Saturday, September 7, 2024

মাতৃভূমির গান





মাতৃভূমির গান
         মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মাতৃভুমি ধরায় তুমি
প্রভুর সেরা দান,
লাল সবুজের রূপটি তোমার
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
শোভনতায় এ ক্ষিতিতে উর্ধ্বে তোমার স্থান,
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

দেখতে তোমার রূপের ঝলক
সবাই পাগলপারা,
আকাশ থেকে দেখতে জাগে
চাঁদ, রবি, আর তারা।
নয়নকাড়া দৃশ্য তোমার হয় না কভু ম্লান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

উদার তোমার অন্তরীক্ষ 
বিশাল তোমার মাঠ,
তোমার ধানের বিলে জাগে
ঢেউখেলানো নাট।
বৃক্ষশাখায় মধুর কণ্ঠে পাখিরা গায় গান-
মাতৃভমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

অতি মধুর ভাষা তোমার
কাড়ে সবার মন।
নিত্য আমরা তোমার বুকে
পাই অফুরান ধন।
তোমার সে ধন বয়ে আনে মহাসুখের বান-
মাতৃ়ৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

ধন রেখেছেন প্র ভু তোমার
মাঠ, নদী আর বনে,
অবারিত আছে সে ধন
ভোগতে সকল জনে।
ষড়ঋতুর মাধ্যমে যা করেন তিনি দান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

সব ঋতুতে থাকে তোমার
রূপবৈচিত্রের খেলা,
এদের মাঝে থাকে আরো
ফুল-ফলাদি মেলা।
পবনে তাই মাখা থাকে ফুল ও ফলের ঘ্রাণ-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

তোমার কোলে নিত্য লভি
 সুখ-আনন্দ-হাসি,
 তাইতো আমরা প্রাণের চেয়ে 
 তোমায়  ভালোবাসি।
কন্ঠে জাগে তোমার ছোঁয়ায় মহানন্দে গান। 
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।। 
বক্ষে তোমার থাকি মোরা
উচ্ছ্বসিত প্রাণে
শপথ করছি, আমরা তোমায়
রাখবো সেরা স্থানে।
দৃঢ় আমরা তোমার তরে দিতে সবে প্রাণ-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

Friday, September 6, 2024

মাতৃভূমির গান

মাতৃভূমির গান
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মাতৃভুমি ধরায় তুমি
প্রভুর সেরা দান,
লাল সবুজের রূপটি তোমার
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
শোভনতায় এ ক্ষিতিতে ঊর্ধ্বে তোমার স্থান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

    দেখতে তোমার শ্যামল রূপটি
     সবাই পাগলপারা,
     আকাশ থেকে দেখতে জাগে
     চাঁদ, রবি, আর তারা।
নয়নকাড়া দৃশ্য তোমার হয় না কভু ম্লান-
মাতৃভূমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     উদার তোমার অন্তরিক্ষ
     বিশাল তোমার মাঠ,
     তোমার ধানের বিলে জাগে
     ঢেউখেলানো নাট।
বৃক্ষশাখায় মধুর কণ্ঠে পাখিরা গায় গান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     মধুর তোমার লোকের ভাষা
     জুড়ায় সবার মন,
     নিত্য তুমি হাসিমুখে      
     দিয়ে থাক ধন।
তোমার সে ধন বয়ে আনে মহাসুখের বান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     ধন রেখেছেন প্রভু তোমার
     মাঠ, নদী আর বনে,
     অবারিত থাকে সে ধন
     ভোগতে সকল জনে।
ষড়ঋতুর মাধ্যমে যা করেন তিনি দান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

      সব ঋতুতে থাকে তোমার
      রূপবৈচিত্রের খেলা,
      এদের মাঝে রাখ আরো
       ফুল-ফলাদি মেলা।
পবনে তাই মাখা থাকে ফুল ও ফলের ঘ্রাণ-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

তোমার কোলে নিত্য লভি
সুখ-আনন্দ-হাসি,
তাইতো মোরা প্রাণের চেয়ে 
তোমায় ভালোবাসি।
কন্ঠে জাগে তোমার ছোঁয়ায় মহানন্দে গান।ম
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।। 
      বক্ষে তোমার থাকি আমরা
      উচ্ছ্বসিত প্রাণে
       শপথ করছি, রাখবো তোমায়
       বিশ্বর সেরা স্থানে।
দৃঢ় আমরা তোমার তরে দিতে সবে প্রাণ-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

Tuesday, August 27, 2024

জিহাদ

জিহাদ কি? কেন? কিভাবে?
        মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

'জিহাদ' একটি আরবি শব্দ
       বাংলা কিন্তু নয়।
তাই, এ শব্দের অর্থ আগে
      জেনে নিতে হয়।

না জেনে এর অপব্যাখ্য
    করবে যেসব লোক,
বোঝতে হবে নেই যে তাদের
     জ্ঞান, বিবেক ও চোখ।

"চেষ্টা, সংগ্রাম, সাধনা," হয়
        বাংলাতে এর মানে,
এসব অর্থ আছে লেখা
              আরবি অভিধানে।

শরীয়তের বিধান মতে
     জিহাদ বলতে বুঝায়,
সত্যের সংগ্রাম করে যাওয়া
     মহাপ্রভুর রাস্তায়।

আপন জাতি, রাষ্ট্র, ধর্ম
      রক্ষা করতে হলে,
যে সংগ্রামটি চালাতে হয়
       তাকে জিহাদ বলে।

কু প্রবৃত্তির বিরোধিতায়
     সংগ্রাম যদি হয়,
সুন্নাহ মতে সর্বশ্রেষ্ঠ
      জিহাদ তাকে কয়।

এ জিহাদে কু-প্রবৃত্তির 
     মৃত্যু ঘটায় মনে,
সু-প্রবৃত্তি চাঙ্গা করে
      মনুষ্যত্ব আনে।

থাকে যাদের কুপ্রবৃত্তি
     অন্তরে জাগ্রত,
ধরাতে হয় স্বভাব তাদের
     হিংস্র পশুর মত।

যে সমাজে কুপ্রবৃত্তির
    মানুষ করে বাস,
ওই সমাজে মনুষ্যত্বের
    ঘটে সর্বনাশ।

নিত্য চলে সে সমাজে
      গুম, খুন আর দুর্নীতি,
হারিয়ে যায় মানুষ থেকে
      সুখ-শান্তি ও প্রীতি।

তাইতো ইসলাম বলে আগে
     জিহাদ চালাও মনের,
ইহ-পরকালে তবে
      জীবন হবে সুখের।

জাগে যদি মনের ভেতর
     অসৎ কর্মের বান,
মন বিরোধী জিহাদে এর
       ঘটায় অবসান।

জিহাদে হয় দুষ্টের দমন,
   শিষ্টের লালন ধরায়,
এতে সুখের ফুল্লধারা
    মানব সমাজ পায়।

দৈহিক, আর্থিক, বিদ্যাভিত্তিক
      জিহাদের যে বর্ণন,
শরীয়তে উল্লেখ আছে
      রাখতে হবে স্মরণ।

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম
    পূর্ণ জীবন বিধান,
এ বিধানে সমাজে হয়
      শান্তির সহাবস্থান।

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে
    শরীয়ার নীতিতে,
সবে সবার মূল অধিকার
      পাবে নিজ ভূমিতে।

এমন নীতি রুখতে  যারা
        অস্ত্র ধরে ভবে,
দৈহিক জিহাদ সবার উপর
        তখন ফরজ হবে।

যে জ্ঞান চর্চায় দেশ ও জাতির
        উন্নয়নটা আনে,
বিদ্যাভিত্তিক জিহাদ হয় তা
       ইসলামের বিধানে।

বক্তৃতা আর লেখালেখি
        আনলে সত্যের জোয়ার,
সেটিও হয় জ্ঞানের জিহাদ
       জানা খুব দরকার।

অর্থ-সম্পদ করলে ত্যাগ
      মানুষের কল্যাণে,
আর্থিক জিহাদ বলে তাকে
     হাদিস ও কোরআনে।

জিহাদ হবে খোদার রাস্তায়
      ব্যক্তিস্বার্থে নয়,
স্বার্থ রক্ষার জিহাদে হয়
      শয়তানের বিজয়।

এ বিজয়ে চলে তখন
      ত্রাসের রাজ্য ধরায়,
তখন পুরো মানবসমাজ
        মনুষ্যত্ব হারায়।

খোদার রাস্তায় জিহাদ হচ্ছে
       শ্রেষ্ঠ ইবাদত,
জিহাদকালীন মৃত্যুহলে
        মেলে শাহাদত।

প্রতিদান হয় শাহাদাতের
       উৎকৃষ্ট জান্নাত,
যা'' পেতে সব ঈমানদারে
       যাচে দিন ও রাত।

পুণ্যপথে জিহাদকারী
     খোদার দিদার পায়,
জিহাদে তাই মোমিন বান্দা 
      জীবনাবসান চায়।
                 ......

