মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
আহত খদিজা একটি
চাঁদের মত মেয়ে,
চোখের পানি পড়ছে সবার
তাকে দেখতে যেয়ে।
রক্তচোষা জাহেদ নামক
নরকুলাঙ্গার,
খ্যাত একটি বিদ্যাপীঠের
শ্রেষ্ঠ জানোয়ার।
প্রেমে সাড়া না দেয়াতে
খাদিজা তার সাথে,
জখম করে ফেলে তাকে
চাপাতির আঘাতে।
শিক্ষকগণ ওই বিদ্যাপীঠের
খ্যাত সুশীল বলে,
তবু এমন শিষ্য তাদের
দেখছে আজ সকলে।
বর্তমানে লোক খুন করা
স্বাভাবিক ব্যাপার,
খুনির যদি থাকে মামা
পেয়ে যায় সে পার।
মামা-ভাগ্নের লালন এখন
বিদ্যাপীঠে বেশি,
তাই সেখানে চলে থাকে
হিংস্র রেষারেষি।
বিদ্যাপীঠ আজ রক্তখেলার
যেনো গুণ্ডালয়,
যেখানে রোজ মনুষ্যত্বের
ঘটছে বিপর্যয়।
হলে সেরা বিদ্যাপীঠের
অবস্থা এমন,
ঘুচবে না আর দুঃখ জাতির
চলবে শুধু রোদন।
তাইতো শিক্ষার ত্রুটি কোথায়
দেখা প্রয়োজন,
চোখবুজে আর থাকবেন না সব
দেশের বিজ্ঞজন।
মনের পশু দমন করা
শিক্ষার প্রধান কাজ,
এর পরের কাজ হলো গড়া
সুখ-শান্তির সমাজ।
শিক্ষার চরম উন্নতির এই
যুগটিতে সমাজে,
গুম-খুন, ধর্ষণ চলছে হরদম
সকাল, দুপুর, সাঁঝে।
খাদিজাদের মত দেশে
হাজার অঘটন,
দেখে হচ্ছে আতঙ্কিত
নিরীহ লোকজন।
সবাই ধর্মের বিধান মেনে
চললে পৃথিবীতে,
থাকবে না আর সমাজে কেউ
পাশবিক নীতিতে।
এ কথাটি মানতে চায় না
দেশের সুশীলগণ,
তাই সমাজের হচ্ছে এখন
দ্রুত অধঃপতন।
সুশীল বলে দাবি করেন
যারা জোর গলায়,
এখন তাদের কি ভুমিকা
লোকজন জানতে চায়।
No comments:
Post a Comment