মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাইয়োফিলাম
পাথরকুচি পাতার,
পাঠান বেইদও নাম রয়েছে
এ গুল্মটির আবার।
প্রায় দুৃ ফুটের লম্বা এ গাছ
দেখতে খুব সুন্দর,
মোটা এবং মসৃণ হলো
এগাছের পত্তর।
সবখানে এ গুল্ম জাতের
গাছটি পাওয়া যায়,
আরো দ্রুত বাড়ে গাছটি
সেঁতসেঁতে জায়গায়।
ডিম্বাকৃতির এর পাতাতে
চারপাশে হয় খাঁজ,
মাটির ভেতর পুঁতলে পাতা
তার থেকে হয় গাছ।
দু চা-চামচ দিনে দু বার
এর রস সিদ্ধ করে,
দুয়েক দিন পান করলে সর্দি
আর কাশি যায় সরে।
পিত্ত ব্যথায় কোনো রোগীর
রক্ত ক্ষরণ হলে,
দিন দু বার এ পাতার রস পান
করলে রোগ যায় চলে।
চল্লিশ ফোঁটা এ পাতার রস
করে হালকা গরম,
মালিশে হয় শিশুর পেটের
ব্যথার উপশম।
অল্প চিনি দু চামচ এর
রসে মিশ্রণ করে,
গরম করে আবার অল্প
জলে মেশান পরে।
বায়ুতে পেট ফোলে যদি
প্রস্রাব আঁটকে যায়,
এটি খাইয়ে দিলে রোগী
দ্রুত সুফল পায়।
কাটা গেলে কিংবা চাপে
মাংস থেতলে গেলে,
দূর হবে তা এ পাতাটির
গরম সেঁকা পেলে।
হঠাৎ করে রোগীর যদি
ওঠে মৃগী ব্যারাম,
মুখে তার এর রস দিলে পায়
মুক্তি ও আরাম।
কিডনি এবং গলব্লাডারে
পাথর হলে তবে,
এর পাতার রস সকাল-বিকাল
সেবন করতে হবে।
অপসারণ হবে পাথর
চলে যাবে রোগ,
ভাল হয়ে যাবে রোগী
থাকবে না দুর্ভোগ।
জণ্ডিস রোগে কাউকে যদি
করে আক্রমণ,
এ পাতার রস পানে হয় তার
জণ্ডিস বিতাড়ন।
পাথরকুচির রসে অল্প
গোল মরিচ মিশিয়ে
পাইল, অর্শ্ব, গেজ রোগীদের দিন
নিত্য পান করিয়ে।
অল্প দিনের মধ্যে রোগীর
রোগ হবে নির্মূল,
পাবে না আর রোগী কভু
এসব রোগের শূল।
যদি কাউকে কোনো বিষধর
পোকা-মাকড় কামড়ায়,
ব্যাথা কমায় পাথরকুচির রসের
গরম ছেঁকায়।
ব্রণ হলে এ পাতা বেটে
লাগিয়ে দিন মুখে,
দেখবেন তবে মুখের সব ব্রণ
যাবে দ্রুত চুকে।
পাথরকুচি পাতার রসে
ছয় গ্রাম ঘি মেশান,
এতে আবার ঝিরাও দিন
সমপরিমাণ।
এ নিয়মে কয়েকটা দিন
যদি খাওয়া হয়,
কলেরা আর ডায়রিয়ার হয়
দ্রুত নিরাময়।
কারণ ছাড়া জ্বালা- পোড়া
করে যদি ঘাত্র,
হালকা গরম আধা কাপ জল
নিতে হবে মাত্র।
এতে দিয়ে দু ফোটা রস
পাথরকুচি পাতার,
সকাল-সন্ধ্যা খেলে হয় না
জ্বালা- পোড়া আর।
পাথরকুচি ঔষধি গাছ
খুবই উপকারী,
গুরুত্ব দিন এ গাছটির যা
জীবন রক্ষাকারী।
.........
তারিখঃ ২২-০১-২০১৯ খ্রি.