Monday, August 19, 2024

আওয়ামী লীগের তালগাছ (গদি) রক্ষায়

আওয়ামী লীগের তালগাছ (গদি) রক্ষায়
         মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী

চলতো গুম আর খুনাখুনি
আওয়ামী লীগ নীতিতে,
উদ্দেশ্য এর একটাই ছিল
টিকে থাকা গদিতে।

           তাইতো কারো মিল থাকতো না
           কথা কর্ম আর চিন্তায়,
           ঐক্য, সত্য, উদারতা
           গিয়েছিল সব গোল্লায়।

ন্যায়-নীতি আর ধৈর্য-সহ্য
ছিল তখন সব বর্জ্য,
প্রধানমন্ত্রী ছিল দলের
বিশ্বসেরা নির্লজ্জ।

            রেষারেষি চলতো  দলে
             নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে,
             কিন্তু কারো মন থাকতো না
             নিবেদিত পরার্থে।

অন্যায় কাজের প্রতিবাদ কেউ
 করলে মরতো গুলিতে,
 এ কারণে গুণীলোকজন 
 নিত্য থাকতো বলিতে।

           রাখতে চির অধিকারে
           'তালগাছ' নামক গদিটা,
           বাজালো নিজ অধঃপাতের
           বারোটারই ধ্বনিটা।

                     ........

Saturday, August 17, 2024

সনেট

আল্লামা দিলাওর হোসেন সাঈদী (র.)কে অর্পিত

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বাংলার সত্যপ্রেমী হে অকুতোভয়!
মৃত্যুবরণ করেছ তুমি হাস্যমুখে,
হয়ে গেছ মৃত্যুঞ্জয়ী স্বদেশের বুকে,

এ অন্যায়ে দেশবাসী অতি ক্ষুব্ধ  হয়।

ছিনিয়ে আনতে তুমি সত্যের বিজয়

রাখতে নিজ জনতা চিরতরে সুখে ,  এ কারণে পাপিষ্ঠরা জ্বলে ধুঁকে ধুঁকে

তাই, তব তরে তারা গড়ে বিচারালয়। 


ভাড়াটে সাক্ষীরাও সাক্ষ্য দেয় মিথ্যার,

 তুমি নাকি ছিলে দেশে নরহত্যাকারী,

রায় পেলে আজীবন কারায় থাকার।
 ঘাতক ঘটায় তথা মরণ তোমার,

সত্যের পাল্লা তোমার আজ অতি ভারী,
পাপীদের নেই আর পথ পালাবার।
                   ......    

Saturday, July 13, 2024

আমার প্রিয় কর্মস্থল রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য- সদস্যার প্রতি সশ্রদ্ধ স্বীকৃতি।

আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিবারের  সকল সদস্যে-সদস্যা ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকলের কাছে আমার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার জন্যে  আমি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞ।                .......... 

আমি মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী, সহকারী প্রধানশিক্ষক, রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, ২য় বার হৃদরোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল হসপিটাল, চট্টগ্রামে আই সি ইউ-তে পাঁচ দিন ( ২৬-০৬-২০২৪ থেকে ৩০-০৬-২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত) চিকিৎসাধীন ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়ে বর্তমানে নিজ আলয়ে বিশ্রাম নিচ্ছি। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. থেকে ০৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত মোট দশ দিন একই রোগে এ হসপিটালে আই সি ইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলাম। ১ম বার এবং এবার হসপিটালে থাকাকালীন সময়ে আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ও সুযোগ্য মাননীয় প্রধান শিক্ষক মো. শরীফুল ইসলাম শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও আমাকে দেখার জন্যে প্রতিদিন হসপিটালে গমন করতেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতেন। প্রথম বার যখন আমি ন্যাশনাল হসপিটাল চট্টগ্রামে আই, সি, ইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলাম তখন তিনিই আমার রোগমুক্তির জন্যে সবার কাছে দোয়া চেয়ে FB-তে পোস্ট দিয়েছিলেন। এতে আমার অসুস্থতার কথা দেশ-বিদেশে প্রচারিত হলে বহু লোক আমার রোগমুক্তির জন্যে দোয়া করেন এবং দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকে আমার খোঁজখবর নেন। এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত সভাপতি,  সকল সদস্য, শিক্ষক -শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী মাঝে মধ্যে আমার খোঁজখবর  নেয়ার  জন্যে হসপিটালে আসা যাওয়া করতেন এবং বিধাতার নিকট আমার রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করতেন। সম্মানিত শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বিদ্যালয় আরম্ভ হওয়ার পূর্বে এসেমব্লির পরে সকল ছাত্র-ছাত্রী আমার জন্যে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনাও করেছিলেন।  সত্যিকর অর্থে একজন মুমূর্ষু রুগী তার আপনজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভার্থীদের কাছ থেকে এমনটিই কামনা করে থাকে। এটি আমি আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক স্কুল পরিবারের সকল সদস্য থেকে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার প্রতি এহেন হৃদ্যতার জন্যে আমি তাদের  সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমি এ জটিল রোগে ভোগছি। আমার  এ রুগ্ন অবস্থায়  প্রধানশিক্ষক মহোদয় বিদ্যালয়ে  তাঁর নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমার প্রায় দায়িত্ব তিনি পালন করতেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাগণও আমার কাজে আমাকে তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আমার কর্মের চাপ কমিয়ে দিতেন ।  প্রথম বার আই সি ইউ থেকে রিলিজ পাওয়ার পর মাননীয় প্রধানশিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও  সকল সদস্য আমকে চিকিৎসা ছুটিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এমন  দুরাবস্থায় আমাকে যে কৃতার্থ করেছেন তা আমি আমৃত্যু স্মরণ রাখবো এবং তজ্জন্য চির কৃতার্থ থাকবো। আমার প্রতি আমার এ বিদ্যালয়ের সকল সদস্যের এহেন আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সত্যিই আমি বিমোহিত, গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। পরিশেষে আমি আমার রোগমুক্তির জন্যে সকলের নিকট দোয়ার আবেদন করছি। আমি চাকুরী থেকে অবসরে যাচ্ছি আগামী২৫-০১-২০২৫ খ্রি. তারিখে, যা আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি। রোগের জটিলতার কারণে আমার পক্ষে বিদ্যালয়ে সবার সাথে মিলেমিশে স্বীয় দায়িত্ব পালন করা আদৌ সম্ভবপর হচ্ছে না বিধায় আমি অন্তর জ্বালায় ভোগছি। অত্র বিদ্যালয়ে বিগত বিশ বছরের মায়া আমার হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। এ মায়ার বিচ্যুতি যে কতই বেদনার তা' আমার মতো ভুক্তভোগী ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। যাহোক, এ বিদ্যালয়ে বিশ বছর কর্মকালীন সময়ের শুরু থেকে অদ্যাবধি আমার কোনো আচার-আচরণে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীসহ বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যে-কেহ মনে কোনো প্রকার ব্যথা  পেয়ে থাকলে তজ্জন্য আমি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি। সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন।

মহান আল্লাহ আমার প্রিয় স্বনামধন্য রেলওয়ের পাবলিক স্কুল পরিবারের সকল সদস্যকে শারিরীক সুস্থতাসহ সার্বিক কল্যাণ দান করুক এবং বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সফলতা চিরস্থায়ী রাখুক আর এর বর্তমান কাণ্ডারী মাননীয় প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সকল সদস্য-সদস্যা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মপ্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির খ্যাতি দেশময় তথা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক। আমিন। সবার প্রতি আবারও  সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমি আমার মনের আকুতির ইতি টানলাম।
আল্লাহ হাফেজ।।

Monday, July 8, 2024

শিবির বর্ধন

শিবির খুঁজো, শিবির ধরো শিবির মারো জোরে,
ঘরে গিয়ে দেখো তোমার ছেলে শিবির করে।




Monday, June 17, 2024

দাও মুমিন কুরবান

দাও মুমিন কুরবান
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ
দাও মুমিন কোরবান,
নিজের ভেতর জাগিয়ে দাও
ইব্রাহীমী প্রাণ।
শূন্যমনে পূর্ণ করো ঈসমাঈলী ধ্যান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

মনে জাগা পশুটাকে
জবাই করো আগে,
সুপ্রবৃত্তি মনে যেন
চাঙ্গা হয়ে জাগে।
কোরবানীতে মনটাকে আজ করো মহীয়ান-
জিলহজ্বে মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

কোরবানিটা ত্যাগের উৎসব
ভোগের উৎসব নয়,
মনের ভেতর রাখতে হবে
সৃষ্টিকর্তার ভয়।
সর্বপ্রীতির ওপর রেখো খোদাপ্রীতির স্থান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

