Wednesday, January 23, 2019

পাথরকুচি পাতার গুনাগুণ

       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাইয়োফিলাম
      পাথরকুচি পাতার,
পাঠান বেইদও নাম রয়েছে
      এ গুল্মটির আবার।

প্রায় দুৃ ফুটের লম্বা এ গাছ
    দেখতে খুব সুন্দর,
মোটা এবং মসৃণ হলো
    এগাছের পত্তর।

সবখানে এ গুল্ম জাতের
   গাছটি পাওয়া যায়,
আরো দ্রুত বাড়ে গাছটি
   সেঁতসেঁতে জায়গায়।

ডিম্বাকৃতির এর পাতাতে
    চারপাশে হয় খাঁজ,
মাটির ভেতর পুঁতলে পাতা
   তার থেকে হয় গাছ।

দু চা-চামচ দিনে দু বার
    এর রস সিদ্ধ করে,
দুয়েক দিন পান করলে সর্দি
     আর কাশি যায় সরে।

পিত্ত ব্যথায় কোনো রোগীর
     রক্ত ক্ষরণ হলে,
দিন দু বার এ পাতার রস পান
   করলে রোগ যায় চলে।

চল্লিশ ফোঁটা এ পাতার রস
   করে হালকা গরম,
মালিশে হয় শিশুর পেটের
    ব্যথার উপশম।

অল্প চিনি দু চামচ এর
     রসে মিশ্রণ করে,
গরম করে আবার অল্প
     জলে মেশান পরে।

বায়ুতে পেট ফোলে যদি
   প্রস্রাব আঁটকে যায়,
এটি খাইয়ে দিলে রোগী
     দ্রুত সুফল পায়।

কাটা গেলে কিংবা চাপে
    মাংস থেতলে গেলে,
দূর হবে তা এ পাতাটির
    গরম সেঁকা পেলে।

হঠাৎ করে রোগীর যদি
     ওঠে মৃগী ব্যারাম,
মুখে তার এর রস দিলে পায়
     মুক্তি ও আরাম।

কিডনি এবং গলব্লাডারে
      পাথর হলে তবে,
এর পাতার রস সকাল-বিকাল
      সেবন করতে হবে।

অপসারণ হবে পাথর
    চলে যাবে রোগ,
ভাল হয়ে যাবে রোগী
   থাকবে না দুর্ভোগ।

জণ্ডিস রোগে কাউকে যদি
     করে আক্রমণ,
এ পাতার রস পানে হয় তার
    জণ্ডিস বিতাড়ন।

পাথরকুচির রসে অল্প
  গোল মরিচ মিশিয়ে
পাইল, অর্শ্ব, গেজ রোগীদের দিন
     নিত্য পান করিয়ে।

অল্প দিনের মধ্যে রোগীর
     রোগ হবে নির্মূল,
পাবে না আর রোগী কভু
      এসব রোগের শূল।

যদি কাউকে কোনো বিষধর
     পোকা-মাকড় কামড়ায়,
ব্যাথা কমায় পাথরকুচির রসের
      গরম ছেঁকায়।

ব্রণ হলে এ পাতা বেটে
   লাগিয়ে দিন মুখে,
দেখবেন তবে মুখের সব ব্রণ

      যাবে দ্রুত চুকে।

পাথরকুচি পাতার রসে
   ছয় গ্রাম ঘি মেশান,
এতে আবার ঝিরাও দিন
    সমপরিমাণ।

এ নিয়মে কয়েকটা দিন
     যদি খাওয়া হয়,
কলেরা আর ডায়রিয়ার হয়
      দ্রুত নিরাময়।

কারণ ছাড়া জ্বালা- পোড়া
     করে যদি ঘাত্র,
হালকা গরম আধা কাপ জল
     নিতে হবে মাত্র।

এতে দিয়ে দু ফোটা রস
     পাথরকুচি পাতার,
সকাল-সন্ধ্যা খেলে হয় না
     জ্বালা- পোড়া আর।

পাথরকুচি ঔষধি গাছ
     খুবই উপকারী,
গুরুত্ব দিন এ গাছটির যা
     জীবন রক্ষাকারী।
         .........
তারিখঃ ২২-০১-২০১৯ খ্রি.

   
     

  

Thursday, January 10, 2019

বাঁচার মত বাঁচতে হলে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

আরাধনার পরে ভোরে
             অভ্যাস করুন হাটার,
বসলে বসবেন সোজা হয়ে
            চিবিয়ে খান খাবার।

তৈলাক্ত ও মিষ্টি খাবার
  বাদ দিয়ে দিন সবে,
সবুজ সবজি আর ফলমূল খান
   ভাল থাকবেন তবে।

নিজের কাজটি নিজে করুন
    ব্যস্ত থাকুন কাজে,
ভাল কাজের কর্মী সাজবেন৷ 
   করবেন না কাজ বাজে।

ঢিলেঢালা পোশাক পরবেন
    শোয়ার সময় ভাই,
কিন্তু শোয়ার বিছানাটা
     শক্ত হওয়া চাই।

রাগ পরিহার করুন সবাই
     সংযমী হোন কথায়,
মানুষ বিশ্বাস করতে শেখুন
     আর থাকবেন না মিথ্যায়।

ধর্মের বিধান মেনে চলতে
   ভুল করবেন না কভু
একালে সুখ আর সেকালে
    মুক্তি দেবেন প্রভু।

ভুল যদি কেউ করে থাকে
   ক্ষমা করবেন তাকে,
মানব সেবায় থাকতে হবে
    সতত আপনাকে।

পৃথিবীতে করেন যদি
    সচ্চরিত্র অর্জন,
শ্রদ্ধার রাজ্যের রাজা হয়ে
   পাবেন স্থায়ী আসন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাব
    চাঙ্গা রাখুন মনে,
দেখবেন শান্তির ফুল্লধারা
    বইবে এ জীবনে।

অহংকারটা ঝেড়ে ফেলুন
       চিন্তা করুন সৎ,
এসব নিয়ম-নীতি বাঁচায়
   বাঁচার মত আলবৎ।
             ......
তারিখঃ ০৭- ০১- ২০১৯ খ্রি.

Build up your habit of walking
       In the dawn after prayer,
Seat straitly and diet without 
      Chewing eat never.