সীতাকুণ্ড, আমার জন্মস্থান
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
পাহাড়-সিন্ধুর মাঝখানে ভাই
দেখবে বঙ্গে তুমি,
মনভোলানো রূপ বৈচিত্রের
অপূর্ব এক ভূমি।
এ ভূমিতে জনতা আর
বনে পশু-পাখি,
দিবারাত্র কাটায় সুখে
রূপে জুড়ায় আঁখি।
বাতাস নাচায় ফুল-ফলাদি
রূপে জাগায় বান,
বনে বায়ুর নৃত্যে শুনায়
শোঁ শোঁ সুরের তান।
সকাল-সন্ধ্যা চলে পাখির
সুরেলা কূজন,
কূজনে হয় সাঁঝের বিদায়
ভোরের সম্ভাষণ।
রাতে যখন জোনাকিদের
আলোতে ঝোপ সাজে,
ঝোপকে তখন তারার আকাশ
দেখায় ধরার মাঝে।
দিবা-নিশি নীলাম্বরের
রাজ ও রাণীর রূপে,
বৃদ্ধি পায় এর উজ্জ্বলতা
মালিন্য যায় লোপে।.
এ ভূমিটা প্রকৃতির পায়
অপুরন্ত দান।
ঋতুভিত্তিক জাগে ওসব
দানের মহাবান।
ফুলে-ফলে, শস্যে থাকে
স্থানটি সুসজ্জিত,
তাই এখানে দারিদ্রতা
থাকে বিমোচিত।
উর্বরতার এ মাটিতে
সোনার ফসল ফলে,
পুণ্যচাষীর জীবন এতে
সচ্ছলতায় চলে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে
ভিন ধর্মের লোকজন,
এ অঞ্চলে করে থাকে
শান্তির কালযাপন।
প্রমাণ করে এর জনতার
প্রীতি-ঐক্য-বল,
যেনো তারা সবাই একটি
পরিবারের দল।
এ এলাকার সীতার পাহাড়,
হিন্দু তীর্থস্থান,
ইকোপার্কের ঝর্ণাধারা
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্প,ব্যবসায়
স্থানটি খুব উন্নত,
তাইতো এটি দেখায় যেনো
স্থায়ী মেলার মত।
এর অপূর্ব রূপের কাছে
পরীস্থান হয় ম্লান,
নাম হলো এর সীতাকুণ্ড
আমার জন্মস্থান।
........
No comments:
Post a Comment