ইব্রাহীমের ত্যাগের শিক্ষা
কুরবানিতে পাবে,
মানতে হবে সে মোতাবেক
খোদার আদেশ ভবে।
ত্যাগ করা চাই প্রয়োজনে ধন-মান, জন আর প্রাণ-
জিলহজ্বেমাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

খোদার নূরে মনটা রেখো
নিত্য আলোময়,
হিংসা-বিদ্বেষ আর লোভমুক্ত
রেখো নিজ হৃদয়।
সৃষ্টির সেবায় সাধ্যমত রেখো অবদান-
জিলহজ্বে মাসের  দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

ধৈর্য, সত্য, উদারতা 
রেখো মনের মাঝে,
পাপাচারের সুরটি যেনো
হৃদয়ে না বাজে।
এ প্রতিজ্ঞায় কবুল হোক আজ মোমিনদের কুরবান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কুরবান।।

Sunday, June 16, 2024

মহনবীর নবুয়ত প্রাপ্তি নিয়ে দুজন সুন্নি আলেমের মাঝে তর্ক প্রসঙ্গে

তারা দুজনই সুন্নি জামায়াতের আলেম এবং একই গ্রুপের লোক বলে প্রতিয়মান হয়। মহানবী (স.) এর নবুয়ত সম্পর্কে তাদের ব্যক্তিগত মতামত প্রতিষ্ঠিত  করার জন্যে তারা নাটকটি সাজিয়েছেন। এটি যে একটি সাজানো নাটক তা তাদের এ আলাপচারিতা দ্বারা  সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। তবে এ কথা ঠিক যে, বিজ্ঞ শায়খদের কাছে এসব সুন্নি আলেম এ বিষয়ে দলিল এবং যুক্তিতে যে  দাঁড়াতে পারবে না তা নিশ্চিত। তাদের লজ্জা থাকলে এক্ষনি এসব তর্কবিতর্ক বন্ধ করে তাদের নিজেদের মান সম্মান রক্ষা করা উচিত। তুচ্ছ বিষয়ে তাদের এহেন বাড়াবাড়ি পবিত্র ধর্ম ইসলামের ভাবমূর্তিকে বিজাতির কাছে খাটো করে তুলছে।

হযরত মুহম্মদ সা. মানব সৃষ্টিতে প্রথম থেকে আল্লাহ কর্তৃক সর্বশেষ নবী হিসেবে নির্ধারিত ছিলেন। তাই সকল নবীগণের পরে আল্লাহ উনাকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। দুনিয়াতে উনার চল্লিশ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে মহান আল্লাহ তাঁকে সর্বশেষ নবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নবুয়তের দায়িত্ব প্রদান করেন। এ সুন্নি আলেম যে হাদিসটি এখন বর্ণনা করছেন সে হাদিসের মর্মবাণী এটাই। আল্লাহ সকলকে বুঝার তৌফিক ও হিদায়ত দান করুন। আমীন। এ ছাড়া মহানবী (স.) এর নবুয়ত প্রাপ্তি  সম্পর্কে অন্য কোনো যুক্তি বা কোনো কথা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য ওসমর্থনযোগ্য হবে না।

Friday, June 14, 2024

ভন্ড সমাচার

ভন্ড সমাচার
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ভন্ডদের আজ কদর বেশি
              বাংলাদেশের ভেতরে,
ভক্তি তাদের করে বহু
              মানুষরূপী ইতরে।

নেইকো তাদের ধর্মীয় জ্ঞান
            দেখায় ধর্মে শ্রদ্ধা খুব, 
শয়তানেরই চেলা তারা
            বেশভূষায় নেয় অলীর রূপ।

খানকায় বসায় গাঁজার আসর
            মারে গাঁজায় নেশারটান,
মাতালামি আর আস্ফালনে
          চালায় জিকির, করে ধ্যান।

পীরে গাহে বাউল গীতি
          ভক্তরা কয় ইল্লাল্লাহ,
গান-জিকিরে কাঁপায় তারা
        খানকাসহ মহল্লা।

নাচ-গান- মদ আর জেনায় তাদের
             খানকা থাকে সরগরম,
বিজ্ঞজনে দেখলে তাদের
               বলে পাপী, বেশরম।

জাহান্নামের পথিক হবে
          চললে তাদের পথ ধরে,
শাস্ত্রবিদদের কথা এখন
            শোনে না সব বর্বরে। .

Wednesday, June 5, 2024

বাংলার গ্রীষ্মে

  বাংলার গ্রীষ্মে
     মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

গ্রীষ্মে রবি দীপ্তহাসি নভলোকে হাসে
যে হাসিতে অগ্নিদাহ বসুমতি নাশে।

দহনে তার  পথ ও প্রান্তর শুধু খাঁ খাঁ করে,
ঘর-দুয়ার আর মাঠ-ঘাট যেন অগ্নিতে  যায় ভরে।

পথিক এবং পশু পাখি পানির পিপাশায়,
ছটপট করে থাকে যেন বক্ষ ফেটে যায়।

ছোট নদী, ডোবা,খাল আর বাপী আছে যত, 
কেঁদে কেঁদে মাগে যেন পানি অবিরত।

সূর্যের প্রখর তাপে গাঁয়ে বাতাসের আশায়
বসে বসে লোকজন সময় কটায় গাছ তলায়।

খরার তাপে ভস্ম করে সোনালি ফসল,
নিঃস্ব হয়ে কৃষাণেরা ফেলে চোখের জল।

পাড়া-গাঁয়ে নেমে আসে মহামারী রোগ,
ঘটে এতে মৃত্যু এবং নানারূপ দুর্ভোগ।

 অনাবৃষ্টি দেখা দিলে পল্লিতে লোকজন, 
মহাপ্রভুর কাছে শুধু করে আবেদন।

মাঝে মাঝে কালবোশেখি বীরত্বের ভাব দেখায়,
প্রবল  উন্মাদনায় আরও প্রলয়ের নাচ চালায়। 

গাছপালা ফুল, ফসল, শস্য, কুটির আর সব বন
শিকারে হয় পরিণত করলে সে নাচন।

জরা-জীর্ণ যত কিছু থাকে এ ধরায়,
তাড়িত হয় সবগুলো তার নাচনের লীলায়।

তার প্রলয়ের নাচের শাড়ির রঙ কুচকুচে কালো,
দ্রুত ঢেকে ফেলে এটি দিনের উজ্জ্বল আলো।

আনন্দে সে বজ্রনাদে চালায় বিজলির খেলা,
মাঝে মধ্যে তাজা তাজা প্রাণ নিয়ে যায় মেলা।

বিদ্রোহী এক বীরের মত হয়ে আগুয়ান,
প্রবীনে সে দিয়ে থাকে নবীনেরই প্রাণ।

জাগে এতে নবীনেরা নব উদ্দীপনায়,
রঙতরঙ্গে যেন তারা সমগ্র দেশ ভাসায়।

নিশিকালে চলে গাঁয়ে গীতি সারী-জারী 
আঙ্গিনাতে গল্প নিয়ে বসে পল্লিনারী।

জ্যোৎস্নারাতে পল্লিগ্রামে নৈশভোজের পরে,
লোকজন বসে গল্প করে উন্মুক্ত প্রান্তরে।

সমগ্র দেশ উৎসব মূখর থাকে নাচ-গান-মেলায়,
দোকানিদের হালখাতা আর মাঠে বলিখেলায়।

পল্লিগাঁয়ে ওড়ে ঘুড়ি নীলাকাশের পানে,
নানা রঙের ঘুড়িতে ব্যোম সাজে সর্বখানে।

সোনালু, জুঁই, কৃষ্ণচূড়া,বেলি, গন্ধরাজ,
আরো বহু ফুলে থাকে গ্রীষ্মকালের সাজ।

গাছে গাছে সুমিষ্ট ফল ঝুলে থরে থরে,
বৃক্ষশাখা মুখর রাখে পাখিরা গান করে।

ভরা থাকে আম, জাম, লিচু আনারস কাঠাল,
 মধুফলে প্রাণটা শীতল করে গ্রীষ্মকাল।

রসনাতে সরসতা গ্রীষ্মে করে দান,
যদিও তার দহনে হয় ধরনীটা ম্লান।

                      ........

