Saturday, September 7, 2024

মাতৃভূমির গান





মাতৃভূমির গান
         মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মাতৃভুমি ধরায় তুমি
প্রভুর সেরা দান,
লাল সবুজের রূপটি তোমার
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
শোভনতায় এ ক্ষিতিতে উর্ধ্বে তোমার স্থান,
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

দেখতে তোমার রূপের ঝলক
সবাই পাগলপারা,
আকাশ থেকে দেখতে জাগে
চাঁদ, রবি, আর তারা।
নয়নকাড়া দৃশ্য তোমার হয় না কভু ম্লান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

উদার তোমার অন্তরীক্ষ 
বিশাল তোমার মাঠ,
তোমার ধানের বিলে জাগে
ঢেউখেলানো নাট।
বৃক্ষশাখায় মধুর কণ্ঠে পাখিরা গায় গান-
মাতৃভমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

অতি মধুর ভাষা তোমার
কাড়ে সবার মন।
নিত্য আমরা তোমার বুকে
পাই অফুরান ধন।
তোমার সে ধন বয়ে আনে মহাসুখের বান-
মাতৃ়ৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

ধন রেখেছেন প্র ভু তোমার
মাঠ, নদী আর বনে,
অবারিত আছে সে ধন
ভোগতে সকল জনে।
ষড়ঋতুর মাধ্যমে যা করেন তিনি দান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

সব ঋতুতে থাকে তোমার
রূপবৈচিত্রের খেলা,
এদের মাঝে থাকে আরো
ফুল-ফলাদি মেলা।
পবনে তাই মাখা থাকে ফুল ও ফলের ঘ্রাণ-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

তোমার কোলে নিত্য লভি
 সুখ-আনন্দ-হাসি,
 তাইতো আমরা প্রাণের চেয়ে 
 তোমায়  ভালোবাসি।
কন্ঠে জাগে তোমার ছোঁয়ায় মহানন্দে গান। 
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।। 
বক্ষে তোমার থাকি মোরা
উচ্ছ্বসিত প্রাণে
শপথ করছি, আমরা তোমায়
রাখবো সেরা স্থানে।
দৃঢ় আমরা তোমার তরে দিতে সবে প্রাণ-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

Friday, September 6, 2024

মাতৃভূমির গান

মাতৃভূমির গান
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

মাতৃভুমি ধরায় তুমি
প্রভুর সেরা দান,
লাল সবুজের রূপটি তোমার
দেখলে জুড়ায় প্রাণ।
শোভনতায় এ ক্ষিতিতে ঊর্ধ্বে তোমার স্থান-
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।।

    দেখতে তোমার শ্যামল রূপটি
     সবাই পাগলপারা,
     আকাশ থেকে দেখতে জাগে
     চাঁদ, রবি, আর তারা।
নয়নকাড়া দৃশ্য তোমার হয় না কভু ম্লান-
মাতৃভূমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     উদার তোমার অন্তরিক্ষ
     বিশাল তোমার মাঠ,
     তোমার ধানের বিলে জাগে
     ঢেউখেলানো নাট।
বৃক্ষশাখায় মধুর কণ্ঠে পাখিরা গায় গান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     মধুর তোমার লোকের ভাষা
     জুড়ায় সবার মন,
     নিত্য তুমি হাসিমুখে      
     দিয়ে থাক ধন।
তোমার সে ধন বয়ে আনে মহাসুখের বান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

     ধন রেখেছেন প্রভু তোমার
     মাঠ, নদী আর বনে,
     অবারিত থাকে সে ধন
     ভোগতে সকল জনে।
ষড়ঋতুর মাধ্যমে যা করেন তিনি দান-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

      সব ঋতুতে থাকে তোমার
      রূপবৈচিত্রের খেলা,
      এদের মাঝে রাখ আরো
       ফুল-ফলাদি মেলা।
পবনে তাই মাখা থাকে ফুল ও ফলের ঘ্রাণ-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

