Monday, December 16, 2019

মুসলিম নিধনের নেপথ্যে

মুসলিম নিধনের নেপথ্যে
             মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

পৃথিবীতে মুসলিম নিধন
             চলছে এখন উল্লাসে,
করলে তাকে কচুকাটা
             সবাই থাকে সুহাসে।

সে যেনো আজ আজব প্রাণী
              নয় যেনো এ গ্রহের লোক,
তাইতো ভিন্ন জাতিরা আজ
              বলে শুধু মুসলিম রোখ্।

পেলে মুসলিম মারবি সবে
            রাখবি না কেউ তাকে আর, 
বলছে তারা মুসলিম হচ্ছে
             নীচু জাতি এ ধরার।

তারাই হবে পুরস্কৃত
             যারা মারবে মুসলমান,
হবে আরো নোবেল জয়ী
             থাকবে ধরায় মহীয়ান।

কেনো যে আজ মারছে মুসলিম
         এ প্রশ্নটির নেই জবাব,  
ভয়ে এখন এমন প্রশ্ন
          করার লোকও খুব অভাব।

এ জন্যে সে, যে দিকে যায়
          সে দিকে খায় মার আর মার,
পাচ্ছে না তাই ধরাতলে
            পথও খুঁজে পালাবার।

ছিল সেরা এক কালে সে
              কাঁপতো ধরা তার ভয়ে,
শৌর্যে-বীর্যে বিশ্ববুকে
              থাকতো সদা বিজয়ে।

ধরায় তাকে দেখলে সবে
            বলতো প্রভুর আশীর্বাদ,
এখন কিন্তু দেখতে পায় সে
             নির্যাতনের মরণ ফাঁদ।

কিন্তু কেন হচ্ছে এমন
             বলছি শুনো মুসলমান,
তোমার কাছে তোমার ভায়ের
             একটুও নেই দাম ও মান।

একে অন্যের বিরোধীতায়
         করছো ঐক্যের সর্বনাশ,
নগ্ননাচন চালাও আরো
         দেখলে তোমার ভায়ের লাশ।

গদির লোভে তদানীন্তন
          পাকিস্তানের মুসলমান,
একাত্তোরে বাংলায় করে
           আপন ভাইয়ের রক্তপান।

বাংলাদেশে মুসলমানদের
             সমাজটাকে দেখো আজ,
ভাইয়ে ভাইয়ে কেমন করে
              সাজে নিত্য রণসাজ।

সুন্নি-ওয়াহাব, মাজারপ্রেমী,
              পীর মুরিদ আর ভান্ডারী,
যারা একদল অপর দলের 
                উপর চালায় তরবারি।

সাদ্দাম হোসেন মেরেছিল
                  বহু কুর্দী দেশে তার,
লাদেন প্রশ্নে হাজার হাজার
                 আফগান মুসলিম হয় ছারখার।

সৌদিয়ারা ইয়ামিনীদের
               মারছে এখন খুব জোরে,
সিরিয়াতে ভাইয়ের মাংস
               ভাইয়ে খাচ্ছে পেঠভরে।

শিয়া-সুন্নি দাঙ্গায় মরে
             বহু মুসলিম ফি বছর,
আরো কত মরছে মুসলিম
             কে রাখতেছে কার খবর।

মুসলিম জাতির পতন হোক তা
              চায় ইহুদী আর খ্রিস্টান,
যাদের সাথে আছে আরো
               হিন্দু বৌদ্ধের প্রীতির টান।

বিশ্বের কিন্তু অর্থনৈতিক
               অবস্থাটা নিয়ন্ত্রণ,
করার মত মুসলমানদের
              আছে ভুমি, আছে ধন।

তাদের এখন দরকার শুধু
           সম্প্রীতি আর একতা, 
এতে তাদের বাড়বে শক্তি
           থাকবে না আর দীনতা। 

মুসলমানের আছে আরো
               সেরা গ্রন্থ আলকোরআন,
এটি হচ্ছে মানবজাতির
                সব সমস্যার সমাধান।

কোরআন-সুন্নার বিধান মেনে
                  জাগলে মুসলিম একতায়,
সকল জাতি থাকবে তাদের
                    অনুগত এ ধরায়।

প্রবল শক্তি এ জাতিতে
                না জাগাতে শত্রুর দল,
মুসলমানদের মাঝে বসায়
                 বিভাজনের নানা কল।

বোকা মুসলিম বোঝে না তা
                  আটকা পড়ে ওই কলে
তখন তাকে মারতে থাকে
                   পাপীষ্ঠদের সব দলে।

যেমনটি আজ মারছে মুসলিম
                 ফিলিস্তিন ও আফ্রিকায়,
কাশ্মীরেও পশুর মত
                  হত্যা চালায় ইণ্ডিয়ায়।

মিয়ানমারে বইছে এখন
                 মুসলমানদের রক্তের ঢল
দগ্ধ এবং জবাই করে
                  মুসলিম মারে পশুর দল।

মোদি সরকার ভেঙ্গে ফেলে
                  বাবরি মসজিদ অযোধ্যায়,
প্রতিবাদে ভারতব্যাপী
                   বহু মুসলিম প্রাণ হারায়। 
                   
হায়রে মুসলিম, আর কত কাল
               খেতে থাকবে এমন মার,
পেছন দিকে ফিরে দেখো
                ছিলে তুমি জাতটা কার।

তোমার মাঝে নেই কি সে তেজ
               আলী এবং খালিদের,
দেখলে যাদের শুরু হতো 
                হৃদয়কম্পন জালিমের।

আল্লাহ আর রাসূলপ্রীতি
                 হৃদয়ে দাও ঊর্ধ্বে স্থান,
ইব্রাহীমি খোদাপ্রেমে
                 অগ্নি কর ফুল বাগান।

ভবে করো সৌহার্দ্য আর
                পরামর্শে কাল যাপন,
জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে
                তেজী করো নিজের মন।

গুণের মুসলিম হলে তুমি
              শ্রেষ্ঠ থাকবে ধরাতে,
তোমার অগ্রের আসন কভু
               যাবে না আর পশ্চাতে।
                    .....