বৃক্ষে থাকে
  ফুল ও ফলের হাসি,
যে হাসিটা দেখলে মনে
    বাজে খুশির বাঁশি।

হরিণ, বানর, পতঙ্গ আর
   বনমোরগের ডাকে,
দিবারাত্র পাহাড় যেন
   উৎসব মুখর থাকে।

মনমাতানো ইকোপার্ক ও
      চন্দ্রনাথ পাহাড়,
দেখতে এসে প্রায়শ ভিড় 
       জমে জনতার।

গুলিয়াখালির সমুদ্রতট
     দেখলে জুড়ায় মন,
রূপ দেখেনি, এর রূপ কভু
     দেখেনি যে জন।

বাঁশবাড়িয়া সাগর সৈকত
     আর কুমিরা ঘাট,
এ দু জায়গায় নিত্য যেন
     বসে রূপের হাট।

এ এলাকার ভাটিয়ারী
      রূপের সেরা স্থান,
এর অপরূপ শোভায় সবার
      উদাস করে প্রাণ।

দেশের সেরা গল্ফ ক্লাবটি এর
     পাহাড়চূড়ায় স্থিত,
লেক, পাহাড় আর শ্যামল রূপে
      আছে তা বেষ্টিত।

এ গল্ফ কোর্সটি সেনা দ্বারা
    নিয়ন্ত্রিত থাকায়,
অপরূপা স্থানটি সদা 
 থাকে নিরাপত্তায়।

স্ফটিক এর মতো স্বচ্চ
    থাকে লেকের জল,
চললে নৌকা এ জলেতে
    রূপ করে ঝলমল।

পাহাড় বেয়ে পাকা সড়ক
     গিয়েছে ওপারে,
 পর্যটকদের মন কাড়ে যার
     অপুর্ব বাহারে।

ফৌজদারহাটের জাহাজঘাটার
       রূপে কাড়ে নয়ন,
সাগরপাড়ে দেখায় যেন
     হচ্ছে নগরায়ন।  

সীতাকুন্ড হলো দেশের
    সেরা শিল্পাঞ্চল, 
তাই এখানে মেলার মতো
    নামে লোকের ঢ়ল।

বুকচিরে এর চলে গেছে
  ট্রাংক রোড় আর রেল পথ,
যার ফলে হয় সারা দেশে
    সহজ যাতায়ত।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আর
      বিশ্ববিদ্যালয়ে,
নিত্য থাকে এ জনপদ
    জ্ঞানের প্রদীপ হয়ে। 

মুক্তার চেয়ে বেশি খাঁটি
    এ এলাকার মাটি,
যে মাটিতে আমার জন্ম
     এবং বসতবাটি।
        ......

Friday, June 4, 2021

ছন্দে যৌতুক বিরোধী কথামালার জবাবে

সুন্দর কথামালা 
    গেঁথে দিলে ছন্দে,
পড়লে তা মন সবার
     নাচে মহানন্দে।

সুখী হোক দম্পতি 
      যাক নিপাত যৌতুক,
জীবনে থাক্ সবার 
       হাসি, খুশি, কৌতুক। 
            .... ….…

Thursday, April 22, 2021

গ্রীষ্মকাল

বাংলার গ্রীষ্মে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

গগনতলে গ্রীষ্মে রবির সুদীপ্ত হাসিতে,
হিমারতির প্রখরতা নামে ধরনীতে।

দহনে তার পথ ও প্রান্তর শুধু খাঁ খাঁ করে,
 ঘর ও দুয়োর সবটাই যেনো অগ্নিতে যায় ভরে।

ছোট নদী, ডোবা, খাল আর বাপী আছে যতো
কেঁদে কেঁদে  মাগে যেনো পানি অবিরত।

গাঁয়ে সূর্যের প্রখর তাপে বাতাসের আশায়
বসে বসে লোকজন সময় কাটায় গাছতলায়।     
   
খরায় ভষ্ম করে ফেলে মাঠের সব ফসল,
নিঃস্ব হয়ে কৃষাণেরা হারায় মনোবল।

পাড়া-গাঁয়ে নামে আরো মহামারী রোগ,
ঘটে এতে মৃত্যু এবং নানারূপ দুর্ভোগ।

 অনাবৃষ্টি দেখা দিলে পল্লীর মুসলমান
গরীব-দুখীর  মাঝে ফিরনি আর পায়েস বিলান।

কোরান খতম, ওয়াজ মাহফিল চলে নানা স্থানে, 
যেন প্রভু সন্তুষ্ট হোন ধরায় বারি দানে।