তোমার কোলে নিত্য লভি
সুখ-আনন্দ-হাসি,
তাইতো মোরা প্রাণের চেয়ে 
তোমায় ভালোবাসি।
কন্ঠে জাগে তোমার ছোঁয়ায় মহানন্দে গান।ম
মাতৃভুমি ধরায় তুমি প্রভুর সেরা দান।। 
      বক্ষে তোমার থাকি আমরা
      উচ্ছ্বসিত প্রাণে
       শপথ করছি, রাখবো তোমায়
       বিশ্বর সেরা স্থানে।
দৃঢ় আমরা তোমার তরে দিতে সবে প্রাণ-
মাতৃভুমি ধরার তুমি প্রভুর সেরা দান।।

Tuesday, August 27, 2024

জিহাদ

জিহাদ কি? কেন? কিভাবে?
        মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

'জিহাদ' একটি আরবি শব্দ
       বাংলা কিন্তু নয়।
তাই, এ শব্দের অর্থ আগে
      জেনে নিতে হয়।

না জেনে এর অপব্যাখ্য
    করবে যেসব লোক,
বোঝতে হবে নেই যে তাদের
     জ্ঞান, বিবেক ও চোখ।

"চেষ্টা, সংগ্রাম, সাধনা," হয়
        বাংলাতে এর মানে,
এসব অর্থ আছে লেখা
              আরবি অভিধানে।

শরীয়তের বিধান মতে
     জিহাদ বলতে বুঝায়,
সত্যের সংগ্রাম করে যাওয়া
     মহাপ্রভুর রাস্তায়।

আপন জাতি, রাষ্ট্র, ধর্ম
      রক্ষা করতে হলে,
যে সংগ্রামটি চালাতে হয়
       তাকে জিহাদ বলে।

কু প্রবৃত্তির বিরোধিতায়
     সংগ্রাম যদি হয়,
সুন্নাহ মতে সর্বশ্রেষ্ঠ
      জিহাদ তাকে কয়।

এ জিহাদে কু-প্রবৃত্তির 
     মৃত্যু ঘটায় মনে,
সু-প্রবৃত্তি চাঙ্গা করে
      মনুষ্যত্ব আনে।

থাকে যাদের কুপ্রবৃত্তি
     অন্তরে জাগ্রত,
ধরাতে হয় স্বভাব তাদের
     হিংস্র পশুর মত।

যে সমাজে কুপ্রবৃত্তির
    মানুষ করে বাস,
ওই সমাজে মনুষ্যত্বের
    ঘটে সর্বনাশ।

নিত্য চলে সে সমাজে
      গুম, খুন আর দুর্নীতি,
হারিয়ে যায় মানুষ থেকে
      সুখ-শান্তি ও প্রীতি।

তাইতো ইসলাম বলে আগে
     জিহাদ চালাও মনের,
ইহ-পরকালে তবে
      জীবন হবে সুখের।

জাগে যদি মনের ভেতর
     অসৎ কর্মের বান,
মন বিরোধী জিহাদে এর
       ঘটায় অবসান।

জিহাদে হয় দুষ্টের দমন,
   শিষ্টের লালন ধরায়,
এতে সুখের ফুল্লধারা
    মানব সমাজ পায়।

দৈহিক, আর্থিক, বিদ্যাভিত্তিক
      জিহাদের যে বর্ণন,
শরীয়তে উল্লেখ আছে
      রাখতে হবে স্মরণ।

ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম
    পূর্ণ জীবন বিধান,
এ বিধানে সমাজে হয়
      শান্তির সহাবস্থান।

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে
    শরীয়ার নীতিতে,
সবে সবার মূল অধিকার
      পাবে নিজ ভূমিতে।

এমন নীতি রুখতে  যারা
        অস্ত্র ধরে ভবে,
দৈহিক জিহাদ সবার উপর
        তখন ফরজ হবে।

