দেশে আজ বয়ে চলে রক্তের প্লাবন,
দিবানিশি থাকে তাই ত্রাসে লোকজন।
নগরে, বন্দরে, গাঁয়ে চলনে, শয়নে,
পাষানেরা মারে লোক প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
চলে সদা উত্তেজনা অস্ত্রের গঞ্জন,
নেই কোথাও শান্তি ও ঐক্যের বন্ধন।
গুম-খুন, লুটপাট, রমণী ধর্ষণে,
রত থাকে পাপি সব পুলকিত মনে।
আদালতে করে শুধু নির্দোষী ক্রন্দন,
অপরাধী পেয়ে যায় প্রাণের স্পন্দন।
প্রতিদিন জালিমেরা থাকে নিপীড়নে,
শিষ্টের দমন আর দুষ্টের লালনে।
হৃদয়ে রাখে না এরা প্রভুর স্মরণ,
মৃত্যুর আগে এদের হবে না চেতন।
সজ্জন এখন আর নেই উচ্চাসনে,
থাকে তাই জ্ঞানী আর গুনীরা গঞ্জনে।
লাশের উপরে চলে হরষে নাচন,
লোকালয়ে বস্ত্র নারী হারায় এখন।
বিদ্যাপীঠ প্রতিদিন থাকে রণে রণে,
শিষ্যদের হাতে মার খায় গুরুজনে।
সন্তানের হাতে ঘটে পিতার মরণ,
পতির হাতে বৈ পায় অত্যয় এখন।
ন্যায়-নীতি নেই আদৌ দেশে প্রশাসনে,
পুরো দেশ ত্রাসে গ্রাস করে একারণে।
হরণে লিপ্ত সবাই নিরীহের ধন,
আসে না কেউ দুর্নীতি করতে ধমন।
নেই কোনো স্বাধীনতা ব্যক্তির জীবনে,
সবার দিবস কাটে আর্তির দহনে।
এ জাতির হয় যদি এমনি পতন,
ছিল কি স্বাধীনতার কোনো প্রয়োজন?