মাঝে মধ্যে  কালবোশেখি বীরত্বের ভাব দেখায়,
উন্মাদনার সাথে আরো প্রলয়ের নাচ চালায়।

গাছপালা ফুল, ফসল, শষ্য, কুটির আর সব বন,
শিকারে হয় পরিণত করলে সে নাচন।

জরা-জীর্ণ যত কিছু থাকে এ ধরায়,
তাড়িত হয় সবগুলো ওই নাচনের লীলায়।

তার প্রলয়ের নাচের শাড়ির রঙ কুচকুচে কালো,
দ্রুত ঢেকে ফেলে এটি দিনের উজ্জ্বল আলো।

আনন্দে সে বজ্রনাদে চালায় বিজলির খেলা,
যে খেলায় সে তাজা তাজা প্রাণ নিয়ে যায় মেলা।

বিদ্রোহী এক বীরের মত হয়ে আগুয়ান,
ধরায় প্রবীন বধ করে সে জাগায় নবীন প্রাণ।

 এতে ধরায় নবীনেরা নব উদ্দীপনায়,
রঙতরঙ্গের প্লাবন এনে সারাটা দেশ রাঙায়।

নিশিকালে চলে গাঁয়ে গীতি সারী-জারী 
আঙ্গিনাতে গল্প নিয়ে বসে পল্লিনারী। 

জ্যোৎস্নারাতে পল্লিগাঁয়ে নৈশভোজের পরে,
লোকজন বসে গল্প করে উন্মুক্ত প্রান্তরে।

সমগ্র দেশ উৎসব মূখর থাকে নাচ-গান-মেলায়,
দোকানিদের হালখাতা আর মাঠে বলিখেলায়।

পল্লিগাঁয়ে ওড়ে ঘুড়ি নীলাকাশের পানে,
নানা রঙের ঘুড়িতে ব্যোম সাজে সর্বখানে।

সোনালু, জুঁই, কৃষ্ণচূড়া,বেলি, গন্ধরাজ,
আরো বহু ফুলে থাকে গ্রীষ্মকালের সাজ।

গাছে গাছে সুমিষ্ট ফল ঝুলে থরে থরে,
বৃক্ষশাখা মুখর রাখে পাখিরা গান করে।

ভরা থাকে আম, জাম, লিচু আনারস কাঠাল,
 মধুফলে প্রাণটা শীতল করে গ্রীষ্মকাল।

রসনাতে সরসতা গ্রীষ্মে করে দান,
যদিও তার দহনে হয় ধরনীটা ম্লান।
                 .......

Tuesday, March 9, 2021

পণ্ডশ্রম

শূন্যতারই অসীমতায়
     ঠাই পাওয়াটা বড় দায়,
পণ্ডশ্রমে অবুঝ মন তাই
     ক্লান্ত হয়ে ঝিমিয়ে যায়।

শান্তনা

কায়াবসন্ত নিয়েছে বিদায়
    মনবসন্ত ঘুমায়,
লাভ কি কবি দাঁড়িয়ে থেকে
    লগ্নের অপেক্ষায়?
        ..... …

Friday, February 5, 2021

নিসিন্দা পাতার ভেষজগুণ

  নিসিন্দা পাতার  ভেষজগুণ 

 মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

পর্ণমোচী নিসিন্দা গাছ
   জন্মে সব জায়গায়,
তাইতো বাংলার সবখানে 
এ গাছটি পাওয়া যায়।

ঘন শাখার গাছটির হয় প্রায় 
    পাঁচ মিটার উচ্চতা,
পাতা এবং ফুলের রঙের
    রয়েছে মুগ্ধতা।

ওষূধি এ গাছের পাতা
   রোধ করে ক্যান্সার,
যক্ষা থেকে করে আরো
   রোগীকে উদ্ধার।

যদি কারো ভাঙ্গা মচকার
    ব্যথা-ফোলা থাকে,
গরম করে ব্যথার ওপর
     বাঁধুন এ পাতাকে।

এ বাঁধনটি বদলাতে হয়
   চার পাঁচ বার দৈনিক,
নইলে দ্রুত ফল পাবে না
   এ পাতার সঠিক।

দুয়েক দিনের মধ্যে নিশ্চিত
  কমবে ব্যথা-ফোলা,
ভাল হয়ে যাবে রোগী
   খাবে খুশির দোলা।