যে জ্ঞান চর্চায় দেশ ও জাতির
        উন্নয়নটা আনে,
বিদ্যাভিত্তিক জিহাদ হয় তা
       ইসলামের বিধানে।

বক্তৃতা আর লেখালেখি
        আনলে সত্যের জোয়ার,
সেটিও হয় জ্ঞানের জিহাদ
       জানা খুব দরকার।

অর্থ-সম্পদ করলে ত্যাগ
      মানুষের কল্যাণে,
আর্থিক জিহাদ বলে তাকে
     হাদিস ও কোরআনে।

জিহাদ হবে খোদার রাস্তায়
      ব্যক্তিস্বার্থে নয়,
স্বার্থ রক্ষার জিহাদে হয়
      শয়তানের বিজয়।

এ বিজয়ে চলে তখন
      ত্রাসের রাজ্য ধরায়,
তখন পুরো মানবসমাজ
        মনুষ্যত্ব হারায়।

খোদার রাস্তায় জিহাদ হচ্ছে
       শ্রেষ্ঠ ইবাদত,
জিহাদকালীন মৃত্যুহলে
        মেলে শাহাদত।

প্রতিদান হয় শাহাদাতের
       উৎকৃষ্ট জান্নাত,
যা'' পেতে সব ঈমানদারে
       যাচে দিন ও রাত।

পুণ্যপথে জিহাদকারী
     খোদার দিদার পায়,
জিহাদে তাই মোমিন বান্দা 
      জীবনাবসান চায়।
                 ......

Monday, August 19, 2024

আওয়ামী লীগের তালগাছ (গদি) রক্ষায়

আওয়ামী লীগের তালগাছ (গদি) রক্ষায়
         মুহাম্মদ আবদুর মান্নান ইয়াকুবী

চলতো গুম আর খুনাখুনি
আওয়ামী লীগ নীতিতে,
উদ্দেশ্য এর একটাই ছিল
টিকে থাকা গদিতে।

           তাইতো কারো মিল থাকতো না
           কথা কর্ম আর চিন্তায়,
           ঐক্য, সত্য, উদারতা
           গিয়েছিল সব গোল্লায়।

ন্যায়-নীতি আর ধৈর্য-সহ্য
ছিল তখন সব বর্জ্য,
প্রধানমন্ত্রী ছিল দলের
বিশ্বসেরা নির্লজ্জ।

            রেষারেষি চলতো  দলে
             নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে,
             কিন্তু কারো মন থাকতো না
             নিবেদিত পরার্থে।

অন্যায় কাজের প্রতিবাদ কেউ
 করলে মরতো গুলিতে,
 এ কারণে গুণীলোকজন 
 নিত্য থাকতো বলিতে।

           রাখতে চির অধিকারে
           'তালগাছ' নামক গদিটা,
           বাজালো নিজ অধঃপাতের
           বারোটারই ধ্বনিটা।

                     ........

Saturday, August 17, 2024

সনেট

আল্লামা দিলাওর হোসেন সাঈদী (র.)কে অর্পিত

মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

বাংলার সত্যপ্রেমী হে অকুতোভয়!
মৃত্যুবরণ করেছ তুমি হাস্যমুখে,
হয়ে গেছ মৃত্যুঞ্জয়ী স্বদেশের বুকে,

এ অন্যায়ে দেশবাসী অতি ক্ষুব্ধ  হয়।

ছিনিয়ে আনতে তুমি সত্যের বিজয়

রাখতে নিজ জনতা চিরতরে সুখে ,  এ কারণে পাপিষ্ঠরা জ্বলে ধুঁকে ধুঁকে

তাই, তব তরে তারা গড়ে বিচারালয়। 


ভাড়াটে সাক্ষীরাও সাক্ষ্য দেয় মিথ্যার,

 তুমি নাকি ছিলে দেশে নরহত্যাকারী,

রায় পেলে আজীবন কারায় থাকার।
 ঘাতক ঘটায় তথা মরণ তোমার,

সত্যের পাল্লা তোমার আজ অতি ভারী,
পাপীদের নেই আর পথ পালাবার।
                   ......    