Tuesday, June 4, 2024

বাংলার গ্রীষ্মে (প্রকাশের জন্য)

বাংলার গ্রীষ্মে

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

গ্রীষ্মে রবি নভোলোকে দীপ্তহাসি হাসে
যে হাসিতে অগ্নিদাহ বসুমতি নাশে।

দহনে তার  পথ ও প্রান্তর শুধু খাঁ খাঁ করে,
 ঘর-দুয়ার আর মাঠ-ঘাট যেন অগ্নিতে  যায় ভরে।

পথিক এবং পশু পাখি পানির পিপাশায়,
ছটপট করতে থাকে যেন বক্ষ ফেটে যায়।

ছোট নদী, ডোবা,খাল আর বাপী আছে যত, 
কেঁদে কেঁদে মাগে যেন পানি অবিরত।

সূর্যের প্রখর তাপে গাঁয়ে বাতাসের আশায়
লোকজন বসে বসে সময় কাটায় গাছ তলায়।
         
খরার তাপে ভষ্ম করে সোনালি ফসল,
নিঃস্ব হয়ে কৃষাণেরা ফেলে চোখের জল।

পাড়া-গাঁয়ে নেমে আসে মহামারী রোগ,
ঘটে এতে মৃত্যু এবং নানারূপ দুর্ভোগ।

 অনাবৃষ্টি দেখা দিলে পল্লিতে লোকজন, 
মহাপ্রভুর কাছে শুধু করে আবেদন।

শুক্রবারে গাঁয়ের কিছু ভক্ত মুসলমান,
ফিরনি-পায়েস গরীবদের আর মিসকিনদের বিলান।

কোরান খতম, তাহলিল, মাহফিল চলে নানা স্থানে, 
যেন প্রভু সন্তুষ্ট হোন ধরায় বারি দানে।

মাঝে মাঝে কালবোশেখি বীরত্বের ভাব দেখায়,
প্রবল  উন্মাদনায় আরও প্রলয়ের নাচ চালায়। 

গাছপালা ফুল, ফসল, শস্য, কুটির আর সব বন
শিকারে হয় পরিণত করলে সে নাচন।

জরা-জীর্ণ যত কিছু থাকে এ ধরায়,
তাড়িত হয় সবগুলো তার নাচনের লীলায়।

তার প্রলয়ের নাচের শাড়ির রঙ কুচকুচে কালো,
দ্রুত ঢেকে ফেলে এটি দিনের উজ্জ্বল আলো।

আনন্দে সে বজ্রনাদে চালায় বিজলির খেলা,
মাঝে মধ্যে তাজা তাজা প্রাণ নিয়ে যায় মেলা।

বিদ্রোহী এক বীরের মত হয়ে আগুয়ান,
প্রবীনে সে দিয়ে থাকে নবীনেরই প্রাণ।

জাগে এতে নবীনেরা নব উদ্দীপনায়,
রঙতরঙ্গে যেন তারা সমগ্র দেশ ভাসায়।

নিশিকালে চলে গাঁয়ে গীতি সারী-জারী 
আঙ্গিনাতে গল্প নিয়ে বসে পল্লিনারী।

জ্যোৎস্নারাতে গাঁয়ের পুরুষ নৈশভোজের পরে
বসে বসে গল্প করে উন্মুক্ত প্রান্তরে।

সমগ্র দেশ উৎসব মূখর থাকে নাচ-গান-মেলায়,
দোকানিদের হালখাতা আর মাঠে বলিখেলায়।

পল্লিগাঁয়ে ওড়ে ঘুড়ি নীলাকাশের পানে,
নানা রঙের ঘুড়িতে ব্যোম সাজে সর্বখানে।

সোনালু, জুঁই, কৃষ্ণচূড়া,বেলি, গন্ধরাজ,
আরো বহু ফুলে থাকে গ্রীষ্মকালের সাজ।

গাছে গাছে সুমিষ্ট ফল ঝুলে থরে থরে,
বৃক্ষশাখা মুখর রাখে পাখিরা গান করে।

ভরা থাকে আম, জাম, লিচু আনারস কাঠাল,
 মধুফলে প্রাণটা শীতল করে গ্রীষ্মকাল।

রসনাতে সরসতা গ্রীষ্মে করে দান,
যদিও তার দহনে হয় ধরনীটা ম্লান।
                      ........

Wednesday, May 29, 2024

তালগাছ নামক গদি রক্ষা

মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী

চলে গুম আর খুনাখুনি
এখন নেতার নীতিতে,
উদ্দেশ্য এর একটা শুধু
টিকে থাকা গদিতে।

                 তাইতো কারো নেই সমতা
                 কথা কর্ম আর চিন্তায়
                 ঐক্য, সত্য, উদারতা
                  গেছে এখন সব গোল্লায়।

ধৈর্য-সহ্য, ন্যায়-নীতি সব
হয়ে গেছে আজ বর্জ্য,
চরিত্রেও দেখায় নেতা
বিশ্বসেরা নির্লজ্জ।

রেষারেষি চলে শুধু
আপন স্বার্থ রক্ষার্থে,
কিন্তু কারো নিবেদিত
মন থাকে না পরার্থে।

           অন্যায়ের আজ প্রতিবাদ কেউ
           করতে গেলে খায় গুলি,
           গুণীলোকজন এ কারণে
            নিত্য হয়ে যায় বলি।

হলেও হোক সর্বনাস আজ
দেশ ও জাতি পুরোটা,
থাকা চাই নিজ অধিকারে
তালগাছ নামক গদিটা।
                     ........

Monday, May 27, 2024

মাতৃভূমি

খুব সুন্দর হয়েছে। তবে কয়েক জায়গায় স্বরবৃত্ত ছন্দের মাত্রা ঠিক হয়নি বিধায় ছন্দপতন ঘটেছে।
তাই, তোমার লেখা কবিতাটি ঠিক করে দিলাম।
লেখা চালিয়ে যাও। ধন্যবাদ।

মাতৃভূমি বংলা আমার
     ষঢঋতুর দেশ,
মনমাতানো রূপটি যে তার
      ভাল লাগে বেশ।

নদীি-নালা, খাল-বিল সব এর
          ভরে থাকে মাছে,
গাছের শাখায় হরেক রকম
          পাখপাখালি নাচে।

হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খৃষ্টান
         থাকি পাশাপাশি,
আমরা সবাই একই জাতি
         বাংলা ভাষাভাষী,

চারদিকটা যার সবুজ-শ্যামল
         বন-বনানী ঘেরা,
সে যে আমার জন্মভূমি
          সকল দেশের সেরা।

ভণ্ড রাজার দেশে

ভণ্ড রাজার দেশটাতে সব
   ভণ্ড করে বাস, 
তাইতো সোনার দেশটা এখন
     পুরোই সর্বনাশ।

সততাতে স্বর্গ আসে
    ভণ্ডামিতে নরক, 
নিজকে চিনলে স্বর্গ-নরক
    করা যাবে ফরখ।

 তখন সবে বুঝতে পারবে
     কারা সৃষ্টির সেরা, 
খুনখারাবি, ব্যভিচার সব
     বন্ধ করবে তারা।

এতে দেশে এসে যাবে
     মহাসুখের বান,
হবে না আর ভণ্ডের রাজ্যে
     দুঃখের অবস্থান।

ভণ্ড রাজা নিজকে আড়াল
       করবে ভয়ে বনে,
নীতির রাজা বসবে তখন
      দেশের সিংহাসনে।




Sunday, May 19, 2024

মদন আলীর ডিজিটাল চিস্তা

মদন আলীর ডিজিটাল চিন্তা 
      মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মদন আলী শাড়ি পরে শপিং মলে যায় 
তাকে দেখে সকল ক্রেতার দারুণ হাসি পায়।
তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করে,
কি জন্যে সে শাড়ি পরে,
মদন বলে পরে শাড়ি ডিজিটাল চিন্তায়।

Tuesday, April 23, 2024

ভন্ড সমাচার

ভন্ড সমাচার
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ভন্ডদের আজ কদর বেশি
              বাংলাদেশের ভেতরে,
ভক্তি তাদের করে বহু
              মানুষরূপী ইতরে।

নেইকো তাদের ধর্মীয় জ্ঞান
                দেখায় ধর্মে শ্রদ্ধা খুব, 
শয়তানেরই মলে তারা
                পূত হতে মারে ডুব। 

গাঁজার আসর বসায় তারা
            মারে গাঁজায় নেশারটান,
মাতালামি আর আস্ফালনে
          চালায় জিকির, করে ধ্যান।

পীরে গাহে বাউল গীতি
          ভক্তরা কয় ইল্লাল্লাহ,
গান-জিকিরের ধ্বনি কাঁপায়
        খানকাসহ মহল্লা।
         
নাচ-গান- মদ আর জেনায় তাদের
              খানকা থাকে সরগরম,
বিজ্ঞজনে দেখলে এদের
                বলে পাপী, বেশরম।

জাহান্নামের পথিক হবে
          চললে এদের পথ ধরে,
শাস্ত্রবিদদের কথা এখন
             শোনে না সব বর্বরে। 

তারিখ. ০৫- ০২- ২০২৪ খ্রি.

             ........