টিউমারে পাতা বেটে
     গরম করে লাগান,
মাত্র কয়েক দিনে দেখবেন
     থাকবে না এর নিশান।
     
যদি পাতার রস পাক করে
     সর্ষের খাঁটি তেলে, 
দুয়েক ফোটা দিলে কানে
   কানরোগমুক্তি মেলে।

সর্ব প্রকার কানের ব্যথায়
    এটি উপকারী,
জেনে রাখবেন আমার দেশের
    সকল নরনারী।

সিকি গ্রাম এর পাতাচূর্ণ 
  খেলে বয়স্করা,
থাকে না আর গুহ্য ধারে
   কৃমি উৎপাত করা।

গেঁটে বাতের মোক্ষম ঔষধ 
      নিশিন্দার পাঁচন, 
যা পাঁচ গ্রাম এ পাতার সিদ্ধ
       পানি পান করণ।

তবে উচ্চ রক্ত চাপে
এ পানি পান মানা,
কুফল বয়ে আসবে এতে
   থাকতে হবে জানা।

নাকের থেকে রক্ত যদি
      পড়ে সব সময়,
এ পাতা কচলিয়ে শুঁকলে
     রোগটি নির্মূল হয়।

রান্না ঘরে পোকা মাকড় 
   করলে খুব উৎপাত,
ডালপালা এর রাখলে কিছু
    হয় এদের উৎখাত।

এ ঔষধি গাছটির এখন
   বংশ হচ্ছে নাশ,
বিলুপ্তি না ঘটতে এটির
   করুন সবে চাষ।
        .......

Tuesday, January 26, 2021

জিজ্ঞাসা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

দেশে আজ বয়ে চলে রক্তের প্লাবন,
দিবানিশি থাকে তাই ত্রাসে লোকজন।

নগরে, বন্দরে, গাঁয়ে চলনে, শয়নে,
পাষানেরা মারে লোক প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।

চলে সদা উত্তেজনা অস্ত্রের গঞ্জন,
নেই কোথাও শান্তি ও ঐক্যের বন্ধন।

গুম-খুন, লুটপাট, রমণী ধর্ষণে,
রত থাকে পাপি সব পুলকিত মনে।

আদালতে করে শুধু নির্দোষী ক্রন্দন,
অপরাধী পেয়ে যায় প্রাণের স্পন্দন। 

প্রতিদিন জালিমেরা থাকে নিপীড়নে,
শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালনে।

হৃদয়ে রাখে না এরা প্রভুর স্মরণ, 
মৃত্যুর আগে এদের হবে না চেতন।

সজ্জন এখন আর নেই উচ্চাসনে,
থাকে তাই জ্ঞানী আর গুনীরা গঞ্জনে।

লাশের উপরে চলে হরষে নাচন, 
লোকালয়ে বস্ত্র নারী হারায় এখন।

বিদ্যাপীঠ প্রতিদিন থাকে রণে রণে,
শিষ্যদের হাতে মার খায় গুরুজনে।

সন্তানের হাতে ঘটে পিতার মরণ, 
পতির হাতে বৈ পায় অত্যয় এখন।

ন্যায়-নীতি নেই আদৌ দেশে প্রশাসনে,
পুরো দেশ ত্রাসে গ্রাস করে একারণে।

হরণে লিপ্ত সবাই নিরীহের ধন,
আসে না কেউ দুর্নীতি করতে ধমন।

নেই কোনো স্বাধীনতা  ব্যক্তির জীবনে,
সবার দিবস কাটে আর্তির দহনে।

এ জাতির হয় যদি এমনি পতন,
ছিল কি স্বাধীনতার কোনো প্রয়োজন?


 

কদর রাতের সৌজন্যে

কদর রাতের সৌজন্যে)

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

পুণ্যময় এ কদর রাতে
শুনো প্রভু প্রার্থনা,
দূর করে দাও ধরা থেকে
মুসলমানদের যন্ত্রণা-
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

মুসলিম নিধন বিশ্বের নানা
দেশে চলছে, থামছেনা,
যারা চালায় নিধন কর্ম
দাও তাদেরকে গঞ্জনা।
পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

যারা এখন ভোগছে ধরায়
স্বজন হারার বেদনা,
জাগাও তাদের মনে খোদা
বিয়োগ ব্যাথার শান্তনা-
পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

শীঘ্রই তাদের রক্ষা করো
ধ্বংসের মুখে রেখো না,
মুক্তি পেতে দাও তাদেরকে
শক্তি, সাহস, চেতনা-
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