Saturday, July 13, 2024

আমার প্রিয় কর্মস্থল রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য- সদস্যার প্রতি সশ্রদ্ধ স্বীকৃতি।

আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিবারের  সকল সদস্যে-সদস্যা ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকলের কাছে আমার প্রতি আন্তরিক ভালোবাসার জন্যে  আমি সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞ।                .......... 

আমি মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী, সহকারী প্রধানশিক্ষক, রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, ২য় বার হৃদরোগে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়ে ন্যাশনাল হসপিটাল, চট্টগ্রামে আই সি ইউ-তে পাঁচ দিন ( ২৬-০৬-২০২৪ থেকে ৩০-০৬-২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত) চিকিৎসাধীন ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহর অশেষ দয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়ে বর্তমানে নিজ আলয়ে বিশ্রাম নিচ্ছি। এর আগে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. থেকে ০৩ অক্টোবর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত মোট দশ দিন একই রোগে এ হসপিটালে আই সি ইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলাম। ১ম বার এবং এবার হসপিটালে থাকাকালীন সময়ে আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বনামধন্য ও সুযোগ্য মাননীয় প্রধান শিক্ষক মো. শরীফুল ইসলাম শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও আমাকে দেখার জন্যে প্রতিদিন হসপিটালে গমন করতেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিতেন। প্রথম বার যখন আমি ন্যাশনাল হসপিটাল চট্টগ্রামে আই, সি, ইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলাম তখন তিনিই আমার রোগমুক্তির জন্যে সবার কাছে দোয়া চেয়ে FB-তে পোস্ট দিয়েছিলেন। এতে আমার অসুস্থতার কথা দেশ-বিদেশে প্রচারিত হলে বহু লোক আমার রোগমুক্তির জন্যে দোয়া করেন এবং দেশ ও বিদেশ থেকে অনেকে আমার খোঁজখবর নেন। এছাড়াও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত সভাপতি,  সকল সদস্য, শিক্ষক -শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রী মাঝে মধ্যে আমার খোঁজখবর  নেয়ার  জন্যে হসপিটালে আসা যাওয়া করতেন এবং বিধাতার নিকট আমার রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনা করতেন। সম্মানিত শিক্ষক- শিক্ষিকাগণ প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বিদ্যালয় আরম্ভ হওয়ার পূর্বে এসেমব্লির পরে সকল ছাত্র-ছাত্রী আমার জন্যে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনাও করেছিলেন।  সত্যিকর অর্থে একজন মুমূর্ষু রুগী তার আপনজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভার্থীদের কাছ থেকে এমনটিই কামনা করে থাকে। এটি আমি আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠান রেলওয়ে পাবলিক স্কুল পরিবারের সকল সদস্য থেকে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমার প্রতি এহেন হৃদ্যতার জন্যে আমি তাদের  সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিগত প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমি এ জটিল রোগে ভোগছি। আমার  এ রুগ্ন অবস্থায়  প্রধানশিক্ষক মহোদয় বিদ্যালয়ে  তাঁর নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আমার প্রায় দায়িত্ব তিনি পালন করতেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাগণও আমার কাজে আমাকে তাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আমার কর্মের চাপ কমিয়ে দিতেন ।  প্রথম বার আই সি ইউ থেকে রিলিজ পাওয়ার পর মাননীয় প্রধানশিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও  সকল সদস্য আমকে চিকিৎসা ছুটিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এমন  দুরাবস্থায় আমাকে যে কৃতার্থ করেছেন তা আমি আমৃত্যু স্মরণ রাখবো এবং তজ্জন্য চির কৃতার্থ থাকবো। আমার প্রতি আমার এ বিদ্যালয়ের সকল সদস্যের এহেন আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সত্যিই আমি বিমোহিত, গর্বিত ও কৃতজ্ঞ। পরিশেষে আমি আমার রোগমুক্তির জন্যে সকলের নিকট দোয়ার আবেদন করছি। আমি চাকুরী থেকে অবসরে যাচ্ছি আগামী২৫-০১-২০২৫ খ্রি. তারিখে, যা আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি। রোগের জটিলতার কারণে আমার পক্ষে বিদ্যালয়ে সবার সাথে মিলেমিশে স্বীয় দায়িত্ব পালন করা আদৌ সম্ভবপর হচ্ছে না বিধায় আমি অন্তর জ্বালায় ভোগছি। অত্র বিদ্যালয়ে বিগত বিশ বছরের মায়া আমার হৃদয়ের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে। এ মায়ার বিচ্যুতি যে কতই বেদনার তা' আমার মতো ভুক্তভোগী ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ বুঝবে না। যাহোক, এ বিদ্যালয়ে বিশ বছর কর্মকালীন সময়ের শুরু থেকে অদ্যাবধি আমার কোনো আচার-আচরণে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীসহ বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট যে-কেহ মনে কোনো প্রকার ব্যথা  পেয়ে থাকলে তজ্জন্য আমি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি কামনা করছি। সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দেবেন।