Sunday, April 14, 2024

আলেমের কারণে


 সাবধান বাণী 
     মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

অধিকাংশ আলেম এখন
     দেখা যায় পথভ্রষ্ট,
যাদের দ্বারা হচ্ছে ধর্মের
    ঐতিহ্য বিনষ্ট।

তাদের থাকে টাকার লিপ্সা
         এলেমের স্বল্পতা,
কথা, কর্ম আর চিন্তায় নেই
       মোটেও সততা।

বেশভূষাতে সাজে অলি
    আর করে ভণ্ডামি,
 স্বার্থ রক্ষায় পর ঠকাতে
    করে সব নোংরামি।

ঐক্য, সংযম, উদারতা
    সামাজিক সম্প্রীতি,
দেখা যায় না তাদের মাঝে
     এসব রীতি-নীতি। 

একে অন্যের বিরোধিতায়
       বনে রণবীর, 
লোকালয়ে খানকা খোলে
       সাজে ভন্ড পীর।

মন্দ ছাড়া ভালো কথা
     কয় না এরা মুখে
অন্যের সুখের খবর শুনলে
    থাকে মহা দুঃখে।

তাদের ওয়াজের বিষয়বস্তু
    থাকে গান আর গালি,
কারণ তাদের কোরান-সুন্নার 
     এলেম থাকে খালি।

আমল-আখলাস বিচারে হয়
       এরাই অধার্মিক,
ইসলামের নয় সেবক তারা
      দাও তদেরকে ধিক।

সত্য-মিথ্যা পরখ করতে
   হাদিস-কোরআন পড়ো,
সে মোতাবেক আমল করে
    পুণ্য জীবন গড়ো।

কোরান সুন্নায় বিজ্ঞ পীরের
     করলে অনুস্মরণ,
ইহকাল আর পরকালে
     সার্থক হবে জীবন।

ভণ্ড আলেম মেনে চললে
      হারাবে ঈমান,
জাহান্নামে জ্বলতে হবে
     সাবধান মুসলমান। 

Most of the Alims are now
      Observed astryed
And by whom the religious
      Tradition is fully destroyed.

They greed for money and lack
       The religious knowledge,
And they're not honest in words 
     Action and thoughts always. 

They look guides in Their getup 
          But hypocrites really,
And for self-seeking, they cheat
        With men shamelessly,

Unity, modesty, generosity 
         And social amity,
Remsinn out of their character
         All thes activities. 


     




       
       
       












,      
      
      
       
    
        
       


 




 





 

Tuesday, April 9, 2024

বাজে আলেম সম্পর্কে

প্রিয় নীচমতি মাঠকাঁপানো কতিপয় ঠনঠনে আলেম যারা খালি কলসির মত বাজেন বেশি, তাদের প্রতি হেদায়েতর উদ্দেশ্যে রইলো আমার দোয়া ও সালাম আর ঘৃণামাখা প্রীতি ও শুভেচ্ছা। 

আমি একজন অজ্ঞ লোক। আমার মত লোকদেরকে আপনারা নালায়েক বা আওয়ামের দল বলে থাকেন। তাই ভয়ে ভয়ে আপনাদের বিরুদ্ধে আজ আমি কলম ধরতে যাচ্ছি। হয়তো আমার কলমের খোঁচায় আর এর কালির ছিটকায়  আপনাদের ধবধবে সাদা অথবা নানা রঙের আলখেল্লা আপনারা যারা যে রঙের পরে থাকেন তা হয়তো নষ্ট বা বিশ্রী হয়ে যেতে পারে। তবে অসুবিধে নেই,  আমার মত গণ্ডমূর্খ একজন লেখকের কলমের কালিতে আপনাদের পবিত্র আলখেল্লা মোবারক নষ্ট হলেও তা অতি অল্প দামী সাবান দ্বারা ধৌত করলে নিমিষে পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

যাহোক,আপনাদের ব্যাপারে আমার প্রথম বক্তব্য হলো, আর্পনারা আলেম হয়ে একজন আরেক জনের বিরুদ্ধে খেঁকিকুকুরের মত কামড়াকামড়ি করেন কেন? । আপনাদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক আলেম রয়েছেন যারা খুবই দক্ষ এবং হাক্কানী। এদের মধ্যে কোনো কামড়াকামড়ি বা দলাদলি নেই; এরা হক কথা বলেন, মানুষকে সঠিক পথের দিশা দেন। এদের থাকে না দুনিয়ার লোভ -লালসা, এরা নিজেরা চলেন কোরআন ও সুন্নাহর বিধান মেনে এবং অন্যদেরকেও অনুরূপভাবে চলার জন্যে উদ্ভুদ করে থাকেন। এদের আদেশ-নিষেধ, এবং পরামর্শ মানুষ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন।  তাই এদের প্রতি থাকে মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা যা আপনারা অর্জন করতে পরেন নি।তাদের প্রতি জনতার এ অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখে আপনারা তেলে বেগুনের জ্বলে ওঠেন ; তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন, শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা জিহাদে ফি ছাবিলিশ শয়তানও ঘোষণা করে থাকেন।

তাঁরা সংখ্যায় অতি নগন্য। তাঁদের শক্তিসামর্থ, ধনজন ও গাড়িবাড়ি আপনাদের মতো নেই। তাদের লোভ লালসা নেই। উপরি পাওয়ার আশাও তাঁরা পোষণ করেন না।

 বর্তমানে আপনাদেরকে মানুষ বয়কট করে চলছে। আপনাদের এ অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে জনগণ আপনাদেরকে দেখলে মুগুর নিয়ে নেড়িকুত্তাকে যেভাবে তাড়ায় সেভাবে তাড়াবে। আর আপনাদের মতো নোংরা আলেমদের কারণে প্রকৃত আলগণও অপমানিত হবে এবং বর্তমানে হচ্ছেও। আপনাদের মধ্যে অনেকে অন্যদের দ্বারা আয়োজিত মাহফিলে বক্তা  হিসেবে  ওয়াজ করতে গিয়ে তাদের থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেন। আর মাহফিলে গিয়ে জনগণকে হেদায়েতর জন্যে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বক্তব্য না দিয়ে দক্ষ ও পরহেজগার  আলেমদেরকে
বিনা কারণে আপনাদের প্রতিপক্ষ মনে করে তাদের সমালোচনা করেন; তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন; তাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন ; তাদেরকে অপমান করার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠেন। 

এ শুধু শয়তান নয়, শয়তানের নাতিন জামাইও বটে। তাই সে ওয়াজ করার সময় জিকিরের নামে ব্যাঙের মতো লাফালাফি করে ইসলামের অলি আউলিয়াদেরক বাবা সম্বোধন করে তাদের নামে জিকির করে তাকে ও তার মাহফিলে উপস্থিত জনতাকে ইমান হারা করে। যেমন, জিকিরে সে বলে, "খাজা বাবা" আর মাহফিলে উপস্থিত লোকেরা বলে, ' আল্লাহ। মেরালি বাবা, "আল্লাহ"।গোলাপ শাহ বাবা, " আল্লাহ"। ইত্যাদি, ইত্যাদি। এ জিকির দ্বারা ইসলামের এসব আউলিয়াগণকে সে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে 'আল্লাহ' হিসেবে দাঁড় করাতে চায়। এছাড়াও সে বাউলগীতি, পল্লিগীতি, লোকগীতি ও  প্রেমের গীতির চর্চা করে মাহফিলের পবিত্রতা নষ্ট করে। তার মুখে ঝাড়ু, জুতা ও থুথু নিক্ষেপ করা দরকার।

Monday, April 8, 2024

পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা- ২৮

পবিত্র রমজানের সৌহন্যে প্রার্থনা-২৮
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

হে ক্ষমাশীল, হে দয়াবান,
বিশ্বপ্রভু রাব্বানা,
দুহাত তুলে তোমার নিকট
করছি আজ এ যাচনা,
"দাও আমাকে দৃঢ় ঈমান আর দাও দৃঢ় চেতনা।"
                       কবুল করো প্রার্থনা।।

ঈমান ছাড়া পুণ্যবান লোক
হয় না কভু ভুলোকে,
মরলে হবে এমন লোকের
কঠিন শাস্তি দ্যুলোকে।
এ অবস্থা আমায় তুমি দিয়ো না হে মাওলানা।
                       কবুল করো প্রার্থনা।।

সারা বিশ্বের সব জাতিতে
মেলবন্ধনের দাও বন্যা,
অশান্ত এ বিশ্বে করো
স্থায়ী শান্তির সূচনা।
সিয়াম ব্রতের অসিলায় এ চাওয়ায়  বিমুখ হয়ো না।
                    কবুল করো প্রার্থনা

             .....