তাদেরকে দাও ঈমানী বল
একতার দাও প্রেরণা,
জ্ঞান-বিজ্ঞানে খোল তাদের
সুখ-সমৃদ্ধির মোহনা-
পুণ্যময় এ কদর রাতে শোনো প্রভু প্রার্থনা।।

মৃত মুসলিম নর-নারীর 
আত্মায় আযাব দিও না,
করছি আমি তাদের জন্যে
তোমার কৃপা কামনা।
 পুণ্যময় এ কদর বাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

পিতা-মাতার জন্যে প্রভু
জান্নাত করছি যাচনা,
পরকালে তারা যেনো
পায় না আদৌ লাঞ্চনা-
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

সত্য পথের পথিক করে
রেখো মোমিন-মো'মেনা,
কদর রাতের বরকত থেকে
কাউকে নিরাশ করো না-
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।

দোয়া আমার কবুল করো;
গুনা করো মার্জনা,
কদরে চাই তোমার দিদার
এর বেশি আর চাইবো না-
পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

চরিত্রবান হওয়ার তরে
বাড়াও মনে এষণা
প্রিয়ভূমি রক্ষার্থেও
দাও সাহসী প্রেষণা-
পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

বিশ্বে সকল জাতির উপর
ঝরাও প্রীতির ঝরনা,
না হয় যাতে তাদের মাঝে
বাড়াবাড়ির সূচনা-
 পুন্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।

বিশ্বকে আজ লন্ডভন্ড 
করছে ভাইরাস করোনা,
মহামারী এ ভাইরাসকে
দূর করে দাও রাব্বানা।
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শোনো প্রভু প্রার্থনা।।

হে দয়াবান, তোমার দয়ার
হয় না কোন তুলনা,
বিশ্ববাসী সুখে রেখো
বর্ষণ করো করুণা-
 পুণ্যময় এ কদর রাতে শুনো প্রভু প্রার্থনা।।
                      ......

Saturday, January 23, 2021

কচি বীরের গান

  কচি বীরের গান

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

চল্ চল্ চল্
চলরে কচির দল,
সফলতা কেড়ে আনতে
বীরের বেশে চল্।
চল্ চল্ চল্, চলরে কচির দল-
সফলতা কেড়ে আনতে বীরের বেশে চল্।।
  
আমরা কচি, সত্যের মসি
গড়ব ধরাতল,
রুখতে মোদের নেইকো এমন
কারো বাহুবল।
আমরা থাকি বাঘের মতো
শক্তিতে উচ্ছল--
চল্ চল্ চল্, চলরে কচির দল,
সফলতা কেড়ে আনতে বীরের বেশে চল্।।

চাঁদ হতে আয় রজনীতে
সূর্য হতে দিনে,
দিবানিশি আলোশূন্য
হবে আমরা বিনে।
মোদের অসি, পাপী নাশী
দেশ করবে উজ্জ্বল -
চল্ চল্ চল্, চলরে কচির দল,
সফলতা কেড়ে আনতে বীরের বেশে চল্।।




  
      

Thursday, January 14, 2021

বিত্তবানে ইসলামি নির্দেশ

বিত্তবানে ইসলামি নির্দেশ

      মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

কেউবা করে উদরপূর্তি   
   কেউবা মরে ক্ষুধায়,
কেউবা কাটায় আনন্দে দিন
    কেউ কাটায় দিন জ্বালায়।

কেউবা আবার অঢেল সম্পদ
    ভোগ করে যায় একা,
কেউবা বেড়ায় ভিক্ষা করে
     পায় না সুখের দেখা।

কেউবা গড়ে দালানকোঠা 
     পরের সম্পদ লুটে, 
আবার কারো রাতে নিদ্রার
    জায়গাও না জুটে। 

নরকূলে এমন জীবন 
     যদি কারো  চলে,
ইসলাম বলে ধনী তখন
   থাকে পাপীর দলে।

বিত্তবানরা দীনের অভাব
    করবে দূরীকরণ,
ইসলামের এ নির্দেশ তাদের
    রাখতে হবে স্মরণ।

তারা যদি এর অন্যথা 
    করে ইহধামে, 
পরকালে কঠিন শাস্তি
  পাবে জাহান্নামে।
       ........

Friday, January 1, 2021

জিহাদ

জিহাদ কি? কেন? কিভাবে?