মহান আল্লাহ আমার প্রিয় স্বনামধন্য রেলওয়ের পাবলিক স্কুল পরিবারের সকল সদস্যকে শারিরীক সুস্থতাসহ সার্বিক কল্যাণ দান করুক এবং বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সফলতা চিরস্থায়ী রাখুক আর এর বর্তমান কাণ্ডারী মাননীয় প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের শ্রদ্ধেয় সভাপতি, সকল সদস্য-সদস্যা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার কর্মপ্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির খ্যাতি দেশময় তথা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক। আমিন। সবার প্রতি আবারও  সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আমি আমার মনের আকুতির ইতি টানলাম।
আল্লাহ হাফেজ।।

Monday, July 8, 2024

শিবির বর্ধন

শিবির খুঁজো, শিবির ধরো শিবির মারো জোরে,
ঘরে গিয়ে দেখো তোমার ছেলে শিবির করে।




Monday, June 17, 2024

দাও মুমিন কুরবান

দাও মুমিন কুরবান
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ
দাও মুমিন কোরবান,
নিজের ভেতর জাগিয়ে দাও
ইব্রাহীমী প্রাণ।
শূন্যমনে পূর্ণ করো ঈসমাঈলী ধ্যান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

মনে জাগা পশুটাকে
জবাই করো আগে,
সুপ্রবৃত্তি মনে যেন
চাঙ্গা হয়ে জাগে।
কোরবানীতে মনটাকে আজ করো মহীয়ান-
জিলহজ্বে মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

কোরবানিটা ত্যাগের উৎসব
ভোগের উৎসব নয়,
মনের ভেতর রাখতে হবে
সৃষ্টিকর্তার ভয়।
সর্বপ্রীতির ওপর রেখো খোদাপ্রীতির স্থান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

ইব্রাহীমের ত্যাগের শিক্ষা
কুরবানিতে পাবে,
মানতে হবে সে মোতাবেক
খোদার আদেশ ভবে।
ত্যাগ করা চাই প্রয়োজনে ধন-মান, জন আর প্রাণ-
জিলহজ্বেমাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

খোদার নূরে মনটা রেখো
নিত্য আলোময়,
হিংসা-বিদ্বেষ আর লোভমুক্ত
রেখো নিজ হৃদয়।
সৃষ্টির সেবায় সাধ্যমত রেখো অবদান-
জিলহজ্বে মাসের  দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কোরবান।।

