Saturday, October 10, 2020

দুর্নীতি

দুর্নীতি 

   মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

দুর্নীতি যে খারাপ নীতি
   জানে সর্বজনে,
অভিশাপ যা বয়ে আনে
    জাতীয় জীবনে।

এর কারণে হয় না দেশে
      কোনো উন্নয়ন,
সবে মিলে দূর্নীতি তাই
      করতে হয় দমন।

ব্যাপক এবং জটিল এটি
      গতি ও ধরণে,
তাইতো অতি কষ্ট হয় এর
      সংজ্ঞা নিরূপণে।

সংক্ষেপে যা বলতে গেলে
     বলতে হয় এমন,
নিজ দায়িত্বে অবহেলা 
  আর পরের ধন হরণ।

অযোগ্যদের বসার জন্যে
        যোগ্যদের আসনে,
চাটুবৃত্তি করা কর্তার 
            প্রিয়তা অর্জনে।

ভয় প্রদর্শন ঘুষ, প্রভাব আর
  বল প্রয়োগ করণ,
নিজের স্বার্থে ঘঠলে এসব 
    দুর্নীতি হয় তখন।

দুর্নীতিটা লালন করে
  দেশে সব দুর্জনে,
নিরীহরা পায় না খুঁজে
  শান্তি  এ কারণে।

যদি কোথাও দুর্নীতির হয়
    একবার অনুগমন,
সবার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়
  সেটির উচ্ছেদ করণ

শাসকগণকে কঠোর হতে
      হবে তা দমনে,
আন্তরিকও হতে হবে
       দারিদ্র্য মোচনে।

প্রযুক্তি আর জ্ঞান চর্চাতে
      থাকলে জনগণ,
দেশে শীঘ্রই এসে যাবে
    উন্নতির প্লাবন।

সত্য পথের পথিক সবে
     হলে এ জীবনে,
দুর্নীতি আর থাকে না তার
     কর্মে এবং মনে।

তাই সবাইকে হতে হবে
      অধিক সচেতন,
স্ব স্ব ধর্মের বিধান মেনে
    করবে কাল যাপন।

মৃত্যুর পরে শাস্তির কথা
      রাখতে হবে মনে,
দেখবে তবে দুর্নীতির মন
    দমবে এ ভূবনে।

দুর্নীতি রোধ হলে দেশে
  আসবে শান্তির পবন,
দেশ ও জাতি ধন্য হবে
   পাবে সুখের জীবন।

           .......

Wednesday, October 7, 2020

খারাপ লোক চেনার উপায

খারাপ লোক চেনার উপায়

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

এ কবিতার কথামালা
   স্মরণ থাকবে যার,
খারাপ লোককে চিনতে কভু
     ভুল হবে না তার।

স্বভাবে হয় খারাপ লোকটা
        সন্দেহপ্রবণ,
তাই অপরকে বিশ্বাস করতে
        পারে না সে জন।
     
খারাপ লোক তার ভুলটা আদৌ
   করে না স্বীকার,
যুক্তিতেও চায় না কভু
   মেনে নিতে হার।

তুচ্ছতাতে হিংস্রের  মতো 
   করে সে আঘাত,
সব বিষয়ে ভাবে পন্ডিত
     সাজে অভিজাত।
    
কথা বলার সময় করে
   নিজের অহংকার,
ক্ষমতারও অপপ্রয়োগ
  দেখায় বারংবার।

অন্যের সম্মান প্রদর্শনকে
      ভাবে দুর্বলতা,
লোকদের করে তিরস্কার আর
      বলে মিথ্যা কথা।

গচ্ছিত ধন তসরুপ করে
     ওয়াদা করে ভঙ্গ,
বন্ধুর দুঃখে দূরে থাকে
   সুখ এলে দেয় সঙ্গ।

দুর্বল জায়গায় জোরে আঘাত
  করে অপর লোকের,
সত্য-মিথ্যা বুঝতে চায় না
   স্বার্থ রক্ষায় নিজের।

প্রতিভাবান লোকদেরকেও
     খাটো চোখে দেখে,
খুব বুদ্ধিমান এবং জ্ঞানী
      ভাবে সে নিজেকে।

প্রতিবেশীর মঙ্গলে তার
    মনে বিদে শূল,
দুঃখ কারো দেখলে আবার
    পায় সে সুখের কূল।
      
যুক্তি ছাড়া তর্ক হয় তার
     ঝগড়ার হাতিয়ার,
কথা, কর্ম আর চিন্তায়ও
    মিল থাকে না তার।

  পরের নিন্দা, তোষামুদি
    এবং প্রতারণা,
এ সব হচ্ছে খারাপ লোকের
     চরিত্রের বর্ণনা। 

          .......