Sunday, April 7, 2024

প্রার্থনা

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুব

হে প্রভু, বিশ্বস্রষ্টা, আমি তোমার দাশ
তোমার দরবারে করি প্রার্থনা,
চাই ক্ষমা আর করি তব
অনুগ্রহ কামনা।
             কবুল করো প্রার্থনা।

হে মহান, হে দয়াবান,
তুমিই সর্বদাতা, তোমার দানের নেই
তুলনা। আজীবন আমাকে রেখো আনন্দে ভরপুর করে বর্ষিয়ে তব করুণা।
                কবুল করো প্রার্থনা।

হে সর্বক্ষমতাবান, মম জীবনের 
সবঋতুকে বৃথা যেতে দিও না,
শক্তি দাও এগুলোতে ভালো বীজ বপিতে যেনো মোর যবুথবু শীত ঋতুতে আসে ফসলের বন্যা।
               কবুল করো প্রার্থনা।



Sunday, March 31, 2024

পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা -২০

পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-২০                       
   মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ইয়া আল্লাহু, ইয়া সাত্তারু,
ইয়া আলিমু, ইয়া গাফ্ফার,
পাক রমজানের অসিলাতে
মাফ করে দাও পাপ আমার।।

আমার মনে জাগিয়ে দাও
ন্যায়-নীতি আর প্রীতিবোধ,
শক্তি সাহস দাও গো আরো
অন্যায় করতে প্রতিরোধ।
তুমি ভিন্ন কাউকে যেনো ভয় না করি আমি আর,
পাক রমজানের অসিলাতে মাফ করে দাও পাপ আমার।।

করো আমার মন আলোময়
কোরান সুন্নার আলোতে,
বিশ্বে জাগাও শান্তির বন্যা
সমাজ, রাষ্ট্রগুলোতে।
ধরায় যেনো মানবতার থাকে শুধু জয় জয়কার,
পাক রমজানের অসিলাতে মাফ করে দাও পাপ আমার।

মানবতার কান্না থামাও
করছি আজ এ প্রার্থনা,
সৃষ্টির সেরা জীবের কান্নায়
ধরা সফল হচ্ছে না।
একারণে তপ্ত মরুর রূপ হয়েছে এ ধরার,
পাক রমজানের অসিলাতে মাপ করে দাও পাপ আমার।।
                  ..........

Saturday, March 30, 2024

কদর রাতের সৌজন্যে

(কদর রাতের সৌজন্যে)

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

কদর রাতে করছি খোদা
তোমার নিকট প্রার্থনা,
দূর করে দাও ধরা থেকে
মুসলমানদের যন্ত্রণা-
                   কবুল করো প্রার্থনা।।

মুসলিম নিধন বিশ্বের অনেক
দেশে চলছে, থামছেনা,
যারা চালায় নিধন কর্ম
দাও তাদেরকে গঞ্জনা।
              কবুল করো প্রার্থনা।।

জীবিতরা ভোগছে শুধু
স্বজন হারার বেদনা,
জাগাও তাদের মনে খোদা
বিয়োগ ব্যাথার শান্তনা-
                        কবুল করো প্রার্থনা।।

শীঘ্রই তাদের রক্ষা কর
ধ্বংসের মুখে রেখো না,
মুক্তি পেতে দাও তাদেরকে
শক্তি, সাহস, চেতনা-
                      কবুল করো প্রার্থনা।।

তাদেরকে দাও ঈমানী বল
একতার দাও প্রেরণা,
জ্ঞান-বিজ্ঞানে খোল তাদের
সুখ-সমৃদ্ধির মোহনা-
                        কবুল করো প্রার্থনা।।

মৃত মুসলিম নর-নারীর 
আত্মায় আযাব দিয়ো না,
করছি আমরা তাদের জন্যে
তোমার কৃপা কামনা।
                         কবুল করো প্রার্থনা।।

পিতা-মাতার জন্যে প্রভু
জান্নাত করছি যাচনা,
পরকালে তারা যেনো
পায় না আদৌ লাঞ্চনা-
                          কবুল করো প্রার্থনা।।

সত্য পথের পথিক করে
রেখো মোমিন-মো'মেনা,
কদর রাতের বরকত থেকে
কাউকে নিরাশ করো না-
                              কবুল করো প্রার্থনা।

দোয়া আমার কবুল করো;
গুনা করো মার্জনা,
কদরে চাই দিদার তোমার
এর বেশি আর চাইবো না-
                            কবুল করো প্রার্থনা।।

চরিত্রবান হওয়ার তরে
বাড়াও মনে এষণা
প্রিয়ভূমি রক্ষার্থেও
দাও সাহসী প্রেষণা-
                          কবুল করো প্রার্থনা।।

বিশ্বে সকল জাতির উপর
ঝরাও প্রীতির ঝরনা,
না হয় যাতে তাদের মাঝে
বাড়াবাড়ির সূচনা-
                       কবুল করো প্রার্থনা।।

হে দয়াবান, তোমার দয়ার
হয় না কোন তুলনা,
বিশ্ববাসী সুখে রেখো
বর্ষণ করো করুণা-
                            কবুল করে প্রার্থনা।।
                      ........

Wednesday, March 27, 2024

পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-২

রমজানের সৌজন্যে -২
      ভক্তিগীতি
              মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

হে মাহে রমজান!
তোমার মাঝে জাগে ধরায়
খোদাপ্রীতির বান,
পুণ্যকর্মে মুসলিম থাকে
নিবেদিত প্রাণ।
বিশ্বপ্রভুর দয়ার থাকে অফুরন্ত দান-
                         হে মাহে রমজান!

তন্দ্রা যেনো দূর হয়ে যায়
তোমার আগমনে,
খোদার দিদার পেতে মুসলিম
থাকে জাগরণে।
নিঝুম রাতে জেগে মু'মিন পাঠ করে কুরআন-
                         হে মাহে রমজান!

 কদর তোমার অনেক বেশি
হে কোরআনের মাস ,
তোমার মাঝে অধিক ক্ষমা
পায় আল্লাহর দাস।
তাইতো থাকে প্রার্থনাতে মগ্ন মুসলমান,
                        হে মাহে রমজান!

রোজ হাশরে আল্লাহ যখন
হবেন বিচারক,
তখন তুমি সব মুমিনের
থেকো সহায়ক।
সাক্ষ্য দিও রোজাদারের দিতে পরিত্রাণ,
                        হে মাহে রমজান।।

                      .......

Sunday, March 24, 2024

রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-১৩

    মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী 

ওহে প্রভু!
ধরায় আমরা তোমার ওপর
এনেছি ঈমান,
নামাজ পড়ি, রোজা রাখি
করি তোমার ধ্যান।
আরো করি তোমার ওপর সর্বদা নির্ভর-
ওহে প্রভু, রহম কর আমাদের ওপর।।

আমরা করি হজ্ব পালন আর
জাকাত করি দান,
আজান দিয়ে নামটি তোমার
রাখি মহীয়ান।
জপি তোমার পবিত্র নাম আমরা নিরন্তর-
ওহে প্রভু, রহম কর আমাদের ওপর।।

আমরা পড়ি তোমার কালাম
পবিত্র কোরআন,
মর্ত্যে আমরা নিত্য করি
তোমার গুণ ও গান।
তোমার জন্যে হিজরত  করি, আপন করি পর -
ওহে প্রভু, রহম কর আমাদের ওপর।।

পূর্বে কিন্তু আমরা ছিলাম
বিশ্বসেরা বীর,
ন্যায়-নীতি আর ঐক্যে আমরা
রাখতাম উঁচু শির।
ঐতিহ্যহীন আজ আমরা তাই, শত্রু দেখায় ডর-
ওহে প্রভু, রহম কর আমাদের ওপর।।

দাও আমাদের ঈমানি বল
দাও প্রযুক্তির জ্ঞান,
ঐক্যশক্তি দিয়ে কর
বিশ্বে বলীয়ান।
শান্তির বিশ্ব গড়ার শক্তি দাও হে শক্তিধর!
ওহে প্রভু, রহম কর আমাদের ওপর।

                     .......

Saturday, March 23, 2024

রমজানের প্রার্থনা-১১

রমজানের প্রার্থনা -১১
        মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

হে আল্লাহ করুণাময়, সর্বশক্তিমান
তোমার জন্যে করছি পালন সিয়ামে রমজান।।

রোজা, নামাজ, জিকির খোদা
কবুল করো সব,
মাফ করে দাও আমাদের পাপ
এ মাসে হে রব!
দৃঢ় করে দাও গো আরো আমাদের ঈমান--
তোমার জন্যে করছি পালন সিয়ামে রমজান।

তোমার প্রেমে আমরা যেনো
থাকি নিরন্তর,
তোমার ভয়ে কাঁপে যেনো
আমাদের অন্তর।
মনের পশু দমনেরও শক্তি করো দান-
তোমার জন্য করছি পালন সিয়ামে রমজান।।

এ পবিত্র মাসে তুমি
রাখলে কদর রাত,
যে রাত্রিতে কোরআন নাজিল
করলে হে পাক জাত!
করো প্রভু ওই নিশিতে মোদের ভাগ্যবান -
তোমার জন্যে করছি পালন সিয়ামে রমজান।।

জ্ঞান-বিজ্ঞানে রেখো উঁচু
মুসলমানদের শির,
শান্তির বিশ্ব গড়তে তাদের
করো কর্মবীর।
জাগিয়ে দাও তাদের ভেতর ঐক্যশক্তির বান-
তোমার জন্যে করছি পালন সিয়ামে রমজান।।
              ......

