Monday, June 29, 2020

খাওয়ার সঠিক সময়

খাওয়ার সঠিক সময়
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বাঁচতে হলে আমাদেরকে 
     খেতে হবে ভবে,
তবে খাওয়ার সঠিক সময় 
     মেনে চলতে হবে।
 
চিকিৎসকদের মতে হলো
    প্রাতরাশের সময়,
সাতটা থেকে আটটার ভেতর
    হতে হবে নিশ্চয়।

দুপুর বেলা বারোটার পর
     মাধ্যাহ্নভোজ করুন,
আড়াইটার পর না খেতে  তা
     অভ্যাস গড়ে তুলুন।

জানতে হবে রাতের সঠিক
     আহার করার সময়,
সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে হয়
     নয়টার পরে নয়।

নিদ্রার ঠিক দু' ঘন্টা আগে 
  খেলে রাতের খাবার,
স্ট্রোক এবং হার্টের রোগে
  ভোগবে না কেউ আর।

যে লোক সদা  সঠিক সময়
    মেনে  ভোজন করে,
শুধু সেই লোক সুস্বাস্থ্য তার
    রাখতে পারে ধরে। 
       .......

Friday, June 12, 2020

সীতাকুন্ডের রূপ

সীতাকুন্ডের রূপ

 মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

সীতাকুন্ডের পূর্বে পাহাড়
    পশ্চিমে সাগর,
মধ্যখান এর উঁচুভুমি
      রূপে মুগ্ধকর।

অপরূপা প্রকৃতি এর 
      হরণ করে মন,
তাইতো ইচ্ছে করে রূপটি
       দেখতে সারাক্ষণ।

সবুজ-শ্যামল এ এলাকার
  খাল-বিল, ঝর্ণাধারা,
ধরাতলে নিত্য থাকে
     রূপে চমকমারা।

পুকুর, ডোবা, খাল ও বিলে
     আছে প্রচুর মৎস্য,
চাষীর ক্ষেতে সারা বছর
    ভরা থাকে শস্য।

বৃক্ষশাখা থাকে মুখর
  পাখপাখালির গানে,
এদের গানের সুরে প্রাণে
    সজিবতা আনে।

বন বাগানে বৃক্ষে থাকে
  ফুল ও ফলের হাসি,
যে হাসিটা দেখলে মনে
    বাজে খুশির বাঁশি।

হরিণ, বানর, পতঙ্গ আর
   বনমোরগের ডাকে,
দিবারাত্র পাহাড় যেনো
   উৎসব মুখর থাকে।

মনমাতানো ইকোপার্ক ও
      চন্দ্রনাথ পাহাড়,
দেখতে এসে প্রায়শ ভিড় 
       জমে জনতার।

গুলিয়াখালির সমুদ্রতট
     দেখলে জুড়ায় মন,
রূপ দেখেনি, এর রূপ কভু
     দেখেনি যে জন।

বাঁশবাড়িয়া সাগর সৈকত
     আর কুমিরা ঘাট,
এ দু জায়গায় নিত্য যেনো
     বসে রূপের হাট।

এ এলাকার ভাটিয়ারী
      রূপের সেরা স্থান,
অপরূপ এর শোভা দেখলে
      উদাস করে প্রাণ।

দেশের সেরা গল্ফ ক্লাবটি এর
     পাহাড়চূড়ায় স্থিত,
লেক, পাহাড় আর শ্যামল রূপে
      আছে তা বেষ্টিত।

এ গল্ফ কোর্সটি সেনা দ্বারা
    নিয়ন্ত্রিত থাকায়,
অপরূপা স্থানটি সদা 
 থাকে নিরাপত্তায়।

স্ফটিক এর মতো স্বচ্চ
    থাকে লেকের জল,
চললে নৌকা এ জলেতে
    রূপ করে ঝলমল।

পাহাড় বেয়ে পাকা সড়ক
     গিয়েছে ওপারে,
কী যে দারুণ লাগে দেখতে
     আহারে, আহারে।

ফৌজদারহাটের জাহাজঘাটার
       রূপে কাড়ে নয়ন,
সাগরপাড়ে দেখায় যেনো
     হচ্ছে নগরায়ন।  

সীতাকুন্ড হলো দেশের
    সেরা শিল্পাঞ্চল, 
তাই এখানে মেলার মতো
    নামে লোকের ঢ়ল।

বুকচিরে এর চলে গেছে
  ট্রাংক রোড় আর রেল পথ,
যার ফলে হয় সারা দেশে
    সহজ যাতায়ত।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা আর
      বিশ্ববিদ্যালয়ে,
নিত্য থাকে এ জনপদ
    জ্ঞানের প্রদীপ হয়ে। 

মুক্তার চেয়ে বেশি খাঁটি
    এ এলাকার মাটি,
যে মাটিতে আমার জন্ম
     এবং বসতবাটি।
        .....