ধৈর্য, সত্য, উদারতা 
রেখো মনের মাঝে,
পাপাচারের সুরটি যেনো
হৃদয়ে না বাজে।
এ প্রতিজ্ঞায় কবুল হোক আজ মোমিনদের কুরবান-
জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখ আজ দাও মুমিন কুরবান।।

Sunday, June 16, 2024

মহনবীর নবুয়ত প্রাপ্তি নিয়ে দুজন সুন্নি আলেমের মাঝে তর্ক প্রসঙ্গে

তারা দুজনই সুন্নি জামায়াতের আলেম এবং একই গ্রুপের লোক বলে প্রতিয়মান হয়। মহানবী (স.) এর নবুয়ত সম্পর্কে তাদের ব্যক্তিগত মতামত প্রতিষ্ঠিত  করার জন্যে তারা নাটকটি সাজিয়েছেন। এটি যে একটি সাজানো নাটক তা তাদের এ আলাপচারিতা দ্বারা  সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। তবে এ কথা ঠিক যে, বিজ্ঞ শায়খদের কাছে এসব সুন্নি আলেম এ বিষয়ে দলিল এবং যুক্তিতে যে  দাঁড়াতে পারবে না তা নিশ্চিত। তাদের লজ্জা থাকলে এক্ষনি এসব তর্কবিতর্ক বন্ধ করে তাদের নিজেদের মান সম্মান রক্ষা করা উচিত। তুচ্ছ বিষয়ে তাদের এহেন বাড়াবাড়ি পবিত্র ধর্ম ইসলামের ভাবমূর্তিকে বিজাতির কাছে খাটো করে তুলছে।

হযরত মুহম্মদ সা. মানব সৃষ্টিতে প্রথম থেকে আল্লাহ কর্তৃক সর্বশেষ নবী হিসেবে নির্ধারিত ছিলেন। তাই সকল নবীগণের পরে আল্লাহ উনাকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। দুনিয়াতে উনার চল্লিশ বছর পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে মহান আল্লাহ তাঁকে সর্বশেষ নবী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নবুয়তের দায়িত্ব প্রদান করেন। এ সুন্নি আলেম যে হাদিসটি এখন বর্ণনা করছেন সে হাদিসের মর্মবাণী এটাই। আল্লাহ সকলকে বুঝার তৌফিক ও হিদায়ত দান করুন। আমীন। এ ছাড়া মহানবী (স.) এর নবুয়ত প্রাপ্তি  সম্পর্কে অন্য কোনো যুক্তি বা কোনো কথা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য ওসমর্থনযোগ্য হবে না।

Friday, June 14, 2024

ভন্ড সমাচার

ভন্ড সমাচার
       মুহাম্মদ আবদুল মান্নান ইয়াকুবী

ভন্ডদের আজ কদর বেশি
              বাংলাদেশের ভেতরে,
ভক্তি তাদের করে বহু
              মানুষরূপী ইতরে।

নেইকো তাদের ধর্মীয় জ্ঞান
            দেখায় ধর্মে শ্রদ্ধা খুব, 
শয়তানেরই চেলা তারা
            বেশভূষায় নেয় অলীর রূপ।

খানকায় বসায় গাঁজার আসর
            মারে গাঁজায় নেশারটান,
মাতালামি আর আস্ফালনে
          চালায় জিকির, করে ধ্যান।

পীরে গাহে বাউল গীতি
          ভক্তরা কয় ইল্লাল্লাহ,
গান-জিকিরে কাঁপায় তারা
        খানকাসহ মহল্লা।

নাচ-গান- মদ আর জেনায় তাদের
             খানকা থাকে সরগরম,
বিজ্ঞজনে দেখলে তাদের
               বলে পাপী, বেশরম।

জাহান্নামের পথিক হবে
          চললে তাদের পথ ধরে,
শাস্ত্রবিদদের কথা এখন
            শোনে না সব বর্বরে। .