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

'জিহাদ' একটি আরবি শব্দ
       বাংলা কিন্তু নয়।
তাই, এ শব্দের অর্থ আগে
      জেনে নিতে হয়।

না জেনে এর অপব্যাখ্য
    করবে যেসব লোক,
বোঝতে হবে নেই যে তাদের
     জ্ঞান, বিবেক ও চোখ।

"চেষ্টা, সংগ্রাম, সাধনা," হয়
        বাংলাতে এর মানে,
এসব অর্থ আছে লেখা
              আরবি অভিধানে।

শরীয়তের বিধান মতে
     জিহাদ বলতে বুঝায়,
করে যাওয়া সত্যের সংগ্রাম
     মহাপ্রভুর রাস্তায়।

আপন জাতি, রাষ্ট্র, ধর্ম
      রক্ষা করতে হলে,
যে সংগ্রামটি চালাতে হয়
       তাকে জিহাদ বলে।

কু প্রবৃত্তির বিরোধিতায়
     সংগ্রাম যদি থাকে,
সুন্নাহ মতে সর্বশ্রেষ্ঠ
      জিহাদ বলে তাকে।

এ জিহাদে কু-প্রবৃত্তির 
     মৃত্যু ঘটায় মনে,
সু-প্রবৃত্তি চাঙ্গা করে
      মনুষ্যত্ব আনে।

থাকে যাদের কুপ্রবৃত্তি
     অন্তরে জাগ্রত,
তারাইতো হয় নরকূলে
     হিংস্র পশুর মত।

যে সমাজে কুপ্রবৃত্তির
    মানুষ করে বাস,
ওই সমাজে মনুষ্যত্বের
    ঘটে সর্বনাশ।

নিত্য চলে সে সমাজে
      গুম, খুন আর দুর্নীতি,
হারিয়ে যায় মানুষ থেকে
      সুখ-শান্তি ও প্রীতি।

তাইতো ইসলাম বলে আগে
     জিহাদ চালাও মনের,
ইহ-পরকালে তবে
      জীবন হবে সুখের।

জাগে যদি মনের ভেতর
     অসৎ কর্মের বান,
মন বিরোধী জিহাদে এর
       ঘটায় অবসান।

জিহাদে হয় দুষ্টের দমন,
   শিষ্টের লালন ধরায়,
এতে সুখের ফুল্লধারা
    মানব সমাজ পায়।

দৈহিক, আর্থিক, বিদ্যাভিত্তিক
      জিহাদের যে বর্ণন,
শরীয়তে উল্লেখ আছে
      রাখতে হবে স্মরণ।

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম
    পূর্ণ জীবন বিধান,
এ বিধানে সমাজে হয়
      শান্তির সহাবস্থান।

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে
    শরীয়ার নীতিতে,
সবে সবার মূল অধিকার
      পাবে নিজ ভূমিতে।

এমন নীতি রুখতে  যারা
        অস্ত্র ধরে ভবে,
দৈহিক জিহাদ সবার উপর
        তখন ফরজ হবে।

যে জ্ঞান চর্চায় দেশ ও জাতির
        উন্নয়নটা আনে,
বিদ্যাভিত্তিক জিহাদ হয় তা
       ইসলামের বিধানে।

বক্তৃতা আর লেখালেখি
        আনলে সত্যের জোয়ার,
সেটিও হয় জ্ঞানের জিহাদ
       জানা খুব দরকার।

অর্থ-সম্পদ করলে ত্যাগ
      মানুষের কল্যাণে,
আর্থিক জিহাদ বলে তাকে
     হাদিস ও কোরআনে।

জিহাদ হবে খোদার রাস্তায়
      ব্যক্তিস্বার্থে নয়,
স্বার্থ রক্ষার জিহাদে হয়
      শয়তানের বিজয়।

এ বিজয়ে চলে তখন
      ত্রাসের রাজ্য ধরায়,
তখন পুরো মানবসমাজ
        মনুষ্যত্ব হারায়।

খোদার রাস্তায় জিহাদ হচ্ছে
       শ্রেষ্ঠ ইবাদত,
জিহাদকালীন মৃত্যুহলে
        মেলে শাহাদত।

প্রতিদান হয় শাহাদাতের
       উৎকৃষ্ট জান্নাত,
যা'' পেতে সব ঈমানদারে
       যাচে দিন ও রাত।

পুণ্যপথে জিহাদকারী
     খোদার দিদার পায়,
জিহাদে তাই মোমিন বান্দা 
      জীবনাবসান চায়।
                 ......