এয়াকুব নগর, আমার গ্রাম
মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী
ধরার মাঝে গ্রামটি আমার
খোদার সেরা দান,
শ্যামল রূপের বাহারটি এর
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
প্রকৃতি দেয় নিত্য একে
অমূল্য রতন,
তাই এখানে হয় না লোকের
অভাব-অনটন।
আমার গ্রামের কৃষিভূমি
বন, বাগান আর জল,
সবার জন্যে আহার যোগায়,
মনে জাগায় বল।
এর মাটিতে কৃষাণেরা ফলিয়ে
সোনার ফসল,
গ্রামবাসীদের মাঝে নামায়
সচ্ছলতার ঢল।
নানা জাতের শাক-সব্জি আর
নানা স্বাদের ফল,
সব ঋতুতে পায় আমদের
গ্রামের লোক সকল।
এখানে লোক বন্ধুসুলভ
কর্মঠ আর ত্যাগী,
সুখ ও দুঃখের মাঝে সবার
চলে ভাগাভাগি।
রূপবৈচিত্রের পাখপাখালি
আমার গ্রামে আছে,
সুখে জীবন কাটায় এরা
ফুল-ফলাদির গাছে।
নানা পাখি নানা সুরে
মধুর গান শুনায়,
এদের গানে ঊষা জাগে
দিবস বিদায় পায়।।
রাতে ঝোপঝাড় জোনাকিরা
সাজায় তারার আকাশ,
কী অপরূপ দৃশ্য যে তা
দেখলে মন হয় উদাস।
বুক চিরে এর চলে গেছে
দেশের রেল সড়ক,
মধুর ধ্বনি শুনায় রেলে
ঝক্-ঝকা-ঝক্ ঝক্।
নিশিতে এ গ্রামে হাঁকে
শেয়াল শত শত,
ভাবটা যেনো দেখায় তারা
রাত প্রহরীর মত।
ধর্ম-কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষায়
আলোকিত এ গ্রাম,
তাইতো এতো উন্নত আর
গর্বিত এর নাম।
পূবপাশে এর আছে পাহাড়
পশ্চিমে ট্রাংক সড়ক,
মাঝে গাছের মেলায় নিবাস
দেখায় দারুণ চমক।
এর বাগানের বৃক্ষে ফোটে
রঙ-বেরঙের ফুল,
এদের রূপের আকর্ষণে
মন করে ব্যাকুল।
দিনের বেলায় আকাশরাজ আর
নিশিতে তার রাণী,
অতি উজ্জ্বল রাখে আমার
এ প্রিয় গ্রামখানি।
রূপমাখা এ গ্রামটি খ্যাত
এয়াকুব নগর নামে,
তাইতো বলতে মন ভরে যায়
জন্মেছি এ গ্রামে।
.....
No comments:
Post a Comment