Wednesday, March 20, 2024

রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা -৯

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী।

তুমি প্রভু ক্ষমাশীল ও
তুমি দয়াবান,
তোমার দয়ায় পেয়ে থাকে
সবাই পরিত্রাণ।

আমরা তোমার পাপী বান্দা
তুমি মোদের রব,
তোমার নির্দেশ মতে মোদের
জীবন- মরণ সব।
মৃত্যুর পরে মুক্তি মোদের দিও রহমান-
তুমি প্রভু ক্ষমাশীল ও তুমি দয়াবান।।

শয়তানেরই প্ররোচনায়
করেছি ঢের পাপ,
দয়াল মাবুদ, মোদের সেসব
পাপ করে দাও মাফ।
ওসব পাপের ভয়ে মোদের নিত্য কাঁপে প্রাণ-
তুমি প্রভু ক্ষমাশীল ও তুমি দয়াবান।

যদিও হয় পাহাড় সমান
ধরায় মোদের পাপ,
তাওবা করলে তোমার কাছে
পাবো মোরা মাফ।
তাইতো তাওবা করছি কবুল করো হে সুবহান-
তুমি প্রভু ক্ষমাশীল ও তুমি দয়াবান।।

Monday, March 18, 2024

রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-৭

রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা- ৭
            মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

তুমি বিশ্বের পালনকর্তা
দাতা, দয়াবান
তোমার দানে সচল থাকে
বিশ্বে সকল প্রাণ।
ধরায় নিঃশেষ হয় না তোমার অফুরন্ত দান-
তুমি বিশ্বের পালনকর্তা, দাতা, দয়াবান।।

নানা নামে লোকজন তোমায়
ডাকে এজাহানে,
সে সব নামের অর্থ "স্রষ্টা"
লেখে অভিধানে।
তোমার সেরা নামটি "আল্লাহ্" বলে পাক কোরআন-
তুমি বিশ্বের পালনকর্তা দাতা, দয়াবান।।

তোমার বাণি আল কোরআন যা
নাযিল হয় রমজানে,
তা যে পূর্ণ জীবন-বিধান 
মানলে শান্তি আনে৷  
সবাইকে দাও পাক কালামকে বুঝার মতো জ্ঞান-
তুমি বিশ্বের পালনকর্তা দাতা, দয়াবান।।

রোজা রাখার অসিলাতে
মাফ করে দাও মোরে, 
আজকে আমার এটি চাওয়া 
তোমার পাক দরবারে।
হাশরেও হই না যেন আমি অপমান-
তুমি বিশ্বের পালনকর্তা, দাতা, দয়াবান।।

........

Sunday, March 17, 2024

পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-৬

(পবিত্র রমজানের সৌজন্যে প্রার্থনা-৬)
                মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

প্রভু তুমি সৃষ্টিকর্তা
তুমি মালিক ও মহান,
দুজাহানে তোমার মতো
নেই দাতা ও দয়াবান।
প্রভু তুমি সৃষ্টিকর্তা, তুমি মালিক ও মহান।।

নিত্য মুক্ত রেখো প্রভু
মোদের অন্তর পাপ থেকে,
বিপথগামী হতে গেলে
সঠিক পথে নাও ডেকে।
পবিত্রও রেখো মোদের হাত, পা, চক্ষু, মুখ ও কান,
প্রভু তুমি সৃষ্টিকর্তা, তুমি মালিক ও মহান।।

কুপ্রবৃত্তি থেকে সবার
মনকে রেখো নিরাপদ,
সঠিক মোমিন হতে মোরা
তোমার কাছে চাই মদদ।
মিথ্যা থেকে বহু দূরে রেখো মেদের অবস্থান--
প্রভু তুমি সৃষ্টিকর্তা, তুমি মালিক ও মহান।।

রোজা রেখে তোমার কাছে
দুহাত তুলে হে পরওয়ার, 
চাই যে শুধু উভয় কালে
তোমার ক্ষমা ও দিদার।
রোজ হাশরে তুমি মোদের দিও রোজার প্রতিদান।
প্রভু তুমি সৃষ্টিকর্তা,  তুমি মালিক ও মহান।।
               ........
তারিখ. ১৩ - ০৩- ২০১৯ খ্রি.

Monday, March 11, 2024

বড় হওয়ার গল্প

স্কুল পালাতো রবীন্দ্রনাথ। নজরুল তো বেশি পড়তেই পারলেন নাই। লালন বুঝলোই না স্কুল কি জিনিস। অথচ আজ মানুষ তাঁদেরকে নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করছে।
অ্যান্ড্রু কার্নেগীকে তো ময়লা পোশাকের জন্য পার্কেই ঢুকতে দেয় নি। ৩০ বছর পরে উনি সেই পার্কটি কিনে ফেলেন আর সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেন “সবার জন্য উন্মুক্ত”।
স্টিভ জবস শুধু মাত্র ১ দিন ভাল খাবারের আশায় ৭ মাইল দূরে পায়ে হেটে মন্দিরে যেতেন।
ভারতের সংবিধান প্রণেতা আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হিন্দু ছিলেন বলে স্কুলের বারান্দায় বসে বসে ক্লাস করতেন। তাঁকে ক্লাসের বেঞ্চে বসতে দেয়া হতো না, কোন গাড়ি তাঁকে নিতো না। মাইলের পর মাইল হেঁটে পরীক্ষা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এর ক্যাডেট কলেজে ভর্তির টাকা হাটুরেদের নিকট থেকে টাকা তুলে যোগাড় করেছিলেন তার চাচারা। গরু না থাকায় তিনি নিজে জমিতে লাঙ্গল টেনেছেন একসময়।
সুন্দর চেহারার কথা ভাবছেন? শেখ সাদী এর চেহারা যথেষ্ট কদাকার ছিল, লতা মঙ্গেস্কারের চেহারা মোটেই সুশ্রী নয়। তৈমুর লং খোঁড়া ছিলেন, নেপোলিয়ন বেটে ছিলেন। শচীন টেল্ডুলকারের উচ্চতা তো জানাই আছে। আব্রাহাম লিঙ্কনের মুখ ও হাত যথেষ্ট বড় ছিল।
স্মৃতি শক্তির কথা ভাবছেন? আইনস্টাইন নিজের বাড়ীর ঠিকানা ও ফোন নাম্বার মনে রাখতে পারতেন না।
কিছুই আপনার উন্নতির পিছনে বাধা হতে পারে না। যদি কোন কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ায় তবে তা আপনার ভিতরের ভয়। ভয়কে দূরে রেখে জয় করা শিখুন। সাফল্য আসবেই আজ অথবা কাল...!

মোবারক হো মাহে রমজান-১

মোবারক হো মাহে রমজান

       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
             
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের,
প্রভুর প্রেমে নব আত্মা জাগবে সকল মোমিনের।
পানাহারে চলবে না দিন, তন্দ্রাতে রাত কাটবে না
 সজল নেত্রে যাচবে ক্ষমা সকল মোমিন মোমেনা।
ধরার চাওয়া পাওয়ার মন আজ থাকবে না সব মোমিনের-
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

রমজানব্যাপী চলবে তাদের আত্মসংযম প্রশিক্ষণ,
দানধর্ম আর বন্দেগীতে থাকবে তারা সারাক্ষণ।
লক্ষ্য শুধু থাকবে তাদের খোদা প্রীতি  অর্জনের- 
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

দুনিয়াতে যতো আছে ভোগবিলাসের মোহের টান
খোদার দিদার পেতে তারা করবে সবই প্রত্যাখ্যান।
এমন দৃঢ় হতে তারা শিক্ষা নিচ্ছে এ মাসের-
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

আযাযিল আজ গুমরে গুমরে কাঁদছে শুধু এ ধরায়,
এখন তাকে শেকল বেঁধে রাখা হবে জেল খানায়।
কুমন্ত্রনার শক্তিটা আর থাকবে না এ খবিশের-
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।

পুণ্যকর্মে সব মোমিনের কাটবে সময়  এ মাসে,
স্বর্গীয় সুখ তাদের মাঝে বইতে থাকবে উচ্ছ্বাসে।
এতে তাদের মেলবে প্রমাণ সৃষ্টির সেরা মাখলুকের-
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।

সংযত মুখ রাখবে তারা বলবে না কেউ মন্দ বাত,
দিবা-নিশি চলবে তাদের তসবী, জিকির, তিলাওয়াত,
মরলে এদের পরকালটা হবে মহা আনন্দের
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

খুলবে রোজা জান্নাতের দ্বার রুদ্ধ করবে জাহান্নাম,
পরকালে জান্নাত সায়েম পাবে বলছে পাক কালাম।
রোজাদার তাই ভাগ্যবান লোক ইহ-পর দুকালের--
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

তাইতো বলছে হৃদয় ভরে ধরায় সকল মুসলমান,
মোবারক হো, মোবারক হো, মহিমাময় হে রমজান!
তোমার জন্যে পাবে সায়েম রাইয়্যান দ্বারটি জান্নাতের।
বছর ঘোরে আত্মশুদ্ধির মাস এলো ফের রমজানের।।

        ৷    .....

Sunday, March 10, 2024

বাংলার শরতে-২

    মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী 

নীলাকাশে শুভ্র শুভ্র মেঘ সেজে ভেলা,
সূরুজের সাথে করে লুকোচুরি খেলা।

থেমে যায় আকাশের অঝোর কাঁদন,
কৃষাণের ক্ষেতে নামে ফসলি প্লাবন।

ঝিলিমিলি রোধ দিনে রাতে জ্যোৎস্নায়,
প্রশান্তি আনে সবার মনমোহনায়।

দিগন্ত প্রসারি মাঠে বাতাসের সঙ্গে,
নাচে কচি ধান চারা হরষে তরঙ্গেছ।

চারদিকে ফুরফুরে মিষ্টি হাওয়ায়,
তৃণে আর পল্লবে নাচন চালায়।

সমীরণে নেই ধুলো আর অগ্নিতাপ হৃদয়েও থাকে না কারো বেদনার চাপ

হালকা কুয়াশাবৃত থাকে ভোরবেলা,
ঘাসের ডগায় থাকে শিশিরের মেলা।

রবির আলোয় প্রাতে শিশিরের বিন্দু
ঘাসঢাকা মাঠ করে মুক্তাবৎ সিন্ধু।

বিলেঝিলে প্রস্ফুটিত  রূপ শাপলার 
ম্লান করে অপরূপ ব্যোমের তারার।

জলেভাসা দাম থেকে বেগুনি সজ্জায়
মাথা তুলে কলমির কুঁড়িটা দাঁড়ায়,

জুঁই, কেয়া, হাস্নাহেনা, শিউলি, মালতি,
বনরাজি করে রাখে সুশোভিত অতি।

মাধবি বকুল ফুল ফোটে বনে বনে,
কামিনির ঘ্রাণে মন ভরে নিশিক্ষণে।
,
ধবধবে শ্বেতপরী ফুটন্ত কাশফুল, 
নাচিয়ে মাতিয়ে  রাখে খাল নদীকুল।

বাতাসের সাথে এরা প্রাণ খোলে নাচে
পরীনাচ হার মানে এ নাচের কাছে।

কুড়িয়ে শিউলিফুল প্রাতে পল্লিবালা,
গলা ও খোঁপায় পরে গেঁথে এর মালা।

আমড়া, পেয়ারা, তাল,বেল, কামরাঙ্গা
আরো নানা ফুলে ফলে বঙ্গ থাকে চাঙ্গা।

ভরা নদী দিয়ে তরি ঢেউ তোলে চলে,
ডিঙ্গি নৌকা থেকে জেলে জাল ফেলে জলে।

 চকাচকি, গাঙচিল আর বালিহাস,
কানন থাকে পাখির গানে মুখরিত,
শান্ত নিসর্গে সবার মনে করে প্রীত।

সৌম্য শরতে রূপের থাকে ঝলকানি,
তাই তাকে বাংলায় বলি ঋতুরাণী।












Tuesday, February 27, 2024

এয়াকুব নগর, আমার গ্রাম

এয়াকুব নগর, আমার গ্রাম
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ধরার মাঝে গ্রামটি আমার
     খোদার সেরা দান,
শ্যামল রূপের বাহারটি এর
     দেখলে জুড়ায় প্রাণ।

প্রকৃতি দেয় নিত্য একে
        অমূল্য রতন,
তাই এখানে হয় না লোকের
       অভাব-অনটন।

আমার গ্রামের কৃষিভূমি
   বন, বাগান আর জল,
সবার জন্যে আহার যোগায়,
    মনে জাগায় বল।

এর মাটিতে কৃষাণেরা ফলিয়ে
      সোনার ফসল,
গ্রামবাসীদের মাঝে নামায়
         সচ্ছলতার ঢল।

নানা জাতের শাক-সব্জি আর
     নানা স্বাদের ফল,
সব ঋতুতে পায় আমদের
      গ্রামের লোক সকল।

এখানে লোক বন্ধুসুলভ 
       কর্মঠ আর ত্যাগী,
সুখ ও দুঃখের মাঝে সবার
        চলে ভাগাভাগি।

রূপবৈচিত্রের পাখপাখালি
   আমার গ্রামে আছে,
সুখে জীবন কাটায় এরা
    ফুল-ফলাদির গাছে।

নানা পাখি নানা সুরে
    মধুর গান শুনায়,
এদের গানে ঊষা জাগে
    দিবস বিদায় পায়।।

রাতে ঝোপঝাড় জোনাকিরা
      সাজায় তারার আকাশ,
কী অপরূপ দৃশ্য যে তা
       দেখলে মন হয় উদাস।

বুক চিরে এর চলে গেছে
   দেশের রেল সড়ক,
মধুর ধ্বনি শুনায় রেলে
    ঝক্-ঝকা-ঝক্ ঝক্।

নিশিতে এ গ্রামে হাঁকে 
      শেয়াল শত শত,
ভাবটা যেনো দেখায় তারা
      রাত প্রহরীর মত।

ধর্ম-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষায়
        আলোকিত এ গ্রাম,
তাইতো এতো উন্নত আর
        গর্বিত এর নাম।

পূবপাশে এর আছে পাহাড়
   পশ্চিমে ট্রাংক সড়ক,
মাঝে গাছের মেলায় নিবাস
     দেখায় দারুণ চমক।

এর বাগানের বৃক্ষে ফোটে
     রঙ-বেরঙের ফুল,
এদের রূপের আকর্ষণে
      মন করে ব্যাকুল।

দিনের বেলায় আকাশরাজ আর
     নিশিতে তার রাণী,
অতি উজ্জ্বল রাখে আমার
      এ প্রিয় গ্রামখানি।

রূপমাখা এ গ্রামটি খ্যাত
   এয়াকুব নগর নামে,
তাইতো বলতে মন ভরে যায়
     জন্মেছি এ গ্রামে।

                 .....

Friday, February 23, 2024

বাংলার অবস্থান

বাংলার অবস্থান


মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বাংলাটা থাকছে না
               বাংলার স্থানে,
কি যে হবে পরিণতি
                সৃষ্টিকর্তা জানে।

ইংরেজি শব্দ কিছু
              বাক্যে দিয়ে স্থান ,
কেউ যদি বলে কথা
              বাড়ে যেন মান।

আধুনিক নর-নারী
              বঙ্গে সবখানে ,
এ ভাবে কথা বলে
              কৌলীন্যের জ্ঞানে।

কাকের কন্ঠে কোকিল
                গায় যদি গান ,
মোহিত হবে না তার
               গানে কারো প্রাণ।

প্রতিদিন থাকলে সে
               বিভোর এ ধ্যানে,
ধরায় থাকবে তার
                জাত অপমানে।

কাক এতে হয়ে যাবে
                গর্বে মহীয়ান,
 অথচ বিহগে থাকে
                নিচে তার স্থান।

প্রমিত বাংলা তাই
               বল সাবধানে ,
বাংলিশ একে যেন
              পতনে না টানে ।
                ........

Thursday, February 15, 2024

ঋতুরাজের আগমনে

ঋতুরাজের আগমনে

      মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

রংবেরঙের ফুটছে ফুল আজ বাগানে,
বসন্তের গান গাচ্ছে কোকিল সবখানে।
ফুলের শোভায় বাগান দেখায় মনোরম
অলিদের তাই হচ্ছে দারুণ সমাগম।
প্রকৃতিও আছে রূপের সাজ পরে,
দেখলে জাগে খুশিতে ঢেউ অন্তরে।
মলয় থেকে বইছে বাতাস সুমধুর,
মন থেকে যা বিষন্নতা করছে দূর।
হিমেল হাওয়া লেজ গুটিয়ে আজ পালায়,
বঙ্গ এতে প্রাণচাপল্য ফিরে পায়।

                       .......

Sunday, February 4, 2024

Different between 'Luxuriant' and 'Luxurious'

Luxuriant or LuxuriousLuxuriant means "characterized by thick or abundant growth." It is usually applies to the growth of plants, fur, or hair. The noun form is luxurianceLuxurious means "characterized by wealth and comfort," more directly from our modern word luxury.